News: MAHFIL ROUTINE: 1. Yearly Mahfil a. Eid E Miladunnabi (Sallallahu Alaihi Wa Sallam)11Rabiul Aeull b. Eid E Miladul Wajeeh (Radhiallahu Anhu) 11jilkad 2. Monthly Mahfil a.The Holy Ashura b. The Akheri Chahar Somba c. Mi’rajunnabi (Sallahu Alaihi Wa Sallam)Night d. Lailatul Barat e. Lailatul Qadr f. 18th ramadan- Iftar Mahfil (Darbar’s) g. 18th Ramadan- Iftar Mahfil (RANI MA’s) h. 29th Zilhajj- (night) Khandakar Qari Mohammad AbulHashem (radhiallahu Anhu)’s Isal ESawab Mahfil i. 11th Rabius Sani (night)Fateha E Iyazdahm And Umme Hani (RANI MA) (RadiallahuAnha)’s Isal E Sawab Mahfil 3.Weekly Mahfil Every Thursday after ‘Isha- Zikr, Milad And Qiyam Mahfil Other Mahfils a. Salatul Jum’a b. Eid ul Fitr c. Eid ul Azha d. Afarafa Day Mahfils For Bangladesh Affairs Routine: a. Independence Day of Bangladesh, 26th March b. Victory Day of Bangladesh, 16th December c. International Mother Language Day and National Shaheed Day, 21th February d. Death Anniversary of Shahid President Ziaur Rahman, 30th May d. National Mourning Day and Death Anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, 15th August

Tuesday, October 17, 2017

Wajih Silpokola Academi



c.p.পীর বা মুরশীদ অর্থ পথপ্রদর্শক। পীর তিনি যিনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তায়ালা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার প্রশিক্ষণ দেন।
মুরীদ
মুরীদ অর্থ ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তায়ালা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার ইচ্ছা পোষণ করে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে, সে ব্যক্তির হল মুরীদ।
এ ব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে, পীর হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন করার প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে প্রশিক্ষণ নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল মুরীদ।
আল্লাহ তায়ালা সূরা তাওবার ১১৯ নাম্বার আয়াতে বলেন-
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻛُﻮﻧُﻮﺍ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼَّﺎﺩِﻗِﻴﻦَ
হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক।
সূরা ফাতেহার ৬ এবং সাত নাম্বার আয়াত
ﺍﻫْﺪِﻧَﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟْﻤُﺴْﺘَﻘِﻴﻢَ , ﺻِﺮَﺍﻁَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻤْﺖَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ
আমাদের সরল সঠিক পথ দেখাও। তোমার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ।
