News: MAHFIL ROUTINE: 1. Yearly Mahfil a. Eid E Miladunnabi (Sallallahu Alaihi Wa Sallam)11Rabiul Aeull b. Eid E Miladul Wajeeh (Radhiallahu Anhu) 11jilkad 2. Monthly Mahfil a.The Holy Ashura b. The Akheri Chahar Somba c. Mi’rajunnabi (Sallahu Alaihi Wa Sallam)Night d. Lailatul Barat e. Lailatul Qadr f. 18th ramadan- Iftar Mahfil (Darbar’s) g. 18th Ramadan- Iftar Mahfil (RANI MA’s) h. 29th Zilhajj- (night) Khandakar Qari Mohammad AbulHashem (radhiallahu Anhu)’s Isal ESawab Mahfil i. 11th Rabius Sani (night)Fateha E Iyazdahm And Umme Hani (RANI MA) (RadiallahuAnha)’s Isal E Sawab Mahfil 3.Weekly Mahfil Every Thursday after ‘Isha- Zikr, Milad And Qiyam Mahfil Other Mahfils a. Salatul Jum’a b. Eid ul Fitr c. Eid ul Azha d. Afarafa Day Mahfils For Bangladesh Affairs Routine: a. Independence Day of Bangladesh, 26th March b. Victory Day of Bangladesh, 16th December c. International Mother Language Day and National Shaheed Day, 21th February d. Death Anniversary of Shahid President Ziaur Rahman, 30th May d. National Mourning Day and Death Anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, 15th August

Tuesday, October 17, 2017

ইয়াজিদ কেন কাফের পড়ুন বিস্তারিত?

কঠোর খোদায়ী শাস্তিতে ভুগে ইয়াজিদ মারা যায়

আজ হতে ১৩৭১ বছর আগে ৬৪ হিজরির এই দিনে (১৪ রবিউল আউয়াল) জালিম খোদাদ্রোহী শাসক ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া মারা যায়। (মহান আল্লাহর অনন্ত অভিশাপ তার ওপর বর্ষিত হোক)

ইয়াজিদ তার তিন বছর নয় মাসের অবৈধ শাসনামলে অন্তত: তিনটি মহাপাপ অপরাধযজ্ঞের জন্য ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত ঘৃণিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে। এই তিনটি মহাপাপের মধ্যে প্রথমটি হল ৬১ হিজরিতে কারবালায় বিশ্বনবী (সা.)এর প্রিয় নাতী হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) তাঁর ছয় মাসের শিশুপুত্র হযরত আলী আসগরসহ নবী (দরুদ) বংশের ১৮ জন সদস্যকে নৃশংসভাবে পিপাসার্ত অবস্থায় শহীদ করা। কারবালায় ইমামের আরো প্রায় ৬০ জন সমর্থকও বীরের মত লড়াই করে শহীদ হয়েছিলেন।

ইমাম শিবিরের জন্য কয়েকদিন ধরে পানি সরবরাহ নিষিদ্ধকারী ইয়াজিদ বাহিনী ইমাম হুসাইন (রা.)এর পবিত্র লাশসহ নবী-পরিবারের সদস্যদের লাশের ওপর ঘোড়া ছুটিয়ে লাশগুলো দলিত-মথিত করেছিল এবং তাঁদের মস্তক ছিন্ন করে বর্শার আগায় বিদ্ধ করেছিল। তারা কারবালায় ইমাম শিবিরের তাঁবুগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে লুটপাট চালিয়েছিল। ছাড়াও নবী-বংশের নারী শিশুদেরকেও টেনে হিঁচড়ে শিকল পরিয়ে বন্দী অবস্থায় কুফার গভর্নরের দরবারে দামেস্কে ইয়াজিদের দরবারে নিয়ে গিয়েছিল খোদাদ্রোহী ইয়াজিদ বাহিনী।

ইয়াজিদের দ্বিতীয় মহাপাপটি ছিল পবিত্র মদীনা শহরে হামলা এবং মসজিদে নববীর অবমাননা তিন দিন ধরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে মদীনায় লুট-পাট আর গণহত্যা চালানোসহ গণ-ধর্ষণের অনুমতি দেয়া। (বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন ভারত উপমহাদেশের বিখ্যাত আলেম মাওলানা শাহ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলাভী-. প্রণীত 'কারবালার পর পবিত্র মক্কা মদীনায় ইয়াজিদি তাণ্ডবলীলা'শীর্ষক প্রবন্ধ)

