Saturday, March 24, 2018

নাত-ই-মুরশিদ কিবলা (রাঃ) ওয়াজীহ গীতি 02

নাত-ই-মুরশিদ কিবলা (রাঃ) ওয়াজীহ গীতি 02
নাত-ই-মুরশিদ ২২
আশিক মন! মনরে!!
মন কেন মুরশিদের কথা বলে!
অশান্ত মন মন রে
মন কেন এশক্বের কথা বলে,
প্রেমিক হৃদয় হৃদয় রে
হৃদয় কেন ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া
ত্বরীক্বাহর কথা বলে।
যতই চাই আমি ভুলে থাকিতে,
ততই মন আমার ঘুরে,
মুরশিদের দিকে।
মন কেন মুরশিদের কথা বলে,
হৃদয় কেন ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া
ত্বরীক্বার কথা বলে।
আমি বা কে ? আমার মুরশিদ বা কে?
আজ ও পারলাম না.
আমার মুরশিদ চিনিতে।
মন কেন মুরশিদের কথা বলে,
হৃদয় কেন ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া
ত্বরীক্বার কথা বলে।
মন যে আমার চায়! মুরশিদ দেখিতে
কোথায় গেলে পাব আমি!
তোরা বলে-দে।
মন কেন মুরশিদের কথা বলে,
হৃদয় কেন ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া
ত্বরীক্বার কথা বলে।
আশিক ছাড়া মাশুক মিলে না কখন,
মন চায় ওগো মুরশিদ তোমারী দর্শন,
হাশেমীর মুক্তি শুধু তোমাতে।
মন কেন মুরশিদের কথা বলে,
হৃদয় কেন ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া
ত্বরীক্বার কথা বলে।
তুমি আমার জীবনের বাতি
তোমায় আমি স্বপ্নে পাইয়াছি,
পাগল আজ তোমার বিয়োগে।
মন কেন মুরশিদের কথা বলে,
হৃদয় কেন ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া
ত্বরীক্বার কথা বলে।

নাত-ই-মুরশিদ ২৩
মুরশিদজী জিন্দেগী!
মুরশিদ ও আমার ভালবাসা,
মুরশিদজী বন্দেগী!
মুরশিদ ও আমার শেষ ভরসা,
মুরশিদ ছাড়া এ জীবনে
চাইনা কিছু আর,
মুরশিদ ছাড়া,
জগতে নামবে যে আধার,
স্বপনে দেখা দাও,
বুকে তুলে নাও,
করনা আমায় তুমি নিরাশ।
চাঁদ-সুরুজ,
গ্রহ-তারা,
নহর-ঝর্ণা ধারা,
সবারি হৃদয় জুড়ে
মুরশিদ কামলি ওয়ালা।
স্বপনে দেখা দাও,
কোলে তুলে নাও,
করোনা আমায় তুমি নিরাশ।