আর কোরআনের ভাষায় নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন- (সূরা নিসা, আয়াত নাম্বার-৬৯)
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀِ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ
যাদের উপর আল্লাহ তাআলা নিয়ামত দিয়েছেন, তারা হল নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ।
সহিহ বুখারি শরিফে হযরত আবু মুসা রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ﻣﺜﻞ ﺍﻟﺠﻠﻴﺲ ﺍﻟﺼﺎﻟﺢ ﻭﺍﻟﺴﻮﺀ ﻛﺤﺎﻣﻞ ﺍﻟﻤﺴﻚ ﻭﻧﺎﻓﺦ ﺍﻟﻜﻴﺮ ﻓﺤﺎﻣﻞ ﺍﻟﻤﺴﻚ ﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﻳﺤﺬﻳﻚ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺒﺘﺎﻉ ﻣﻨﻪ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺠﺪ ﻣﻨﻪ ﺭﻳﺤﺎ ﻃﻴﺒﺔ ﻭﻧﺎﻓﺦ ﺍﻟﻜﻴﺮ ﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﻳﺤﺮﻕ ﺛﻴﺎﺑﻚ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺠﺪ ﺭﻳﺤﺎ ﺧﺒﻴﺜﺔ
সৎসঙ্গ আর অসৎ সঙ্গের উদাহরণ হচ্ছে মেশক বহনকারী আর আগুনের পাত্রে ফুঁকদানকারীর মত। মেশক বহনকারী হয় তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তুমি নিজে কিছু খরীদ করবে। আর যে ব্যক্তি আগুনের পাত্রে ফুঁক দেয় সে হয়তো তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দিবে, অথবা ধোঁয়ার গন্ধ ছাড়া তুমি আর কিছুই পাবে না
উপরে উল্লেখিত আয়াতসমুহ এবং হযরত আবু মুসা রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসহ আরো অনেক হাদিস দ্বারা প্রতিয়মান হয় যে, সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাকা এবং তাদের সাহচর্য গ্রহণ করা। আর এটাকেই বর্তমানে পীর-মুরীদী বলে।
একজন হক্কানী পীরের কাছে মুরীদ হলে শরীয়তের বিধান পালন ও নিষিদ্ধ বিষয় ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ঠা আসে মুরুব্বীর কাছে জবাবদিহিতা থাকার দরুন। সেই সাথে আল্লাহর ভয়, ইবাদতে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তবে এটা জরুরী নয় যে, আখেরাতে নাজাত পাওয়ার জন্য মুরীদ হতেই হবে।
আর পীর গ্রহণ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, তিনি যেন আবার বেদআতি, ভন্ড, মাজারপূজারী, বেপর্দা না হোন। এমন পীরের কাছে মুরিদ হলে ঈমানহারা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
মাযার
যিয়ারত করার স্থানকে মাযার বলা হয়। কবর যেহেতু যিয়ারত করা হয়, তাই কবরকে মাযার বলতে কোন অসুবিদা নেই।
মাযার যিয়ারত
জাহেলী যুগের কবর পূজা সম্পর্কে ঘৃণা সৃষ্টির জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে উম্মতকে কবরের কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন। এরপর যখন ঐ সময়ের রসম-রেওয়াজ ভালোভাবে দূর হল তখন তিনি কবর-যিয়ারতের অনুমতি দিয়ে বলেছেন-
ﻛﻨﺖ ﻧﻬﻴﺘﻜﻢ ﻋﻦ ﺯﻳﺎﺭﺓ ﺍﻟﻘﺒﻮﺭ، ﻓﺰﻭﺭﻭﻫﺎ، ﻓﺈﻧﻬﺎ ﺗﺰﻫﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﺗﺬﻛﺮ ﺍﻵﺧﺮﺓ
আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলা, এখন যিয়ারত কর। কোন সমস্যা নেই। কেননা কবর যিয়ারত মৃত্যুকে স্মরণ করে দেয়।
কবর পদদলিত করা নিষেধ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর পাকা করতে, তার উপর কিছু লিখতে এবং তা পদদলিত করতে নিষেধ করেছেন। (তিরমিযি, হাদিস নাম্বার ১০৫২)
কবরের উপর বসা
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কবরের উপর বসবে না, কবরের দিকে ফিরে নামাযও পড়বে না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নাম্বার ৯৭২)
কবর পাকা করণ এবং এর উপর গম্বুজ নির্মাণ
হযরত জাবির রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর পাকা করতে, এর উপর গম্বুজ নির্মাণ করতে আর কবরের উপর বসতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নাম্বার ৯৭০)
ইমাম মুহাম্মাদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কিতাবুল আসারে বলেন, কবর খনন করতে যে মাটি কবর থেকে বের হয়েছে তার চেয়ে বেশি দেওয়া আমরা সহীহ মনে করি না। কবর পাকা করা ও লেপ দেওয়াকে মাকরূহ মনে করি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর চতুষ্কোণ বানাতে ও পাকা করতে নিষেধ করেছেন। এ-ই আমাদের মাযহাব। আর এটাই (ইমাম ) আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির বক্তব্য। (পৃষ্ঠা ৯৬)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﺃﻣﺎ ﺍﻟﺒﻨﺎﺀ ﻓﻠﻢ ﺃﺭ ﻣﻦ ﺍﺧﺘﺎﺭ ﺟﻮﺍﺯﻩ
আর (কবরে) ইমারত নির্মাণ বিষয়ে কাউকে দেখিনি যিনি এর বৈধতা অবলম্বন করেছেন। (আদ-দুর্ মাআশ-শামী খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৭)

কাযী ছানাউল্লাহ হানাফী পানিপথী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
আর এই যে ওলী-বুযুর্গের কবরের উপর উঁচু উঁচু ইমারত নির্মাণ করে, বাতি জ্বালায় এবং এজাতীয় আরো যা কিছু করে সব হারাম। (মা-লা-বুদ্দা মিনহু)
কবরে গিলাফ চড়ানো
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﺗﻜﺮﻩ ﺍﻟﺴﺘﻮﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻘﺒﻮﺭ
কবরে চাদর দেওয়া মাকরূহ। (আদ-দুর্ মাআশ-শামী খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২২৮)
উরুস করা
আবু দাউদ শরিফে হযরত আবু হুরায়রা রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ﻻ ﺗﺠﻌﻠﻮﺍ ﺑﻴﻮﺗﻜﻢ ﻗﺒﻮﺭﺍ ﻭﻻ ﺗﺠﻌﻠﻮﺍ ﻗﺒﺮﻯ ﻋﻴﺪﺍ ﻭﺻﻠﻮﺍ ﻋﻠﻰ ﻓﺈﻥ ﺻﻼﺗﻜﻢ ﺗﺒﻠﻐﻨﻰ ﺣﻴﺚ ﻛﻨﺘﻢ
তোমরা স্বীয় ঘরকে কবর বানিয়োনা। এবং আমার কবরে উৎসব করোনা। তবে হ্যাঁ আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। নিশ্চয় তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে।
আবু দাউদের ব্যখ্যাগ্রন্থ আওনুল মাবুদে এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা মুনাভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
ﻭﻳﺆﺧﺬ ﻣﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﺟﺘﻤﺎﻉ ﺍﻟﻌﺎﻣﺔ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺃﺿﺮﺣﺔ ﺍﻷﻭﻟﻴﺎﺀ ﻓﻲ ﻳﻮﻡ ﺃﻭ ﺷﻬﺮ ﻣﺨﺼﻮﺹ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﻫﺬﺍ ﻳﻮﻡ ﻣﻮﻟﺪ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﻭﻳﺄﻛﻠﻮﻥ ﻭﻳﺸﺮﺑﻮﻥ ﻭﺭﺑﻤﺎ ﻳﺮﻗﺼﻮﻥ ﻓﻴﻪ ﻣﻨﻬﻲ ﻋﻨﻪ ﺷﺮﻋﺎ ﻭﻋﻠﻰ ﻭﻟﻲ ﺍﻟﺸﺮﻉ ﺭﺩﻋﻬﻢ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ﻭﺇﻧﻜﺎﺭﻩ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﺇﺑﻄﺎﻟﻪ
এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, সাধারণ মানুষ যারা বছরের কোন নির্দিষ্ট মাসে বা দিনে ওলীদের মাযারে একত্রিত হয় এবং বলে-আজ পীর সাহেবের জন্ম বার্ষিকী। সেখানে তারা পানাহারেরও আয়োজন করে, আবার নাচ গানেরও ব্যবস্থা করে থাকে, এ সবগুলিই শরীয়ত পরিপন্থী ও গর্হিত কাজ। এ সব কাজ প্রশাসনের প্রতিরোধ করা জরুরী।

সুতরাং এ হাদিস এবং হাদিসের ব্যাখ্যা দ্বারা বুঝা গেল, মাযার ঘিরে উরুস করা হারাম এবং নাজায়েয।
মাযারে বাতি জ্বালানো
মাযারে বা কবরে (প্রয়োজন ছাড়া) বাতি জ্বালানো জায়েয নেই। এটি উলামায়ে কেরামের কাছে সর্বসম্মত মত।
আল্লামা আলী কারী হানাফী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﺍﻟﻨﻬﻲ ﻋﻦ ﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﺴﺮﺝ ﻟﻤﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺗﻀﻴﻴﻊ ﺍﻟﻤﺎﻝ، ﻷﻧﻪ ﻻ ﻧﻔﻊ ﻷﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺮﺍﺝ ﻭﻷﻧﻬﺎ ﻣﻦ ﺁﺛﺎﺭ ﺟﻬﻨﻢ، ﻭﺇﻣﺎ ﻟﻼﺣﺘﺮﺍﺯ ﻋﻦ ﺗﻌﻈﻴﻢ ﺍﻟﻘﺒﻮﺭ ﻛﺎﻟﻨﻬﻲ ﻋﻦ ﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﻘﺒﻮﺭ ﻣﺴﺎﺟﺪ
কবরে বাতি জ্বালানোর নিষেধ হয়ত এজন্য যে, তা সম্পদ নষ্ট করা। কারণ এ বাতি কারো কোনো কাজে আসে না এবং এজন্যও যে, আগুন তো জাহান্নামের নিদর্শন (সুতরাং একে কবর থেকে দূরে রাখা চাই)। অথবা এ নিষেধ কবরের তাযীম থেকে রক্ষা করার জন্য। যেমনটা কবরকে সিজদাগাহ বানানোর নিষিদ্ধতাও একারণেই। (মিরকাত)

মাযারে মান্নত
আল্লাহ ছাড়া কারো নামে মান্নত বা কুরবানী করা যায়না। কারণ মান্নত ও কুরবানী হচ্ছে ইবাদত। আর ইবাদত আল্লাহ ছাড়া কারা জন্য করা জায়েজ নয়। এটিও সর্বসম্মত মত।
মাজার বা পীরকে সেজদা করার হুকুম
মাজার বা পীরকে সেজদা করা একটি শিরকী কর্ম। এ কাজ থেকে সবার বিরত থাকা আবশ্যক। নতুবা ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা সকল গোনাহই মাফ করে দিতে পারেন। কিন্তু শিরকের গোনাহ মাফ করবেন না। তাই সকলেরই সাবধান থাকা উচিত।
আল্লাহ ছাড়া কারো জন্য সেজদা করার নিষিদ্ধতা সম্পর্কিত কয়েকটি হাদীস দেখা যেতে পারে-
হযরত মুআজ বিন জাবাল রাযিআল্লাহু আনহু সিরিয়ায় গিয়ে দেখলেন, সেখানকার খৃষ্টানরা পোপ ও পাদ্রীদেরকে সেজদা করে। তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা কেন এমন কর?
তারা উত্তরে বলল, এটাতো আমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অভিবাদন [ভক্তি ও সম্মান প্রকাশের মাধ্যম] ছিল।
তিনি বললেন, তাহলে আমরা স্বীয় নবীকে এ প্রকারের ভক্তি প্রকাশের অধিক অধিকার রাখি।
সিরিয়া হতে প্রত্যাবর্তনের পর হযরত মুআজ রাযিআল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর নিকট তাঁকে সেজদা করার অনুমতি চাইলে তিনি ইরশাদ করেন,
এরা স্বীয় নবীদের উপর মিথ্যারোপ করছে। যেমন ওরা নিজেদের আসমানী কিতাবে বিকৃতি সাধন করেছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদের মনগড়া অভিবাদনের চাইতে অতি উত্তম অভিবাদন সালাম আমাদের দান করেছেন।(মুস্তাদ
রাকে হাকিম, হাদিস নাম্বার ৭৩২৫)
মুসলিম শরিফে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের পূর্ববর্তী কত উম্মত স্বীয় নবী ও বুজুর্গদের কবরকে সেজদার স্থান বানিয়েছে। সাবধান! তোমরা কবরকে সেজদার স্থান বানিও না। আমি তোমাদের তা হতে বারণ করছি।
এ আলোচনা দ্বারা প্রমাণ করে আল্লাহ ছাড়া কারো সামনে বা কারো কবরের সামনে সেজদা দেয়া সুষ্পষ্ট কুফরী ও শিরকী কাজ। তাই এসব থেকে বিরত থাকা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন। আমীন।
মীলাদ
মীলাদ অর্থ জন্ম। আর মীলাদুন্নবী মানে নবীর জন্ম।
মীলাদুন্নবী উদযাপন স্বয়ং নবীজির যুগে হয়েছে বলে কোন প্রমাণ নেই। হযরাত সাহাবায়ে কেরাম যারা সবচেয়ে বেশি আশেকে রাসূল ছিলেন। তাঁরাও জন্মদিন পালন করেননি। তাঁদের যোগে কেউ পালন করেছে বলেও প্রমাণিত নেই।
তাবেয়ীগণ, তবে তাবেয়ীগণ পালন করেননি।
এ ঈদে মীলাদুন্নবীর কথা কুরআন, হাদীস এবং ফিক্বহের কোন কিতাবে লেখা নেই।
এটাই পরিস্কার প্রমাণ করে, এটি একটি জঘন্যতম বিদয়াত।
এবার কয়েকটি ফিক্বহের কিতাব থেকে মীলাদুন্নবী বিদআত হওয়ার ব্যাপারে দলিল দিচ্ছি:
*
আল্লামা আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মা সাবাতা বিচ্ছুন্নাতকিতাবে বলেন-
ﻭ ﻗﺪ ﺍﻃﻨﺐ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﺤﺎﺝ ﻓﻲ “ ﺍﻟﻤﺪﺧﻞ ” ﻓﻲ ﺍﻻﻧﻜﺎﺭ ﻋﻠﻲ ﻣﺎ ﺍﺣﺪﺛﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻣﻦ ﺍﻟﺒﺪﻉ ﻭ ﺍﻻﻫﻮﺍﺀ ﻭ ﺍﻟﻐﻨﺎﺀ ﺑﺎﻻﻻﺕ ﺍﻟﻤﺤﺮﻣﺔ ﻋﻨﺪ ﻋﻤﻞ ﺍﻟﻤﻮﻟﺪ ﺍﻟﺸﺮﻳﻒ ﻓﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺜﻴﺒﻪ ﻋﻠﻲ ﻗﺼﺪ ﺍﻟﺠﻤﻴﻞ ﻭ ﻳﺴﻠﻚ ﺑﻨﺎ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ .
ইবনুল হাজ্জ মুদখালকিতাবে মানব রচিত মিলাদী অনুষ্ঠান ও তার অভ্যন্তরে মানুষ যে সব গান বাদ্য আমোদ প্রমোদের প্রবর্তন করেছে তার প্রতিবাদ ও নিন্দায় দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। আল্লাহপাক তাঁর সদিচ্ছার প্রতিদান দিন। আর আমাদেরকে সুন্নতের পথে পরিচালিত করুন।
*
বিদআতী ভাইয়েরাও এই কিতাবটি ভাল করে চিনেন। কিতাবটি হল সেই প্রসিদ্ধ কিতাব শরহে মাওয়াহিবে লুদূনিয়া। এই কিতাবে লেখা আছে-
ﻭ ﻟﻘﺪ ﻧﺺ ﺍﻟﺸﺎﺭﻉ ﻋﻠﻲ ﻓﻀﻴﻠﺔ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﻭ ﻟﻢ ﻳﺘﻌﺮﺽ ﻟﻠﻴﻠﺔ ﻣﻮﻟﺪﻩ ﻭ ﻻ ﻻﻣﺜﺎﻟﻬﺎ ﺑﺎﻟﺘﻔﻀﻴﻞ ﺩﻟﻴﻼ ﻓﻮﺟﺐ ﻋﻠﻴﻨﺎ ﺍﻥ ﻧﻘﺘﺼﺮ ﻋﻠﻲ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻣﻨﻪ ﻭ ﻻ ﻧﺒﺘﺪﻉ ﺷﻴﺌﺎ .
রাসূল সাঃ শবে কদরের ফজিলতের দলিল তো দ্ব্যার্থহীনভাবে বর্ণনা করেছেন, অথচ তাঁর জন্ম রজনী বা এ জাতীয় দিবসগুলোর ফজিলত সম্বন্ধে কোনো বর্ণনা দেননি। সুতরাং শরিয়তে যতটুকু এসেছে ততটুকুর ওপর সীমাবদ্ধ থাকা আমাদের জন্য ওয়াজিব, নতুন কিছু আবিস্কার করা নয়।
*
শায়খুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সিরাতুল মুস্তাকিমকিতাবে বলেছেন-
--
এভাবে কিছু লোক মিলাদুন্নবী (নবীজির জন্মদিবস পালন) নামে যে বিদয়াতের জন্ম দিয়েছে এটা হযরত ঈসা আঃ এর জন্মোৎসব পালনে খৃষ্টানদের অনুকরণে হোক অথবা নবীপাক সাঃ এর মহব্বতে ও তাঁর তাজীমের নামে হোক; তা বিদয়াত। আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাঃ এর অনুকরণ আর অনুসরণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি মহব্বত ও তাজীমের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন, মিলাদুন্নবী পালনের ন্যায় বিদয়াতের মাধ্যমে নয়। অন্য দিকে তাঁর জন্ম তারিখ নিয়েও ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে। মহব্বত আর তাজীমের দাবি এবং প্রয়োজন আজ যেমন আছে, তেমনি সলফে সালেহিনদের যুগেও ছিল। তা সত্তেও তাঁরা এ কাজ করেননি। অথচ তাদের সামনে কোনো বাধাও ছিল না।
* “
যাদুল মাআদনামক কিতাবে ইবনুল কাইয়্যুম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﻭ ﻻ ﻳﺨﺺ ﺍﻟﻤﻜﺎﻥ ﺍﻟﺬﻱ ﺍﺑﺘﺪﺀ ﻓﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺣﻲ ﻭ ﻻ ﺍﻟﺰﻣﺎﻥ ﺑﺸﻴﺊ، ﻭ ﻣﻦ ﺧﺺ ﺍﻻﻣﻜﻨﺔ ﻭ ﺍﻟﻼﺯﻣﻨﺔ ﻣﻦ ﻋﻨﺪﻩ ﺑﻌﺒﺎﺩﺍﺕ ﻻﺟﻞ ﻫﺬﺍ ﻭ ﺍﻣﺜﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﺟﻨﺲ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺟﻌﻠﻮﺍ ﺯﻣﺎﻥ ﺍﺣﻮﺍﻝ ﺍﻟﻤﺴﻴﺢ ﻣﻮﺍﺳﻢ ﻭ ﺍﻋﻴﺎﺩﺍ ﻛﻴﻮﻡ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ ﻭ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺘﻌﺒﺪ ﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﺍﻟﻚ ﻣﻦ ﺍﻻﺣﻮﺍﻝ . ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻼﻍ ﺍﻟﻤﺒﻴﻦ