ইয়াজিদের তৃতীয় মহাপাপটি ছিল পবিত্র মক্কার কাবা ঘরে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেয়া। পাষণ্ড ইয়াজিদের বর্বর সেনারা (কারবালার মহাঅপরাধযজ্ঞ সম্পাদনের তিন বছর পর) পবিত্র মক্কা অবরোধ করে। তারা মহান আল্লাহর ঘরে তথা পবিত্র কাবায় জ্বলন্ত ন্যাপথালিনযুক্ত অগ্নি-গোলা নিক্ষেপ করে কাবা ঘর জ্বালিয়ে দেয়। ফলে মক্কার বিশিষ্ট সাহাবীদের কাছে ইয়াজিদের খোদাদ্রোহী চরিত্রের বিষয়টি আবারও স্পষ্ট হয়।



পবিত্র কাবাঘরে হামলার পরই খবর আসে যে কুখ্যাত জালিম কাফির ইয়াজিদ মারা গেছে।

কারবালার ঘটনার পর নরাধম ইয়াজিদ তীব্র মাথা-ব্যথা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। একদিন সে মাতাল অবস্থায় শৌচাগারে পড়ে যায় এবং সেখানেই প্রাণ ত্যাগ করে। সময় তার বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর এবং তার পুরো শরীর আলকাতরার মত কালো হয়ে গিয়েছিল।



অবশ্য মহাপাপী অভিশপ্ত ইয়াজিদের মৃত্যু সম্পর্কে কয়েকটি বর্ণনা রয়েছে।



কয়েকটি বর্ণনায় (সামান্য পার্থক্যসহ) এসেছে, ইয়াজিদ ৬৪ হিজরিতে একবার তার বেশ কিছু লোকজন নিয়ে পশু শিকারের জন্য রাজধানীর বাইরে যায়। কয়েক দিনের পথ অতিক্রমের পর এক জায়গায় একটি অতি সুন্দর হরিন দেখতে পায় সে। অবস্থায় ইয়াজিদ একাই ওই হরিন ধরবে বলে ঘোষণা করে এবং কাজে কারো সহযোগিতার দরকার নেই কেউ যেন তার সঙ্গে না আসে বলেও সে অন্যদের নির্দেশ দেয়।



কিন্তু হরিনটিকে ধরতে বা শিকার করতে গিয়ে ইয়াজিদ উপত্যকা থেকে উপত্যকা পর্যন্ত ঘোড়া ছুটিয়েও সফল হয়নি এবং এক পর্যায়ে হরিনটি বহু দূরের এক উপত্যকায় অদৃশ্য হয়ে গেলে ইয়াজিদ নিজেকে হারিয়ে ফেলে। ইয়াজিদের লোকজন আরো আগে তাকে হারিয়ে ফেলেছিল।



পাষণ্ড ইয়াজিদ এক ভয়াবহ প্রান্তরে তীব্র পিপাসার্ত অবস্থায় পানি খুঁজতে থাকে। কিন্তু কোথাও সে পানি খুঁজে পায়নি।



এক পর্যায়ে সে পানির পাত্র হাতে এক আরব ব্যক্তিকে দেখতে পায়। সে তাকে পানি দেয়ার অনুরোধ জানায় এবং বলে যে, আমাকে চিনতে পারলে পানি দেয়া ছাড়াও তুমি অনেক সম্মানও করবে।



ওই আরব ব্যক্তি বলেন: কে আপনি?



ইয়াজিদ বলে: আমি আমিরুল মু'মিনিন ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া।



কথা শুনে ওই আরব ব্যক্তি মহাক্ষিপ্ত হয়ে বলে: খোদার শপথ, তুই হলি ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রা.)' হত্যাকারী, আল্লাহ তাঁর রাসূলের (সা.) শত্রু! আর কথা বলেই সে তরবারি বের করে ইয়াজিদকে হত্যা করতে এগিয়ে আসে।



অবস্থায় ইয়াজিদের ঘোড়া মারাত্মভাবে ভীত হয়ে পালাতে চাইলে ইয়াজিদ ঘোড়ার পিঠ থেকে উল্টে পড়ে এবং তার একটি পা ঘোড়ার রেকাবে আটকে যায়। অবস্থায় ভীত-সন্ত্রস্ত ঘোড়াটি ইয়াজিদকে নিয়ে কাঁটাযুক্ত বন এবড়ো থেবড়ো পাথরের ওপর দিয়ে পালাতে থাকায় তার দেহ থেতলে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। (অন্য বর্ণনা অনুযায়ী নিজ ঘোড়ার পায়ের তলেই পিষ্ট হয়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ইয়াজিদ।)



ওদিকে ইয়াজিদের বিশেষ প্রহরীদের একটি দল তাকে খুজতে এসে দেখে যে ইয়াজিদের শরীর বলতে আর কিছু নেই কেবল তার একটি রান বা পায়ের অংশ বিশেষ ঘোড়ার রেকাবের মধ্যে আটকে ঝুলে আছে। (লোহুফ, সাইয়্যেদ ইবনে তাউস)



শেইখ সাদুক্বের বর্ণনা অনুযায়ী ইয়াজিদ এক রাতে মাতাল অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীর এতটা কালো হয়ে পড়েছিল যে মনে হয় যেন আলকাতরা মাখানো হয়েছিল এই পাষণ্ডের গায়ে। তাকে দামেস্কের বাব আস সাগিরে দাফন করা হয়।

'
আলকামিল ফিততারিখ' বইয়ে ইয়াজিদের মৃত্যু সম্পর্কে এসেছে: মিনজানিক (বা পাথর নিক্ষেপক কামান জাতীয় অস্ত্র) থেকে পাথরের একটি টুকরো ইয়াজিদের মুখের এক পাশে আঘাত করায় সে কিছুকাল অসুস্থ থেকে মারা যায়।



আবার কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, বিশ্বনবী (সা.) আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (রাঃ)' বিশিষ্ট সাহাবি হুজর বিন উদাই কিন্দির (মুয়াবিয়া তাঁকে শহীদ করেছিল) কন্য সালামি হুজরের ভাতিজা আবদুর রহমানের সহায়তায় ইয়াজিদকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে জাহান্নামে পাঠিয়েছিলেন।

তিন বছর সাড়ে নয় মাস শাসনের পর রাজা ইয়াজিদ ৩৭ বছর বয়সে জাহান্নামবাসী হয়।



মুয়াবিয়ার এক খ্রিস্টান উপপত্নীর গর্ভে জন্ম নিয়েছিল ইয়াজিদ। ইয়াজিদের মায়ের নাম ছিল মাইসুন বিনতে বাইদাল আল কুলাইবি আন-নাসরানিয়া। সে ছিল এক সিরিয় বেদুইন। সিরিয়ার গভর্নর থাকাকালে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান এই নারীকে অপহরণ করে এবং পরে পরিত্যাগ করে। অনেকের মতে ইয়াজিদ ছিল এক অবৈধ বা জারজ সন্তান।

ইয়াজিদকে দুধ পান করিয়েছিল বেশ কয়েকজন চরিত্রহীন মহিলা।

ইয়াজিদ কোনো ধর্মে বিশ্বাস করত না, যদিও তার গলায় ঝুলত মায়ের দেয়া একটি ক্রুশের লকেট। সে মাত্রাতিরিক্ত মদ পান করে মাতাল হয়ে থাকত এবং তার সঙ্গে সমকামে লিপ্ত হতে নিজের চাকরদের আহ্বান জানাত।

ইয়াজিদের মৃত্যুর ৫৮ বছর পর ১৩২ হিজরিতে আব্বাসীয় খলিফা আবুল আব্বাস আস সাফ্ফাহ উমাইয়া খলিফাদের কবর খুঁড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ফলে আমির মুয়াবিয়াসহ তার পরের সব উমাইয়া রাজার কবর খুঁড়ে ফেলা হয়। ইয়াজিদের কবরে কেবল তার পায়ের একটি হাড় পাওয়া যায়, আর সবই ছিল কয়লার মত কালো হয়ে যাওয়া ছাইতুল্য মাটি। অর্থাত কবরের আজাবে তার পুরো শরীর হাঁড় পুড়ে গিয়েছিল।