নাত-ই-মুরশিদ ২৪
লক্ষ বাবার ছেয়ে ও তুমি,
হাজার বাবার ছেয়ে ও তুমি,
অধিক সম্মানি,
আল্লাহ রাসুলের পরে-ই-মুরশিদ
আঁপনাকে মানি।
মুরশিদ তোমার নাম!
লইতে পারি কি আমি অধম গোলাম,
তোমার নুরে আজ দুনিয়া
হইয়াছে নুরী।
তোমার গুনে মুগ্ধ আল্লাহ্,
নাম রাখিয়াছে ওয়াজীহ্ উল্লাহ্
সেই নামের বরকতে আজ,
ভাগ্যবান দুনিয়াবাসি।
রাসুলের নুর দিয়ে,
জয় করেছ আজ গিয়ে,
সকল দরজার সেরা দরজা,
মাহবুব-ই-সুবহানি।
সব সুন্দরের সুন্দর তুমি,
সকল রুপে মহারুপি
মহামানব অতিমানব,
তুমি জগতের শ্রেষ্ঠ-মনিষী।
পূর্নিমারী চন্দ্র তুমি,
দ্বি-প্রহরের সূর্য্য তুমি  ,
তুমি আসমানেরী নক্ষত্র রাজ,
তার চেয়েও অধীক সম্মানী।
আমি তোমার আশিক দেওয়ানা,
তোমার প্রেমে মুগ্ধ আজ সারা দুনিয়া
জ্বালিয়ে দাও মনের মাঝে,
তোমার প্রেমের বাতী।
সালাম জানায় ফেরেস্তা কুল,
তোমার জন্য আজ দুনিয়া বেকুল,
লক্ষ সালাম বারে বার
ও মুরশিদ ক্বদমে তোমার
ক্ববুল কর আমার গোলামী।
ভাই-বন্ধু আতœীয় স্বজন,
হয়না কেহ তোমার মতন
লক্ষ ভাইয়ের চেয়েও তুমি,
হাজার ভইয়ের চেয়েও
তুমি অধিক সম্মানী।
তুমি শামছুল আরিফীন,
তুমি সিরাজুচছালিকীন
তোমার নামে আজ আমি,
দুরূদ পড়তেছি।
গোলাপেরী গন্ধ তুমি,
হাসনা হেনার সুবাস তুমি
কামেনী, চামেলী, বকুল,
গন্ধরাজ, বেলী, পারুল
সবছেয়ে অধিক সুবাস,
তোমার পছিনী।
ক্বোরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস,
দখল আছে নাহু বালাগাত,
উসুল ফিকাহ্ আর তাফ্সীর,
আজ তুমি শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিজ্ঞানী।
কম্পিউটার, টেলেক্স তুমি,
রাড়ার, টেলিসকোপ, ফ্যাক্স তুমি
তোমার মাঝে সব কিছু,
পাইয়াছি আমি।
সকল জ্ঞানের জ্ঞান তুমি,
সকল কাজের কাজী তুমি
পথহারাদের পথ তুমি,
ইসলামের মহান বাতী।
স্বয়ং আল্লাহ্ আশিক তোমার,
রাসুলুল্লাহ্ বন্ধু তোমার,
প্রেম নিবেদন করে আজ,
বানায় আশিক্বী।
জন্মিলে তুমি ১২ই  ঝিলক্বদ,
ওয়ালী-ই-মাদারজাদ,
মুরশিদ-ই-আযম,
সাইয়্যিদুল বাশার
মুজাদ্দিদ-ই-আলফি আউয়াল,
মুহিব্বুল ফোকারা,
সাইয়্যিদুল আউলিয়া,
তুমি মাশুক-ই-রব্বানী।

নাত-ই-মুরশিদ ২৫
মুরশিদ ক্বিবলার নামটি আমার,
দয়াল  মুরশিদের  নামটি আমার ,
সদায় জাগে মোর মনে,
কাঙ্গালের ধন গো মুরশিদ,
কে বা নাহি জানে।
তোমারে যে পাইবার আশে,
ঘুরি আমি দেশ বিদেশে ও,
অধমেরে কইরা পাগল,
অধমেরে কইরা পাগল ,
মুরশিদ  সদায় জাগে মোর মনে।
কাঙ্গালের ধন গো মুরশিদ,
কে বা নাহি জানে।
কিতাবেতে শুনি আমি,
গোনাহ গারের বন্ধু তুমি ও,
তুমি নিজে পার করিবা,
তুমি নিজে পার করিবা,
রোজ হাশরের সেই দিনে।
কাঙ্গালের ধন গো মুরশিদ,
কে বা নাহি জানে।
মরণ আমার সামনে খাড়া,
কোন দিন জানি পড়ি ধরা ও,
আমি মনে প্রানে, আমি মনে প্রাঁণে,
ডাকি দয়াল মুরশিদ  তোমারে।
কাঙ্গালের ধন গো নবী,
কে বা নাহি জানে।
হাশর-মীজানের কালে,
তোমায় ডাকব মুরশিদ,
বন্ধু বলে ও, নিজ গুনে পার করিও,
নিজ গুনে পার করিও,
বিপদেরী সেই দিনে।
কাঙ্গালের ধন গো মুরশিদ,
কে বা নাহি জানে।
আছেন আমার দয়াল মুরশিদ,
আমি কি আর মরণেরে ডরি ও,
মউত কালে কোলে নিবেন,
মউত কালে কোলে নিবেন,
ভয় কি আমার কবরে।
কাঙ্গালের ধন গো নবী,
কে বা নাহি জানে।
অধম গোলাম কেঁদে বলে,
আমার মুরশিদের ক্বদম তলে ও ,
ঠাই যেন পাই ক্বদম তলে,
ঠাই যেন পাই রওদ্বাহ পাকে,
তরাইবেন মুরশিদ আমারে।


নাত-ই-মুরশিদ ২৬
ত্বরীক্বার জানালা খুলে দাও না,
ওয়াজীহ্র প্রেমে কেন সাড়া দেওনা (২)
অসীম মমতা যার সবার উপর,
যার নামে বয়ে যার ঝর্ণা নহর,
মুরশিদ মুরশিদ বলে সবাই,
দেওয়ানা ওয়াজীহ্র প্রেমে,
কেন সাড়া দেওনা। ঐ
বিশ্ব ওয়ালী যিনি ওয়াজীহ্ মহান,
সৃষ্টি তাঁরই এই নিখিল জাহান, (২)
তারই ডাকে কেন সাড়া দেওনা,
ওয়াজীহ্র প্রেমে কেন সাড়া দেওনা। ঐ
ক্ষমা চাও ডুবে যদি পাপ দরিয়া,
ওয়াজীহ্ দিবে মাপ করে দয়া বিধায়।
দরবারে কেন তাঁর হাত পাতনা,
ওয়াজীহ্র প্রেমে কেন সাড়া দাওনা।
ত্বরীক্বার জানালা খুলে দেওনা,
ওয়াজীহ্র প্রেমে কেন সাড়া দেওনা
’’   ”    ”        ”         ”
ওয়াজীহ্র প্রেমে কেন সাড়া দেওনা।

নাত-ই-মুরশিদ ২৭
ত্রিভূবনে প্রিয় মুরশিদ, (২)
এলোরে বাংলায় আয় রে সাগর,
আকাশ বাতাস,
দেখবি যদি আয়। (২)
দেখ! আয়শা মায়ের কোলে,
দোলে শিশু ওয়াজীহ্ (ত্বরীক্বাহ) দোলে,
কচি মুখের শাহাদাতের,
বানীযে শুনায় রে
আয়রে সাগর, আকাশ বাতাস,
দেখবি যদি আর রে।
আজকে যত পাপীও তাপী,
সব গুনাহের পেলরে মাপী,
দুনিয়া হতে বে ইন্সাফি,
জুলুম নিল বিদায়,
আয়রে সাগর,
আকাশ বাতাস
দেখবি যদি আয় রে।
নিখিল দূরূদ পড়িল ঐ নাম,
মুহাম্মদ ওয়াজীহ্ উল্লাহ্
আয় রে সাগর।



নাত-ই-মুরশিদ ২৮
শোন আশিকগণ!
শাহী মহল্লায় আছে এক রতন,
শোন মুরীদগণ!
শাহী মহল্লায় আছে এক রতন,
এই দুনিয়ার ভাল-মন্দ
সকল কিছু ছাড়িয়া,
এসেছি রওদ্বাহ্তে তোমার
রহ্মতের লাগিয়া,
নাওগো কলে তুলিয়া
মুরশিদ কিবলা জান!
তোর বিচ্ছেদে
জ্বলে আমার প্রাঁণ (২)
হয়তো আমার দাওগো দেখা, (২)
না হয় আমার দাও ক্বোরবান,
মুরশিদ কিবলা জান!
এ অধমের লাওগো সালাম।
এই দুনিয়ার ভাল-মন্দ,
সবকিছু মমতা,
সবি আমার তৃক্ত লাগে
মিষ্ট লাগে, তোর রওদ্বাহ্য়
মিষ্ট লাগে তোর রওদ্বাহ্য়।
মুরশিদ কিবলা জানঁ,
তোমার জন্য কান্দে আমার প্রাঁণ। (২)
কত আশা করিয়াছি,
তোমার দেখা পাইতে,
কত মুরীদ কান্দে আছে,
তোমার রওদ্বাহ
শরীফে তোমার রওদ্বাহ্ শরীফে,
মুরশিদ কিবলা জান!
তোমার জন্য আমার আশিকান। (২)

নাত-ই-মুরশিদ ২৯
মুমিনের ভিতরে,
আল্লাহ্জি বাস করে, (২)
নবীজিপাহারা দিচ্ছে! (২)
উম্মতের ভিতরে,
নবীজি বাস করে, (২)
ওয়াজীহ্পাহারা দিচ্ছে! (২)
মুরীদের ভিতরে,
মুরশিদজী বাস করে,(২)
হাসেমীপাহারা দিচ্ছে! (২)
সুন্দর করে ঘর বানাইয়া, (২)
নিজেই নিজের ঘরে থাকে। ঐ
নূর নবীজির আলো দিয়ে, (২)
ঘরখানা সাজাইয়া রাখে
মুমিনের ভিতরে,
আল্লাহ্জি বাস করে, (২)
নবীজি পাহাড়া দিচ্ছে! (২)
কালিমায় যেভাবে, আল্লাহ্র কাছে,
নূর নবীজির সাথে। ঐ  (২)
উম্মতের ভিতরে,
নবীজি বাস করে, (২)
ওয়াজিহী পাহারা দিচ্ছে! (২)
তেমনি ভাবে, তোমার সাথে, (২)
এককার হয়ে আছে। ঐ

নাত-ই-মুরশিদ ৩০
ভাল বাসা হবে না তোর,
প্রেম করা যে চায়না,
প্রেম না জানলে,
আল্লাহ্ নবীর মুল্য কেউ বোঝেনা,
আহা প্রেম না করলে,
আল্লাহ্ নবীর মন মত কেউ হয়না।
আল্লাহ্ নবী পাইতে হলে,
আস মুরশিদের ক্বদম তলে,
জান-মাল ক্বোরবান দিয়ে,
দিল করে নাও আয়না।
আল্লাহ্ নবীর আশিক যারা,
ভক্তরা সব কান্দে তারা,
কলংক হয় গলার মালা,
এই মালা কেউ পায় না।
আল্লাহ্ নবীর প্রেমে পড়ে,
কত জনে দুনিয়া ছাড়ে,
জান থাকে না,
মান থাকে না,
সদাই শুধু সাধনা।
আল্লাহ্ নবীর হইয়া পাগল,
কোনটা আসল,
কোনটা নকল,
দ্বীন দুনিয়া সরে পড়ে,
মান অপমান থাকে না,
স্বর্গের সুখ চায়না।
সদাই জ্বলে প্রেমানলে,
মনের মাজে ঢ়েউ তোলে,
কলংক গলায় নিয়ে,
সইতে পারে যন্ত্রনা।

নাত-ই-মুরশিদ ৩১
আমারী মনের মাঝে
পেয়েছি যে বেদনা,
জানে ওয়াজীহ উল্লাহ
তাজিদার-ই-বাংলা (২)
শ্যামল সবুজ বাংলার পথে
খুজি মুরশিদ তোমারে,
চোখ ইশারা দিয়ে মোর
প্রাঁণ নিয়েছে কেড়ে,
ওগো মুরশিদ নয়ন মনি
আমার গলার মালা,
এশ্কেতে মোর যাইয়া প্রাঁণ,
করনা উজ্বালা,
যদি বা না দিবে ধরা,
আর আমায় ডেকোনা।
জানে ওয়াজীহ উল্লাহ
তাজিদার-ই-বাংলা (২)
দেখিনি জীবনে কবু
দুনয়নে যাহারে,
তবু কেন  কাঁদেরে মন
তাহারী বিরহে,
ভুলি ভুলি ভুলিরে মন,
ভুলিতে যে, পারিনা।
জানে ওয়াজীহ্ উল্লাহ
তাজিদার-ই-বাংলা (২)
পাওয়ানা পাওয়ার মাঝে
তুমি আমি দুজনা,
বেধেছি গো মায়ার মালা
কভুযেন ছুটেনা,
যখনি মনের মাঝে,
খুজি ওগো তোমারে,
তখন চলিয়া যায় মন
রওদ্বাহ্ পাকের  দুয়ারে,
কাছে এলে না পাইলে
কত যে, মোর বেদনা।
জানে ওয়াজীহ উল্লাহ
তাজিদার-ই-বাংলা (২)
রওদ্বাহ পাকে শুয়ে
আঁপনি দেখতে আছেন আমাকে
কত যে ব্যাকুল
ওগো তোমারী বিরহে,
দীদারের আশায়
আমি আজ ও বসে থাকি,
দেখা দিয়া মনের জ্বালা
কোন দিন নিবাইবা।
জানে ওয়াজীহ উল্লাহ
তাজিদার-ই-বাংলা (২)

নাত-ই-মুরশিদ ৩২
দিন রজনী চোখের জলে,
তোমায় খুজেছি।
আকাশ ভুবন তারায়
আমি তোমায় অনেক খুজেছি।
তুমি আমার হৃদয় কমলে
বাসা করেছ,
কবে যে মনটা আমার
চুরি করেছ,
আমার জীবন আমার বদন,
আমার সারা অঙ্গ রক্তের কনিকা,
হাড় গুলির সঙ্গ ধমনীর
মাঝে রমনীর হয়ে,
কোন কালে যে আমার সারা দেহে,
ডুকেগেছ, তুমি আমার
চোখের মণিহার,
মনের খোলা আয়নায়
আমার হৃদয় তারার
মনে কর তুমি খেলা সারা
অঙ্গ তোমায় খুজে
সারার করে সুড় সুড়
কেন যেন আমার মাঝে
তুমি জীবন কুষ,
শ্বেত কনিকা যেন চাঁদ হয়ে হাসে
লোহিত কনিকায়
তুমি যে গোলাপ ফুটে
হৃদ পিটে রক্ত জমাও!

নাত-ই-মুরশিদ ৩৩
জন্ম আমার ধন্য হল,
মুরশিদ কে পেয়ে,
নইলে যে অন্ধকারে, থাকতে হত,
এই কথা বুঝিনি আগে।
মুরশিদ আমার জীবন প্রদীপ,
তাঁর ত্বরীকাই, এক মাত্র প্রতীক
জন্ম হল শত সহস্রবার,
মহান আল্লাহর অসীম অপার,
লক্ষ্য কুটি শুকুর করি,
জীবনের আলো তুমি,
জীবন পাওয়া যায় অনেক বার,
মরণ হোক কদমে তোমার,
মরণ একবার আসে নিরবে,
সঙ্গে যেও মুরশিদ আমার কাঁপনে,
জীবন প্রদীপ জ্বালিয়েছ,
একন কেন দুরে গিয়েছ,
জন্ম যদি না-ই-হত,
তোমায় পেতাম না,
তাই জন্ম ধন্য,
শুরু হল বসুন্ধরা

নাত-ই-মুরশিদ ৩৪
তামাম বদনে কারেন্ট যোগাও,
মন ময়ুরী বাজনা বাজাও,
নাছে সারা অঙ্গ খানি,
শিরায় ধমনী আমার মেমরী,
সকল ফাইল গুলি,
শুধু তোমারী তৈরী
যা তুমি আমায় দাও,
তা-ই-আমি ওপেন করি,
আমার তামাম দেহে তুমি,
করছ আবাদ ক্ষমতা
আমার কত খানি
আমার সাগরের ঢেউ তুমি জাগালে
প্রেমের তরঙ্গ উঠে আমার হৃদয়ে
আমার মরুতে তুমি দেখালে বারি ধারা
নিশ্বাষের বাতাশ হয়ে জোয়ার উঠালে
তাই সুরে সুরে ডাকতাছি,
তুমি ..তুমি.... তুমি......

নাত-ই-মুরশিদ ৩৫
আগে জানিনা গো মুরশিদ,
তুমি যাইবে আমায় ছাড়িয়া।
আমি সব কিছুতে তেজিলাম,
তোমার ক্বদম ধরিলাম,
তুমি চলিয়া গেলে
আমায় একা পেলিয়া,
পারলাম না!
আমি রাখতে ধরিয়া।
আমি সকল কিছু ছাড়িলাম,
তোমার ত্বরীক্বাহ্ ধরিলাম,
মুরশিদ তুমি যে গেলে চলিয়া।
তোমারী বিরহে,
সদাই অন্ত-র জ্বলে,
শান্তি- পাইনা,
মুরশিদ কোথাও যাইয়া।
আমি পাগল হইলাম,
সারা বিশ্ব খুজিলাম,
যদি দেখা পাই শুধু তোমারে,
পাইলাম না তোমার দেখা,
শান্তি- পাইনা,
আমি তোমাকে ছাড়া।
তুমি জাননা গো মুরশিদ,
তুমি মোর জীবনের সাধনা।
তোমাকে ছাড়া,
এ জগৎ মিছা,
কেন বুঝে ও বুঝনা।
পারলাম না!!
আমি,
মুরশিদ তোমায়,
রাখতে ধরিয়া।
আমার অন্ত-র জ্বালা,
কেউ তা বুঝে না,
তুমি ও বুঝে আজ,
রইলা লুকাইয়া,
পারলাম না!
আমি,
মুরশিদ তোমায়,
রাখতে ধরিয়া।
মুরশিদ তুমি দয়া করে,
রাইখ করুনার নজরে,
তোমার গোলাম যে শুধু একা,
মুরশিদ তোমার দরবার হইতে,
বিলীন করে দিও না,
পারলাম না!
আমি মুরশিদ
তোমায় রাখতে ধরিয়া।
মুরশিদ তোমার প্রেমে পড়িয়া,
সকল কিছু ছাড়িয়া,
একাকী হইলাম আমি,
তোমাকে হারাইয়া,
পারলাম না! আমি,
মুরশিদ তোমায়,
রাখতে ধরিয়া।
মুরশিদ তোমার স্বীকৃতিতে
পাগল আমি,
আজ হইলাম বনবাসী,
মুরশিদ কোথায় গেলে পাই-

নাত-ই-মুরশিদ ৩৬
শুধু তোমার দেখা চাই,
প্রাণে মানে না লাগছে একা,
পারলাম না! আমি মুরশিদ
তোমায়, রাখতে ধরিয়া।
আমি আগে যদি জানিতাম,
যাইতে নাহি দিতাম,
রাখিতাম নজরে নজরে,
রাখিতাম অন্ত-রে অন্ত-রে,
মুরশিদ কাঁদে যে গোলাম,
দাও তোমার দর্শন,
নীশিতে স্বপনে আসিয়া,
দাও শান্তনা ওগো মুরশিদ দাও দেখা
পারলাম না! আমি মুরশিদ,
তোমায় রাখতে ধরিয়া।


নাত-ই-মুরশিদ ৩৭
রাতের আধারে এসে দিয়েছ ধরা,
দিবসে কেন হারিয়ে গেলা,
রজনীর সাথী তুমি ও গো প্রিয়া,
দিবসে কেন করলা একলা,
ঘুম শুয়ে স্বপ্ন হয়ে,
সূর্য হয়ে রাত পোহালে,
ভোরের পাখি হয়েছ তুমি,
জেগেই দেখি হারিয়ে গেলে,
গগন পুরে তারার মেলায়,
পাতাল খুড়ে বারি ধারায়,
মেঘ আকাশে খুজি তোমায়,
কোথায় তোমায় খোজে বেড়াই
বন বনানী উড়ে বেড়াই,
দিন রজনী সকাল সন্ধ্যা,
অবশেষে জানলাম আমি,
তুমি আমার রজনী গন্ধ্যা,
হাতের কাকন গানের রাজন,
হৃদয় মালা গেথেছি একা,
দিতে তোমায় ও গো প্রিয়া,
ওয়াজীহ রইয়া হৃদয় জোড়া,
চাঁদের হাসি রাত্রিতে দেখি,
সূর্যের আলো দিবসে এলো,
তুমি আমার জীবন ভরিয়া।

নাত-ই-মুরশিদ ৩৮
সাথী হারা, একা রইলাম পড়ে,
কোথায় গেলে পাব তাঁরে,
বন্ধু হারা, এই জীবনে,
শুন্য হাতে, রইলাম একা,
কোথায় খোজে পাব তাঁরে
সাথী হারা, একা রইলাম পড়ে,
কোথায় গেলে পাব তাঁরে,
হৃদয়ে তাঁর, বাঁশি বাজে,
শুধু গানে গানে, সুরে সুরে,
একা আমি এপার থেকে,
ডাকছি কত মধুর সুরে,
ওপাড় থেকে দেখছ তুমি,
আমার শুন্য মরুভুমি,
মরূদ্যানের ফুলে।
সাথী হারা, একা রইলাম পড়ে,
কোথায় গেলে পাব তাঁরে,
সুভাস ছড়াও সংগোপনে,
ভরে উঠে নিজ আঙ্গিনে।
সাথী হারা, একা রইলাম পড়ে,
কোথায় গেলে পাব তাঁরে,
একা আমি, একাই আছি,
তোমার আশায়, দিন রজনী,
তুমি আসবে ই দেখা হলো,
যেন তোমার, একাকত্ব জীবন এবার,
আবার কষ্টে দেখা হবে,
ও গো প্রাঁণ পেয়সী,
তোমায় এত ভাল বাসি,
দীদারের আশায়, বসে আছি,
আহা জারি দুর হবে
তোমার দর্শনে।
সাথী হারা, একা রইলাম পড়ে,
কোথায় গেলে পাব তাঁরে,
আমি তোমার অপোয়,
একা রইলাম এ পাড় ,
শূন্য হৃদয় মরুভূমি, তোমাকে ছেড়ে
সাথী হারা, একা রইলাম পড়ে,
কোথায় গেলে পাব তাঁরে।

নাত-ই-মুরশিদ ৩৯
সকাল দুপুর সন্ধ্যা সাজে,
মন ছুটে তোমার দিকে,
কবে হবে দেখা আবার,
বেদনা ভরা মনটা আমার,
আশায় আশায় দিন রজনী,
যুগ বছর হাজার শতাব্দী,
মরছি শুদু ক্বনাতে,
১৯৭৮ সনে তোমায়,
প্রথম স্বপ্ন দেখে,
পাগল হলাম সেই দিন থেকে,
আজও পাগল হারিয়ে পেলে,
মাঝখানে এলো মেলো,
প্রেমের সাগর তরঙ্গ উঠল,
পাগলা সাগর থেমে গেলো,
ভাটা নামল আবার তরঙ্গে,
চর জাগল প্রেম সাগরে,
ভরে গেল বালু চরে,
স্বপ্ন এসে জীবন টারে,
প্রেমের বানে বাসিয়ে দিলে,
মধ্য সময় আলো হয়ে,
কেন তুমি প্রেমের চলে,
প্রেমের জোয়ার হৃদয়ে জাগালে,
এখনতো সেই আমি,
আগে যেমন তেমনি আছি,
শুস্ক প্রেমের অনল দাহে,
পুড়িয়ে দিলে হৃদয়টারে,
লক্ষ বেদনা মনটা এবার,
ক্ষনে ক্ষনে ধোঁয়া উঠে,
মনে হয় এইত এলে,
প্রেমের জোয়ারে বান ডাকিল,
মৃধু মৃধু মনটা নাচে,
দর্শন দিবে হৃদয় আকাশে,
কখন আসবে জোয়ার দিতে,

মরুর মাঝে।

No comments:

Post a Comment