ওহীর সূচনা স্থল এবং সময়কে কোনো কাজের জন্য নির্দিষ্ট করবেনা, যদি কেউ স্থান সমূহকে নিজ পক্ষ হতে কোনো ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করে ওহী বা সে জাতীয় কোনো নেয়ামতকে উপলক্ষ্য করে সে তখন আহলে কিতাবের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে, যারা হযরত মসীহ আলাইহিস সালামর বিভিন্ন অবস্থার সময়কে মৌসুম ও ঈদ বানিয়ে নিয়েছে; যেমন তাঁর জন্ম দিবসকে তারা উৎসব দিবস এবং তাঁর ইবাদতের দিনকে ইবাদতের দিবস বানিয়ে নিয়েছে।
*
আল্লামা শাহ আব্দুল আজিজ দেহলভি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তোহফায়ে ইছনা আশারিয়াকিতাবে লিখেছেন
ﻭ ﺭﻭﺯ ﺗﻮﺍﻟﺪ ﻭ ﻭﻓﺎﺕ ﻫﯿﭻ ﻧﺒﯽ ﺭﺍ ﻋﯿﺪ ﻗﺮﺍﺭ ﻧﺪﺍﺭﻧﺪ . ﺍﻟﺒﻼﻍ ﺍﻟﻤﺒﯿﻦ ۶
কোনো নবীর জন্ম বা ওফাত দিবসকে আনন্দ উৎসবের উপলক্ষ্য বানানো স্বীকৃত নয়। (সূত্র আল-বালাগুল মুবীন পৃষ্ঠা-৬)।
*
আল্লামা আহমদ ইবনে মুহাম্মদ মিসরী মালেকী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-
ﻗﺪ ﺍﺗﻔﻖ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ ﺍﻻﺭﺑﻌﺔ ﺑﺬﻡ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻌﻤﻞ، ﺭﺍﻩ ﺳﻨﺔ ﺍﺯ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﻟﻤﻌﺘﻤﺪ ﻓﻰ ﻋﻤﻞ ﺍﻟﻤﻮﻟﺪ
মাযহাব চতুষ্ঠয়ের উলামায়ে কেরাম এ কাজ (মীলাদ) নিন্দনীয় হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ ।
*
ইবনে নোকতা নামে পরিচিত হাফেজ আবু বকর বিন আব্দুলগণী বাগদাদী আল-হানাফী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ফতুয়ার কিতাবে লিখেছেন
ﺍﻥ ﻋﻤﻞ ﺍﻟﻤﻮﻟﺪ ﻟﻢ ﻳﻨﻘﻞ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﻠﻒ ﻭ ﻻ ﺧﻴﺮ ﻓﻴﻤﺎ ﻟﻢ ﻳﻌﻤﻞ ﺍﻟﺴﻠﻒ .
মিলাদুন্নবীর আমলটি সলফ (পূর্ববতী গ্রহণযোগ্য তিনযুগ) থেকে বর্ণিত নয়। আর সলফ যে কাজ করেননি তাতে কোনো কল্যাণ নেই।
*
মুজাদ্দিদে আল-ফেছানী শায়খ আহমদ সিরহিন্দী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মাকতুবাত কিতাবে বলেন,
ﺑﻨﻈﺮ ﺍﻧﺼﺎﻑ ﻣﯽ ﺑﯿﻨﯿﺪ ﺍﮔﺮ ﺣﻀﺮﺕ ﺍﯾﺸﺎﮞ ﻓﺮﺿﺎ ﺩﺭﯾﮟ ﺯﻣﺎﻧﮧ ﻣﻮﺟﻮﺩ ﺑﻮﺩﻧﺪ ﻭ ﺩﺭ ﺩﻧﯿﺎ ﺯﻧﺪﮦ ﺑﻮﺩﻧﺪ ﻭ ﺍﯾﮟ ﻣﺠﺎﻟﺲ ﻭ ﺍﺟﺘﻤﺎﻉ ﮐﮧ ﻣﻨﻌﻘﺪ ﻣﯽ ﺷﻮﺩ ﺁﯾﺎ ﺑﺮﯾﮟ ﺭﺍﺿﯽ ﻣﯽ ﺷﺪﯾﺪ ﻭ ﺍﯾﮟ ﺍﺟﺘﻤﺎﻉ ﺭﺍ ﭘﺴﻨﺪﯾﺪﻧﺪ، ﯾﺎ ﻧﮧ ؟ ﯾﻘﯿﻦ ﻓﻘﯿﺮ ﺁﮞ ﺳﺖ ﮐﮧ ﮨﺮﮔﺰ ﺍﯾﮟ ﻣﻌﻨﯽ ﺭﺍ ﺗﺠﻮﯾﺰ ﻧﻤﯽ ﻓﺮﻣﻮﺩﻧﺪ ﺑﻠﮑﮧ ﺍﻧﮑﺎﺭ ﻣﯽ ﻧﻤﻮﺩﻧﺪ .
অর্থাৎ ইনসাফের নজরে দেখুন! হযরাত সাহাবায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীনগণ যদি এ যুগে থাকতেন বা জীবিত হতেন আর বর্তমানকালে (মিলাদুন্নবী, ওরশ ইত্যাদি) অনুষ্ঠিত সমাবেশগুলো দেখতেন, তাতে কি তাঁরা সন্তুষ্ট থাকতেন? পছন্দ করতেন? নিষেধ করতেন না? অধমের (শায়খ সিরহিন্দী) দৃঢ় বিশ্বাস যে, কখনো তাঁরা এসব কার্যকলাপকে বৈধতা দিতেন না। বরং অস্বীকার করতেন।” (মাকতুবাত ৫/২২)
*
হানাফী মাযহাবের বিশিষ্ট ফকিহ, সবার নিকট বরেণ্য ও নির্ভরযোগ্য আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﻭ ﺍﻗﺒﺢ ﻣﻨﻪ ﺍﻟﻨﺬﺭ ﺑﻘﺮﺃﺓ ﺍﻟﻤﻮﻟﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻨﺎﺑﺮ ﻣﻊ ﺍﺷﺘﻤﺎﻟﻪ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻐﻨﺎﺀ ﻭ ﺍﻟﻠﻌﺐ ﻭ ﺍﻳﻬﺎﺏ ﺛﻮﺍﺏ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻲ ﺣﻀﺮﺓ ﺍﻟﻤﺼﻄﻔﻲ .
এর চেয়ে জঘন্য হল মঞ্চ ও মিম্বরে মিলাদুন্নবী পাঠের মান্নত করা এবং এর সাওয়াব রাসূল সাঃ এর দরবারে পৌঁছানো। অথচ তাতে গান বাদ্য খেলাধুলা ইত্যাদিও শামিল রয়েছে। (আর-দুর্ মাআশ-শামী, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১২৮)
এই নিকৃষ্টতম বিদয়াতের শুরু কে করল?
ইমাম সাখাবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﺍﻥ ﻋﻤﻞ ﺍﻟﻤﻮﻟﺪ ﺍﻟﺸﺮﻳﻒ ﻟﻢ ﻳﻨﻘﻞ ﻋﻦ ﺍﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻠﻒ ﺍﻟﺼﺎﻟﺢ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺮﻭﻥ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ ﺍﻟﻔﺎﺿﻠﺔ ﻭ ﺍﻧﻤﺎ ﺣﺪﺙ ﺑﻌﺪﻫﺎ ﻭ ﻗﺎﻝ ﻭ ﺍﻭﻝ ﻣﻦ ﺍﺣﺪﺛﻪ ﺻﺎﺣﺐ ﺍﺭﺑﻞ ﺍﻟﻤﻠﻚ ﻣﻈﻔﺮ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺍﺑﻮ ﺳﻌﻴﺪ ﻛﻮﻛﻴﺮﻱ .
মিলাদুন্নবীর আমল সর্বোত্তম তিন যুগের সালফে সালেহীনের কোনো একজন হতেও বর্ণিত নয়, বরং পরবর্তী যুগে আবিস্কৃত। তিনি বলেন, সর্বপ্রথম যিনি তা আবিস্কার করেন তিনি হলেন আরবলের অধিকারী বাদশাহ মুজাফফর উদ্দিন আবু সাঈদ কুকুরী। (আল-বালাগুল মুবীন, পুষ্ঠা ৪)।

জন্মদিনে খুশি নয়, বরং রোযা রাখা নবীজির আমল
মুসলিম শরিফে হযরত আবু কাতাদা আনসারী রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।
একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর সমবারে রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হল। তখন রাসূল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এদিন আমি জন্ম নিয়েছি। আর এদিনই আমার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে।
কোথায় আমরা আর কোথায় নবীজির আমল? যে দিন তিনি রোযা রাখতের সেদিন আমরা মিষ্টি নিয়ে লাফালাফি করি! আল্লাহ আমাদেরকে বেদয়াত
Top of Form

No comments:

Post a Comment