সুন্নি আলেমদের মতে ইয়াজিদ ছিল কাফের। কারণ, সে প্রকাশ্যেই বলেছিল নবী এবং ওহী বলতে কখনও কিছু ছিল না। অভিশপ্ত ইয়াজিদের সামনে যখন ইমাম হুসাইন (রা.)এর পবিত্র শির মুবারক আনা হয় তখন সে বলেছিল, আহা! আমার (কাফের)পূর্বপুরুষরা যদি আজ বেঁচে থাকত তাহলে তারা দেখতে পেতেন যে কিভাবে আমি বদর এবং ওহুদ যুদ্ধে (মুসলমানদের হাতে) নিহত আমার (দাদা আবু সুফিয়ানের) আত্মীয়-স্বজনদের রক্তের বদলা নিয়েছি মুহাম্মদের কাছ থেকে! এই নরাধম (ইয়াজিদ) আরো বলেছিল, হুসাইনকে হত্যার মাধ্যমে আমরা মুহাম্মদকেই হত্যা করেছি!

(
উল্লেখ্য, নবীবংশকে তথা হযরত আলী (রা.) নবী নন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা (রা.) এর পুত্র বেহেশতী যুবকদের সর্দার ইমাম হুসাইন-রা.এর বংশধরদের কাছে ইসলামী খেলাফত ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে আব্বাসীয়রা জনগণের সমর্থন নিয়ে উমাইয়া রাজবংশকে উতখাত করলেও আব্বাসীয়রাও নবী-বংশের কোনো ইমামের কাছে কখনও ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি। বরং আব্বাসীয়রা নবীবংশের ওপর জুলুম অত্যাচারের ব্যাপারে উমাইয়াদেরকেও ছাড়িয়ে যায় এবং তাদের হাতে নবী-বংশের জন ইমাম শাহাদত বরণ করেছেন।) #


নজদীপন্থীদের এজিদ বন্দনার আসল রহস্য! [এক]
- ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী
=============
[এটি দলিল ভিত্তিক গবেষণালব্ধ একটি রচনা নিজে পড়ুন এবং আপনার টাইমলাইনে কপি পেস্ট করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন ধন্যবাদ!]

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারবালা প্রান্তরের সেইসব মহান শহীদদের প্রতি লক্ষ কোটি দরুদ সালাম জানিয়ে আজকে একটি গবেষণা ধর্মী লিখা শুরু করছি সাথে সাথে পাপিষ্ঠ, নরাধম, জাহান্নামের কীট, মক্কা-মদীনা ধ্বংসকারী, সাহাবাদের অপমানকারী, হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে অবৈধ খেলাফতকে আঁকড়ে থাকা এবং কারবালার নির্মমতার আদেশকারী এজিদের প্রতি আল্লাহ্পাকের শত লানত কামনা করছি আর লানত তাদের প্রতি যারা এজিদের বন্দনায় বিমোহিত এবং এজিদ তার ধ্বংসলীলাকে সমর্থন করে কারবালার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করাকে বিদ'আত হিসেবে আখ্যায়িত করে নব্য এজিদিয়া তথা আহলে খবিস, ঘোমটা মৌ-লোভী আর টাই ওয়ালাদের প্রতিও শত কোটি লানত বর্ষিত হোক কারণ এরা সবাই এজিদকে ভালোবাসে, এজিদের জন্য জান্নাত কামনা করে এবং অপরদিকে ইমাম হুসেইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বিদ্রোহী মনে করে থাকে নাউজুবিল্লাহ!

ওহাবী, আহলে খবিস, কওমি তথা ভ্রান্ত সব দলের শিকড় রসুনের গোরার মতো এক জায়গায় এসে মিলেছে কারবালার নির্মম ঘটনা সমস্ত মুসলমানের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, কে হক্বপন্থী আর কে বাতিল পন্থী উপরোক্ত দলগুলোর সবাই পাপাচার এজিদকে কেবল নির্দোষই মনে করে না, বরং জামানার শ্রেষ্ঠ আলেম বলে আখ্যায়িত করে থাকে আর এর সাথে নবী দৌহিত্র আর মা ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার নয়নের মণি বেহেশতের সর্দার ইমাম হুসেইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে মনে করে ন্যায় সংগত খলিফা এজিদের বিরুদ্ধাচারণকারী এজিদ নাকি ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ ছিল আস্তাগফিরুল্লাহ!

অনেকদিন যাবত মনে মনে পরিকল্পনা করে আসছিলাম, আশুরা নিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী লেখা লিখবো গবেষণাধর্মী এই লেখাতে খুঁজে দেখব কেন সালাফী নামধারী আহলে খবিস শয়তানেরা এজিদ কর্তৃক সংগঠিত কারবালার ঘটনাকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে শুধু তাই নয়, নবী-ওলী দুষমন ভ্রান্ত এই দলগুলো কেনই বা এজিদের মতো একজন পাপিষ্ঠ নরাধমকে মনে করে নির্দোষ এবং জানামার শ্রেষ্ঠ আলেম নাউজুবিল্লাহ! সৌদি বেতনভুক্ত এবং পেট্রো-ডলারের কেনা গোলামদের মুখে সত্যকে আড়াল করার প্রবৃত্তি লক্ষ্য করবেন এদের সবার কিতাব, বই-পুস্তক আর আলোচনায় একটি বিষয় তারা অবশ্যই তুলে ধরার জোর অপচেষ্টা করে আসছে আর তা হলো, আশুরা পালন করা যাবে কিন্তু কারবালার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা, এদিনের স্মরণ করা এবং শোক পালন করা হারাম এবং বিদ'আত এর পিছনে রহস্য কী?

এবার তাহলে পবিত্র কুরআনের আয়াত, সহীহ হাদিস এবং ঐতিহাসিক ঘটনার আলোকে একটু খোঁজ নিয়ে দেখি কেন কারবালার ঘটনাকে এরা মিথ্যা দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করে আর কেনই বা দিনের আলোচনা তথা শিক্ষা থেকে মুসলিম উম্মাহকে বঞ্চিত বিরত রাখতে সচেষ্ট

খাজা গরীবে নেওয়াজ মঈনউদ্দিন চিশতি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন-
==================
শাহ আস্ত হুসাইন, বাদশাহ আস্ত হুসাইন,
দ্বীন আস্ত হুসাইন, দ্বীন পানাহ আস্ত হুসাইন,
ছেরদাদ ওয়া না দাদ দস্ত দরে দস্তে ইয়াজিদ,
হক্কা কে বেনায়ে লা ইলাহ আস্ত হুসাইন
==================
অর্থাৎ- আধ্যাত্মিক জগতের সম্রাট হলেন হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু),
বাদশাহ হলেন হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু),
ধর্ম হলেন হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু),
ধর্মের আশ্রয়দাতা হলেন হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)
দিলেন মাথা মোবারক, না দিলেন বায়াতের হাত, ইয়াজিদের হাতে
সত্য তো এটাই যে লা-ইলাহার সমস্ত স্তম্ভই হলো হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)

উপমহাদেশের খ্যাতনামা আলেম কবি মওলানা মোহাম্মদ আলী জওহরের কবিতা,

'কাতলে হোসাইন আসল মে মুর্গে ইয়াজিদ হ্যায়,
ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারবালা কে বাদ'

আর এরা বলে কারবালার ঘটনার পর ইসলাম মরে গেছে কারবালার ঘটনার ফলশ্রুতিতে এজিদের পতন হয়েছিল, এটাকেই কি এই নফস-পূজারি ঘোমটা মৌ-লোভীরা ইসলামের পতন মনে করে? মুসলমান মনে করে ইমাম হুসেইন রাঃ হলেন সত্যের মাপকাঠি আর এজিদ-পুজারী, নফস-পূজারী দলগুলো মনে করে এজিদ ছিল ইসলামী খেলাফতের ন্যায়সঙ্গত উত্তরাধিকার আস্তাগফিরুল্লাহ! এরা দুনিয়াবী অর্থের মায়ায় এতই বিভোর হয়ে আছে যে, নামাজে যাদের উপর দরুদ না পড়লে নামাজই হবে না, তাদের সমালোচনা করতেও একটু বুক কাঁপে না

[পরের পর্বে সমাপ্ত হবে, ইনশাআল্লাহ]



No comments:

Post a Comment