Thursday, September 17, 2020
سورة الذاريات
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
وَفِي أَنْفُسِكُمْ أَفَلا تُبْصِرُونَ (২১)
সুরা নাজিয়াত-২১.
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম
ওয়াফী আনফুসিকুম আফালা তুবস্বিরুন।
তাফসীর-ই-ওয়াজীহ (কাব্যিক তাফসীর)
আমি আহকার!! শামছুদ্দীন হাসেমী
********************
বান্দার মধ্যেই আল্লাহ বিরাজমান,
তোমাদের কি বোধগম্য নয়?
তোমাদের মাজে,
নফসের মধ্যখানে,
সদা থাকে,
আপন ভেবে,
তিনি ছাড়া বাচতে পারে,
এমন কয়জন আছে।
ছায়ায়ে মানুষ কায়ায়ে রব,
তোমাদের অতি কাছেই আছেন!
জীবন তিনি,
জীব তুমি,
তোমার যা কিছু আছে?
তারই সব।
তার দেয়া,
জীবন নিয়া,
বড়াই কর কি করিয়া।
নজর রুইয়ত বাসার,
দেখার যন্ত্র তিনটাই বিরাজমান।
সামনে রুইয়ত দুরে নজর,
অন্তর দৃষ্টি আরবীতে বাসার।
জহিরি নয়নে,
যা দেখ চতুর্দিকে,
নজরে দুরবিন,
তার থেকে উপরে
হয়তো গোটা গুগোলে,
তলদেশে যা উপরে,
তার দশগুন হতে পারে।
‘ওয়াফী আনফুসিকুম আফালা তুবসিরুন’
আল্লাহ অনুসন্ধ্যানে।
সত্বার সত্যি দর্শনে,
নুরের দিব্ব প্রজ্ঞাপনে,
মধুর আলাপনে,
প্রিয়ার অপেক্ষা কল্পে,
মিলনের অধির আগ্রহে,
প্রেমের কালিতে,
হৃদয় গগণে,
মনে মনে,
কলব রুহ সির খফীতে,
আখফায় অনুসন্ধ্যানে,
নফসের মধ্যেই ধরা দিবে।
বাসর রজনী নফসে হবে,
ওয়াফী আনফুসিকুম নিজেই বলে,
আরশী নগর মানবের মাঝে,
নাহনু আকরাবু মিন হাবলিতে,
নিজের পরিচয় নিজেই দিচ্ছে,
কলবে আরশ মুমেনের ভিতরে,
আমি বলিনি,
স্বয়ংয়ের বুলি,
নফসের মাকামে
বিরাজমান সে,
গোপনে সংগোপনে,
মধুর আলাপনে,
নীরবে ধীরে,
অতি গোপনে,
প্রেম রশি,
নুরের গতি,
২৪ঘন্টায় চলে।
ক্বোরআনের আওয়াজে,
নবীজির দাওয়াতে,
রবের বাড়িতে,
আবদ যাবে বেড়াতে,
জীবনে বা মরনে,
কবরে বা হাশরে,
মীজানে বা ফুলসিরাতে,
জান্নাতুল ফিরদাউসে,
তাওহীদের দর্শনে,
নবুয়্যাতের দর্পনে,
মোহাম্মদীয়া তরীকতে,
রাইহান তোরনে,
সালাতে সালামে,
ওহাদানিয়তে ,
একক চিত্বে,
মোহাম্মদীয়া তরীতে,
আফালা তুবসিরুন বানীতে,
সহজে পেয়ে যাবে।
জিকিরে ফিকিরে,
মীলাদে কিয়ামে,
সালাতে ঈমানে,
ভক্তি শ্রদ্ধাতে,
ওয়াজীহর বিলায়াতে,
স্বয়ংয়ের দেখা পাবে।
স্বয়নে স্বপনে,
সকালে বিকালে,
দিবস রজনীতে,
পরম আত্মার দেখা পাবে।
জীব আত্মার ক্বোরবানিতে,
মহাত্মার উদয় হবে।
মহাত্মার সংযোগে,
নুরের আলো বিকাশ পাবে।
ওয়াফি আনফুসিকুম অনুধাবনে,
আকল বুদ্ধি বিবেকে,
মুতমাইন্না জাগ্রত হবে।
মুলহিমা আনাবা মুনিবা,
মুনিরা সালিমা তাজকিয়া,
তাকওয়া ত্বহিরা,
মুরাকাবা মুশাহিদা,
উরুজ নুজুল বাশিরা।
ইবাদ সাধনে,
মালি জিসমানী,
ধ্যানে গভীর রজনী।
মানবতা সভ্যতা,
শরীয়তের সতর্কতা,
তরীকতের উর্ধতা,
হাকীকতের আশা,
মারিফতের মিলন মেলা।
অতীত অনুপ্রেরনা,
ওয়াহীর অপেক্ষা,
ইলহাম ইলকা,
ওয়ারাউল ওয়ারা।
বিলায়াতে পথ চলা,
মুরশেদকে পাওয়া,
মুরশেদ দিক্ষা,
মুরীদে শিক্ষা,
অন্তকে স্বয়ং দেখা।
স্বয়ংকে খোজা,
নিজের মধ্যে পাবে দেখা।
আরশ কুরসী ১০তারা,
মানব কোরান আছে আকা।
দেহ কোরান কর জিন্দা,
দুর কর মরেন ময়লা।
সত্য ন্যায় বিবেচনা,
আকড়িয়ে ধর ,
মোহাম্মদীয়া ফরমুলা।
দেখাও শরীয়ত,
গড় তরীকত,
মজ হাকীকত,
মিলাও মারেফত।
মজবুতে আখিরাত,
সামান্য কর জগত,
কামনা জান্নাত,
সতর্কে দোজখ।
স্বয়ং তোমার আতি আপন,
মোহাম্মদ সৃষ্টির জনক।
মোহাম্মদীয়া নুরে,
স্বয়ংকে দেখাতে পারে।
ওয়াজীহর দর্পনে,
মোহাম্মদী সুরতে,
স্বয়ং দেখা দিবে।
ক্বোরআনের দরজা,
কলব কর আয়না,
রুহের গগণা,
সেরের বালাখানা,
খফীর সুত্র নকশা,
আখফার আঙ্গিনা,
ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া তরীকাহ,
ওয়াজীহর তরীখানা,
আছে শাহী মহল্লা।
তোমার মধ্যে আল্লাহর নিবাস,
তুমি তারে করছনি আপন।
যেখানে আল্লাহর বাড়ি,
থাকেন সধা নিরবদি।
তুমি ঘুমালে,
সে চলে,
বডি রেখে,
কোন গগণে,
কোন স্থানে,
বিচরন করে,
জাগলে পরে,
আবার আসে,
ডাক দিলে,
পাওনি তারে,
নবী ছাড়া,
কে তারে,
তোমার মাঝে,
রক্ষনাবেক্ষন করে।
আল্লাহর পাহারাদার,
তোমার মঝে যে ,
নিয়োগ সমাচার।
নবীকে কর তারই আপন,
আল্লাহর প্রেম নিবেদন।
নবীর প্রেমে মাওলা নিরাঞ্জন,
আকারে সাকারে বিশ্বায়ন।
আলোক রশ্মি,
সুত্রে মোহাম্মদী,
তোমার মাঝে নুরের তরী,
এক ঘাটে এক মাঠে,
সাজায় বাসর রজনী।
তুমি শুধু আয়োজক,
আল্লাহ আর মোহাম্মদ,
দুজনের মিলন ঘর,
মানব হৃদ মাজার,
নফসের গোপনতর,
আব আতস খাক বাক।
আদম হাওয়া সৃষ্টিতে মানব,
তাদেরই প্রেম কানন,
এক ধ্যানে এক মনে,
একাগ্রতার মহাসাগর,
তোমার মঝে লা মাকান।
কানন সাজিয়েছে অতি সুক্ষ্ণ,
তুমি মালি তোমা কিসের দুঃখ,
তুমি তাদেরই সেবাদার,
তাদের নিলয় সিংহাসন,
আরশ কুরছি লৌহ কলম।
জান্নাত তাদের মিলনের স্থল,
সাত গগণ তাদের মহল,
সব সমাহিত তোমর ভিতর।
তোমার মধ্যে তারেদ রং মহল,
কোট কাচারি রাজমহল।
গুনাহ নেক তারই নাটক,
মঞ্চত্ব শুধু সময় পার।
তোমার মঝে তাদের সংসার,
তোমারী বিচার হবে হুশিয়ার।
নবী আছেন বলেই তুমি বাহাদুর
তোমার মাঝে আছে মোহাম্মদী নুর।
নবীজির নবুয়্যাত রিসালাত
আছে আল্লাহর লৌহে মাহফুজ।
গগণে আছে যাহা
তোমাতে বিরাজমান মাতওয়ারা।
সপ্ত গগণে এমন কিছু নেই
তোমার মধ্যে আছে সবই।
সৃষ্টির শুরুতে তোমার অঙ্কুর
সৃষ্টির শেষে তোমারই ভাংচুর।
তোমার নাম যদিও মানব
তোমাতে জমিন আসমান
সপ্ত দোজখ অস্ট জান্নাত
তোমাতে তামাম মাখলুকাত।
তাওহীদ বহন করছ তুমি
তুমি ওয়াহীর নুরের তরী
তুমি মানব আসমানী ওয়াহী
গগণে তোমার স্থায়ী ঠিকানা
ভ‚বনে কেন করছ বাহানা।
ভ‚বন তোমার নয়তো আপন
কার জন্য করছ বালাখানা।
নবুয়্যাত ধরে রিসালাতের সুরে
বিলাদাতের নুরে তাওহীদে কর আসন।
প্রেমে যদি হয় কোন দিষ্টাপ,
জাহান্নাম আর অভিসাপ।
তাদের ভাজ মতো চল তবে,
বিনা বিচারে জান্নাত পাবে।
ক্ষমা কর আমারে,
নবীজির গোলাম স্বীকার করে,
আমি তাদের প্রেমের নই অন্তরা,
না বলতে রাজি তাদের গোপনীয়তা।
ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া তরীকাহ,
ওয়াজীহর তরীখানা,
আছে শাহী মহল্লা।
আছেন শুয়ে,
তার রওজাহপাকে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment