News: MAHFIL ROUTINE: 1. Yearly Mahfil a. Eid E Miladunnabi (Sallallahu Alaihi Wa Sallam)11Rabiul Aeull b. Eid E Miladul Wajeeh (Radhiallahu Anhu) 11jilkad 2. Monthly Mahfil a.The Holy Ashura b. The Akheri Chahar Somba c. Mi’rajunnabi (Sallahu Alaihi Wa Sallam)Night d. Lailatul Barat e. Lailatul Qadr f. 18th ramadan- Iftar Mahfil (Darbar’s) g. 18th Ramadan- Iftar Mahfil (RANI MA’s) h. 29th Zilhajj- (night) Khandakar Qari Mohammad AbulHashem (radhiallahu Anhu)’s Isal ESawab Mahfil i. 11th Rabius Sani (night)Fateha E Iyazdahm And Umme Hani (RANI MA) (RadiallahuAnha)’s Isal E Sawab Mahfil 3.Weekly Mahfil Every Thursday after ‘Isha- Zikr, Milad And Qiyam Mahfil Other Mahfils a. Salatul Jum’a b. Eid ul Fitr c. Eid ul Azha d. Afarafa Day Mahfils For Bangladesh Affairs Routine: a. Independence Day of Bangladesh, 26th March b. Victory Day of Bangladesh, 16th December c. International Mother Language Day and National Shaheed Day, 21th February d. Death Anniversary of Shahid President Ziaur Rahman, 30th May d. National Mourning Day and Death Anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, 15th August

Monday, September 14, 2020

ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া ত্বরীক্বাহ তথা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের সহীহ্ আকিদা সমূহ :------------- আকিদা সহীহ্ না হলে সারা জীবন নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত আদায় করেও কাজ হবেনা। পূর্ণাঙ্গরূপে মুমিন হতে পারবেনা। একজন ঈমানদারের জন্য আমলের পূর্বে আকিদা সহীহ্ করা ফরজ। আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের সহীহ্ আকিদার উপর বিশ্বাস রাখা ও মানা ফরজ। আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের কতিপয় সহি আকিদাগুলো হলো মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন দেহ থেকে পাক, আকার থেকে পাক অর্থাৎ তিনি নিরাকার, আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামিনের কোনও আকার নেই। কারো কারো মতে, তিনি আকারও নন নিরাকারও নন। কেননা, তিনিই আকার ও নিরাকারের সৃষ্টিকর্তা। ★ আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন সর্বাবস্থায় সব জায়গায় হাজির নাজির। ★ রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন আখেরী নবী অর্থাৎ শেষ নবী। উনার পর কোন নবী কিংবা রাসুল আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে আসেনি এবং কিয়ামত পর্যন্ত আসবেন না এটাই আল্লাহর ঘোষণা। ★ রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মত সাধারণ কোন মানুষ না, উনি মাটির তৈরী মানুষ নন, উনি আপাদমস্তক নূর, সম্পূর্ণ নূরের তৈরী। তবে উনি আল্লাহর জাত হতে সৃষ্ঠি নন, এরকম বলা শিরক। রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন আল্লাহর খালকি নূর বা সৃষ্টি নূর। ★ রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন হায়াতুন্নাবী, জিন্দা নবী অর্থাৎ তিনি পবিত্র রওজা শরীফে স্বশরীরে জীবিত। শুধু উনি নন সকল নবী রাসুল ও আউলিয়া কেরাম জীবিত। ★ রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন গায়েবের খবর দেনেওয়ালা অর্থাৎ নবীজিকে আল্লাহ পাক ইলমে গায়েব দান করেছেন। ★ ‘পুতপবিত্র ঈদ-ই-মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’ পালন করা সুন্নতে এলাহী ও সুন্নতে সাহাবা। মিলাদুন্নবী পালন করা সম্পূর্ণ জায়েজ এবং মিলাদের কিয়াম করা মুস্তাহাব মুস্তাহ্সান। ★ রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেকোন সময় যেকোন মুহুর্তে যেকোন স্থানে হাজির হওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আল্লাহ উনাকে সেই ক্ষমতা দান করেছেন। তাই বলে তিনি সর্বাবস্থায় সব জায়গায় হাজির নাজির না। এরকম বলা শিরকি। কেননা সর্বাবস্থায়সব জায়গায় হাজির নাজির একমাত্র আল্লাহ পাক। ★ রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইয়া রাসুলাল্লাহ বলে সম্বোধন করা সম্পূর্ণ জায়েজ এবং রাসুল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এখনো রওজা শরীফ হতে গোনাহ্গার উম্মতদেরকে সাহায্য করতে পারেন। ★ কবর জিয়ারত করা মাজার জিয়ারত করা খাছ সুন্নতে রাসুল এবং সম্পূর্ণ জায়েজ। ★ ওসিলা নিয়ে দুয়া করা সম্পূর্ণ জায়েজ। ★ মাজহাব মানা, তাকলিদ করা ওয়াজিব। ★ অলি আউলিয়া মানা, পীর মুরিদী মানা সম্পূর্ণ জায়েজ। ★ শবে বরাত পালন করা খাছ সুন্নতে রাসুল এবং সম্পূর্ণ জায়েজ। ★ কদমবুচি করা সম্পূর্ণ জায়েজ ও সুন্নতে সাহাবা। ★ সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি বা ঈমানের মানদন্ড। উপরোক্ত কতিপয় আকিদাগুলো আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের সহীহ্ আকিদা। এখন কোনও মুসলমান যদি এরকম আকিদার বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাহলে বুঝতে হবে সেই বাক্তি ৭২ টি বাতিল ফেরকার যেকোনো একটি ফেরকার অন্তর্ভুক্ত। তিনি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত নন। লাইলাতুল বারাআত হচ্ছে- গুনাহ থেকে মুক্তি লাভের রাত্র। বান্দার দোয়া কবুলের রাত্র। কিন্তু আহলে হাদীস, সালাফী ওহাবীরা সমাজে প্রচলিত ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন অপসংস্কৃতির প্রতিবাদ না করে পবিত্র শবে বরাতসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগীর বিরুদ্ধাচারণ করে ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করছে। তারা সৌদির সালাফী দাজ্জালের চালু করা সিনেমা হল, মহিলা ফুটবল, পর্দাপ্রথা উঠিয়ে দেয়া, বেলেল্লাপনা চালু করতে ‘নিয়ম শহর প্রকল্প’ নির্মাণের বিরোধীতা করেনা। অথচ পবিত্র শবে বরাত পালনে তাদের মুরুব্বীরাই, তাদের কিতাবে সারারাত ব্যাপী ইবাদত বন্দেগী করার কথা বলেছেন। সালাফীদের মূল গুরু ইবনে তাইমিয়াও পবিত্র শবে বরাতের ফযীলত ও রাতের আমল স্বীকার করেছেন। ‘মাজমুয়ায়ে ফতোয়া’ কিতাবে তিনি বলেছেন, পবিত্র শবে বরাতের মর্যাদা পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা সাব্যস্ত আছে। এ রাতের নামাজের ব্যাপারে অনেক ফযীলত বর্ণিত আছে। সলফে সালেহীনগন এ রাতে নামায আদায় করতেন।” (দলীল: মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২৩ তম খন্ড ১৩২ পৃষ্ঠা) সালাফীদের গুরু নাছিরউদ্দীন আলবানী তার একটা কিতাব “সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব” কিতাবের ৩য় খন্ড ৫৩ ও ৫৪ পৃষ্ঠায় পবিত্র শবে বরাত শরীফ সর্ম্পকে ৫ টা হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছে। সকল পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে হাসান সহীহ এবং“সহীহ লি গাইরিহী” বলে স্বীকার করেছে। ওহাবী-সালাফীদের বর্তমান সময়কার অন্যতম মুরুব্বী মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহীম আত তুয়াইজিরীর লিখা “রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্র্যাকটিক্যাল নামায”এবং সালাফীদের আরেক মুরুব্বী আব্দুর রাজ্জাক সালাফী কর্তৃক সম্পাদিত বইয়ের ২৮৪ পৃষ্ঠায় ‘শবে বরাত রাতের করনীয় কাজ’ শিরোনামে ১০টি ইবাদতের কথা বলা হয়েছে। এই ১০টি কাজ শবে বরাত পালনকারীরাও করেন। এসব আমলকে বিদয়াত বলে তারা গলাবাজি করে ইসলামের মধ্যে ভ্রান্ত মতবাদ ঢুকাতে চাচ্ছে। ওহাবী-সালাফীদের অন্যতম মুরুব্বী মুহম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিনও পবিত্র শবে বরাত উনার পক্ষে ফতোয়া দিয়ে বলেছেন শবে বরাত উনার ফযিলতের ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে অস্বীকার করছে ওহাবীরা অধিকাংশ আলেম পবিত্র শবে বরাত উনার ফযিলতকে স্বীকার করে। (মজমুয়ায়ে ফতোয়া ওয়া রাসায়েল ইবনে উসাইমিন ৭ম খন্ড ২০৫ পৃষ্ঠা) পবিত্র শবে বরাতের করণীয় সম্পর্কে রাসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ইরশাদ করেছেন, পবিত্র শাবান মাসের রোযা আমার নিকট অন্য মাসের তুলনায় অধিক প্রিয়। যখন আপনাদের নিকট মধ্য শাবানের রাত্রি (পবিত্র শবে বরাত) উপস্থিত হবে, তখন আপনারা সেই রাতটি জাগ্রত থাকুন (পবিত্র নামাজ পড়ে, পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে, পবিত্র তাসবীহ পড়ে, পবিত্র যিকির করে, দুআ করে) এবং দিনের বেলা রোযা রাখুন। কারণ, এ রাতে মহান আল্লাহ সূর্যাস্তের পর থেকে ফজর পর্যন্ত দুনিয়ার আসমানে তাশরীফ এনে (রহমত বর্ষন করেন)(ইবনে মাজাহ শরীফ ) মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (শবে বরাতের রাতে) পবিত্র কুরআন নাযিল করেছি (নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি) আর আমি ভয় প্রদর্শনকারী। উক্ত রাতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজগুলো ফায়ছালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমি প্রেরণকারী”। (সূরা দুখান আয়াত ৩-৫) সকল তাফসীরে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা পবিত্র লাইলাতুল বরাতকে বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআন ও পবিত্র হাদীছে শবে বরাত থাকার পরও এর বিরোধীতা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ওহাবী-সালাফীদের গভীর ষড়যন্ত্র। পবিত্র শবে বরাত বিরোধী সন্ত্রাসী আইএস এর মৌলিক মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা তাইমিয়া, আল বানী, জাকির নায়েক এবং তাদের অনুচর আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, ড. শহিদুল্লাহ খান নাদানী, মতিউর রহমান নাদানী, ড. সাইফুল্লাহ, কাজী ইবরাহীম, মুজাফ্ফর বিন মহসিন, আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল নাদানী, আসাদুল্লাহ আল গালীব, আমীর হামজা, আব্দুল হাই মোঃ সাইফুল্লাহদের সকল বই কিতাব, ওয়াজ মাহফিল এদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। টিভি চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় পবিত্র শবে বরাত বিরোধী ভন্ড, ওহাবী-সালাফীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সারাদেশে এসব ভন্ডদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিতে হবে এবং গ্রেফতার করতে হবে। (সংগ্রহঃ- ইনকিলাব) Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাকীকত কি!! ---------------------- Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘তারকা’র আকৃতিতে দীর্ঘকাল ছিলেন। যেমন হযরত আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে- عن أبي هريرة رضي الله تعالى عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سأل جبريل عليه الصلاة والسلام فقال يا جبريل كم عمرت من السنين؟ فقال يا رسول الله لست أعلم، غير أن في الحجاب الرابع نجما يطلع في كل سبعين ألف سنة مرة، رأيته اثنين وسبعين ألف مرة فقال: يا جبريل وعزة ربي جل جلاله أنا ذلك الكوكب ‘নিশ্চয়Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক বার জিব্রাঈল (আলাইহিস সালাম)কে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার বয়স কত? জিব্রাঈল আরয করলেন, আল্লাহর কসম (আমার বয়সের ব্যাপারে) এটা ছাড়া আমি জানিনা যে, চতুর্থ পর্দায় (আসমানে) একটি তারকা প্রতি সত্তর হাজার বছর পর একবার উদিত হতো আর তা আমি বাহাত্তর হাজার বার দেখেছি। Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন- হে জিব্রাঈল, আমার রবের ইজ্জতের কসম আমি-ই ছিলাম সেই তারকা।’ (আল্লামা হাক্কী, রুহুল বায়ান: ৩/৫৪৩; ইমাম বুরহানুদ্দীন হালাবী, সিরাতে হালবীয়া: ১/৪৯; আল্লামা ইউসূফ নাবহানী, জাওয়াহিরুল বিহার: ৭৭৬) আবার ইমাম গাযযালী সনদ বিহীন এবং ইমাম আবদুর রাযযাক হযরত সায়েব বিন ইয়াযীদ থেকে মাকতূ‘ সনদে (সাহাবীর বাণী হিসেবে) বর্ণনা করেছেন যে, “নূরে মুহাম্মদীকে আল্লাহ ময়ূরের আকৃতিতে সৃষ্টি করতঃ শ্বেত শুভ্রপাত্রে রেখে চার শাখা বিশিষ্ঠ সাজারাতুল ইয়াক্বিন নামক বৃক্ষে স্থাপন করলেন। এ অবস্থায় তিনি একাধারে সত্তর হাজার বছর আল্লাহর তাসবীহ-তাহলীলে মাশগুল থাকেন।” (ইমাম গাযযালী, দাকায়েকুল আখবার: ৯; ইমাম আবদুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ, আল জুযউল মাফকুদ মিনাল জুযইল আউয়াল: ৫১-৫২) অতঃপর যখন আল্লাহ তা‘আলা হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)কে সৃষ্টি করলেন সেই নূরে মুহাম্মদীকে আদম (আলাইহিস সালাম)এর মধ্যে স্থাপন করলেন। তাফসীরে দুররে মানছূরে রয়েছে- اخرج ابن ابى عمر العدنى عن ابن عباس ان قريشا كانت نورا بين يدى الله تعالى قبل ان يخلق الخلق بالفى عام يسبح ذلك النور وتسبح الملائكة بتسبيحه- فلما خلق الله ادم عليه السلام القى ذلك النور فى صلبه- قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فاهبطنى الله الى الارض فى صلب ادم عليه السلام وجعلنى فى صلب نوح وقذف بى فى صلب ابراهيم ثم لم يزل الله ينقلنى من الاصلاب الكريمة الى الارحام الطاهرة حتى اخرجنى من بين ابوى لم يلتقيا على سفاح قط ‘হযরত ইবনু আবী উমর আল-আদনী ইবনু আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- নিশ্চয় কুরাইশী নবী (অর্থাৎ কুরাইশ বংশে আগমন করলেও মূলতঃ তিনি) মাখলুক তথা আদম আলাইহিস সালাম সৃষ্টির দু’ হাজার বৎসর পূর্বে আল্লাহর দরবারে নূর ছিলেন। সেই নূর তাসবীহ পাঠ করতো এবং তাঁর তাসবীর সাথে ফেরেশতাগণও তাসবীহ পাঠ করতো। অতঃপর যখন আল্লাহ তা‘আলা হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)কে সৃষ্টি করলেন, তখন আদম (আলাইহিস সালাম) এর পৃষ্টদেশে সেই নূর মুবারক স্থাপন করলেন। Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন- অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাকে হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)এর পৃষ্টদেশে থাকা অবস্থায় জমিনে পাঠালেন। অতঃপর হযরত নূহ (আলাইহিস সালাম) এর পৃষ্টদেশে আমাকে স্থাপন করলেন। বংশ পরম্পরায় আমাকে হযরত ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)এর পৃষ্ঠে থাকাকালীন নমরূদের তৈরি অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এভাবে স্থানান্তরিত হতে হতে পবিত্র পৃষ্ঠদেশ থেকে পবিত্র রেহেমে স্থানান্তরিত হতে থাকি, এমনকি আমার পিতা-মাতা পর্যন্ত। আমার পূর্ব পুরুষের মধ্যে কখনোই যিনা সংঘটিত হয়নি।’ (ইমাম সুয়ূতী, আদ্ দুররুল মানছূর: ৪/৩২৯, لقد جاء كم رسول من انفسكم আয়াতের ব্যখ্যায়) পবিত্র থেকে পবিত্র ব্যক্তিগণের মাধ্যম হয়ে স্থানান্তর হতে হতে সে নূর সর্বশেষ হযরত আব্দুল্লাহর মাধ্যমে হযরত আমেনা এর রেহেম মুবারকে স্থানান্তর হয়। Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে ইরশাদ করেন- وإن أمي رأت في بطنها نوراً قالت : فجعلت أتبع بصري النور فجعل النور يسبق بصري حتى أضاء لي مشارق الأرض ومغاربها ‘আমার আম্মাজান দেখলেন যে তাঁর পেটে নূর অবস্থান করছে। তিনি বলেন, অতঃপর নূরের দিকে আমি চক্ষু ফিরালাম, নূরের প্রখরতা আমার চোখের দৃষ্টিকে ম্লান করে দিচ্ছিল। এমনকি ঐ নূরের আলোতে পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম তথা সারা দুনিয়া আমার নিকট আলোকিত ও প্রকাশিত হয়ে গেল।’ (ইমাম যায়‘আলী, তাখরীজুল আহাদীসি ওয়াল আছার: ৮৩; ইমাম সুয়ূতী, আল-খাসায়েসুল কুবরা) এছাড়াও Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুরাত বা আকৃতির ব্যাপারে শায়খ ইসমাইল হাক্কী ‘সূরা মারিয়াম’-এর كهيعص এর ব্যাখ্যায় ইমাম কাশেফীর একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। তিনি বলেন, শায়খ রুকুনুদ্দীন আলাউদ্দৌলা সিমনানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ফরমান- حضرت رسالت را صلی الله عليه وسلم سہ صورتست يكی بشری كقوله تعالی قل انما انا بشر مثلكم (الكهف: ١١٠)دوم ملكی چناكہ فرمودست (لست كأحد ابيت عندی ربی)سيوم حقی كما قال :(لی مع الله وقت لا يسعنی فيه ملك مقرب ولا نبي مرسل)وازين وروشنتر (من رأنی فقد رأي الحق)) Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর তিনটি সুরাত রয়েছে। একটি, বাশারী বা মানবীয় সুরাত। যেমন, আল্লাহর বাণী- قل انما انا بشر مثلكم (আপনি বলুন, নিশ্চয় আমি তোমাদের ন্যায় বাহ্যিক আকৃতিতে একজন মানুষ)। দ্বিতীয়টি হলো, ফেরেশতার সুরাত। যেমন, আল্লাহর Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই ফরমান- لست كأحد ابيت عندی ربی (আমি তোমাদের কারো মতো নই, আমি আমার রবের নিকট রাত্রি যাপন করি)। তৃতীয়টি হলো, সুরাতে হাক্কী বা প্রকৃত সুরাত। যেমন, হাদীস শরীফে রয়েছে, Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন- لی مع الله وقت لا يسعنی فيه ملك مقرب ولا نبي مرسل (আল্লাহর সাথে আমার এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে যাতে নৈকট্যপ্রাপ্ত কোন ফেরেশতা এবং কোন নবী-রাসূল পৌঁছতে পারেনি)। এর চেয়েও স্পষ্ট বর্ণনা হাদীসে রয়েছে যে, Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন- من رأنی فقد رأي الحق (যে আমাকে দেখল, সে যেন হককেই দেখল) অর্থাৎ তিনি আল্লাহ দেখার আয়না স্বরূপ।’ (আল্লামা হাক্কী, রুহুল বায়ান: ৫/৩১৪) নূরে মুহাম্মদীকে সৃষ্টির পর আকৃতি প্রদানের ব্যাপারে আল্লামা ইমাম যারকানী বলেন- ثم جسم صورته علي شكل اخص من ذلك النور ‘অতঃপর নূরে মুহমাম্মদীকে বিশেষ আকৃতিতে মুজাসসাম (শরীর বিশিষ্ট) করা হয়।’ (ইমাম যারকানী, শারহুল মাওয়াহেব: ১/৯৫) আর আহলে সুন্নাতের সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে হুযুর পাকের যে সুরাতই হোক, সব ক’টিই নূরের; এমনকি মানব আকৃতিও নূরে মুজাসসাম (নূরের শরীর বিশিষ্ট)। হাফিজুল হাদীস ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী বর্ণনা করেন- اخرج الحكيم الترمذى عن ذكوان ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يكن يرى له ظل فى شمس ولاقمر قال ابن سبع: من خصائصه ان ظله كان لا يقع على الارض وانه كان نورا فكان اذا مشى فى الشمس او القمر لا ينظر له ظل- قال بعضهم: ويشهد له حديث قوله صلى الله عليه فى دعائه- واجعلى نورا- ‘হাকিম তিরমিযী হযরত যাকওয়ান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) হতে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয় Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ছায়া না সূর্যের আলোতে দেখা যেত, আর না চন্দ্রের আলোতে। ইবনু সাবা‘ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন- Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বৈশিষ্ট্য এ যে, নিশ্চয় তাঁর ছায়া জমিনে পতিত হতো না, কেননা তিনি ছিলেন নূর। অতএব, তিনি যখন সূর্যের আলোতে অথবা চন্দ্রের আলোতে চলতেন, তখন তাঁর ছায়া দেখা যেত না। কেউ কেউ বলেন, Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর ছায়া না থাকার বিষয়টি ঐ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত, যা Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দু‘আয় বলেছেন- হে আল্লাহ! আমাকে নূর করে দাও।’ (ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, আল-খাসায়েসুল কুবরা: ১/১১৬) ইমাম যারকানী বলেন- لم يكن له صلى الله عليه وسلم ظل فى شمس ولاقمر لانه كان نورا ‘সূর্য চন্দ্রের আলোতে Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেহ মুবারকের ছায়া পড়ত না। কেননা তিনি ছিলেন অপাদমস্তক নূর।’ (ইমাম যারকানী, শারহুল মাওয়াহেব: ৪/২২০) অনুরূপ বর্ণনা ইমাম কাদ্বী আয়াদ্ব তার ‘কিতাবুশ শিফা বি তা‘রীফি হুকুকিল মুস্তফা’য়ও বর্ণনা করেছেন। ** জ্ঞাতব্য যে, মানুষের সৃষ্টিগত ধাতু বা মাদ্দা সৃষ্টি হয় তাদের বাবা-মা’র মধ্যে। তাদের বাবা-মা যখন অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকেন তখনও এই মূল উপাদান তাদের মধ্যে থাকেনা বরং প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর তা তৈরি হয়। আর দাদা থেকে পূর্ব পুরুষদের মধ্যে কোন কালেই নিম্ন পুরুষদের সৃষ্টি মাদ্দা বা ধাতু থাকে না এবং স্থানান্তরিতও হয় না। তাদের মাদ্দা যখন পিতা হতে মায়ের গর্ভে যায় তখন এতে একটি আকৃতি প্রদান করা হয় এবং তাতে কিছুদিন পর রূহ্ দেওয়া হয়। আর মানুষের মাদ্দা মা-বাবার মিলিত মনি বা বীর্য। যেমন, ইরশাদ হয়েছে- فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ خُلِقَ مِن مَّاء دَافِقٍ يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ ‘মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে। সে সৃষ্টি হয়েছে সবেগে সংখলিত পানি থেকে। এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষ পাজরের মধ্যে থেকে।’ (সূরা তারিক: ৫-৭) অনুরূপ আরও ইরশাদ হয়েছে- مِنْ أَيِّ شَيْءٍ خَلَقَهُ مِنْ نُطْفَةٍ خَلَقَهُ فَقَدَّرَهُ ‘তিনি তাকে কি বস্তু হতে সৃষ্টি করেছেন? শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর সুপরিমিত করেছেন।’ (সূরা আবাছা: ১৮-১৯) অনুরূপ অন্য আয়াতে এসেছে- فَإِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ‘আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মাটি হতে অতঃপর বীর্য হতে।’ (সূরা হাজ্জ্ব: ৫) কিন্তু Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সৃষ্টি তথ্য সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম এবং স্বতন্ত্র। কেননা তিনি না মাটি হতে, না বীর্য হতে, বরং তাঁর মাদ্দা হল নূর যা প্রথমে আদম (আলাইহিস সালাম)এর মাঝে আমানত রাখা হয়েছিল। অতঃপর তাঁর থেকেই স্থানান্তর হতে হতে শেষ পর্যন্ত মা আমেনার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সুতরাং তিনি আদম (আলাইহিস সালাম)এর মাঝে স্থাপন করার পূর্বেও বিদ্যমান ছিলেন- কখনও তারকার আকৃতিতে, কখনও বা ময়ূরের আকৃতিতে, কখনও অন্যকোন আকৃতিতে; এমনকি সর্ব প্রথম সৃষ্টি হয়েই তিনি সেজদা করে মাথা উত্তোলন করেছিলেন। অবশেষে বাবা আব্দুল্লাহ এবং মা আমেনার মাধ্যম হয়ে মানব আকৃতিতে মানবীয় পূর্ণ গুণাবলীসহ আগমন করেন। তাঁর মাদ্দাও পিতা-মাতার মনি ছিলনা, ছিল নূর তা-ই পূর্বোক্ত সকল বর্ণনা হতে প্রমাণিত হয়। *** এখন উপর্যুক্ত সকল আলোচনা হতে যে বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, তা হলো- ১. Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই হলেন আল্লাহ তা‘আলার সর্বপ্রথম সৃষ্টি। এমনকি ফেরেশতা জিব্রাঈল ও মানব জাতীর প্রথম মানব হযরত আদম আলাইহিস সালাম এরও অনেক পূর্বে Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সৃষ্টি। ২. Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিঃসন্দেহে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা এর যাতী নূর থেকে সৃষ্টি। আর ‘যাতী নূর’ বলার দ্বারা আল্লাহর যাতের অংশ বা আইনে যাত কিংবা টুকরা হওয়াও আবশ্যক হয় না। (আ‘লা হযরত, সালাতুস সফা ফী নূরিল মুস্তফা) ৩. নূরে মুহাম্মদী সৃষ্টি হয়েই বিশেষ আকৃতি নিয়ে সিজদা করেছেন এবং সিজদা হতেই মাথা উত্তোলন করে ‘আল-হামদু লিল্লাহ’ বলেছেন। আর সে নূরের নামই আল্লাহ ‘মুহাম্মদ’ রেখেছেন। ৪. অতঃপর সে নূর কখনো ময়ূর আকৃতিতে, কখনো তারকার আকৃতিতে ছিলেন, আবার তা কখনো ফেরেশতার রূপেও ছিলেন এবং সর্বশেষ সে নূরই মানব আকৃতিতে এ পৃথিবীতে আগমন করেছেন। আর কুরআনের আয়াত قل انما انا بشرمثلكم (বলুন, আমি তোমাদের মত মানুষ) এর অর্থও তাই যেমনটি রুহুল বায়ানে বলা হয়েছে। ৫. কুরআন প্রমান করে মানবজাতী সৃষ্টির মাদ্দাহ বা ধাতু পিতা-মাতার মিলিত মনী এবং তা পিতা-মাতার শরীরেই তৈরী হয়, পূর্বে এর অস্তিত্ব থাকেনা এবং পূর্ব পুরুষ হতেও স্থানান্তরিত হয়ে আসেনা। ৬. আর Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সৃষ্টির মাদ্দাহ বা উপাদান হল নূর। সে নূর আদম (আলাইহিস সালাম)কে সৃষ্টি করতঃ তাঁর মধ্যে আমানত রাখা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তা পবিত্র নসলে স্থানান্তরিত হয়ে সর্বশেষ মানব রূপে পৃথীবিতে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এখন, কুরআন প্রমান করে মানব জাতী (জিনসে বাশার) সৃষ্টির ধাতু হলো পিতা মাতার মিলিত বীর্য এবং তা পিতা মাতার শরীরেই অনস্তিত্ব (عدم) থেকে অস্তিত্বে (وجود) আসে। Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রকৃত যাত বা সত্ত্বাও যদি মূলতঃ ‘জাতীতে মানুষ তথা জিনসে বাশার’ হয় তাহলে কুরআন অনুযায়ী Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সৃষ্টির ধাতুও পিতা-মাতার মিশ্রিত নাপাক মনী ধরতে হবে এবং তাঁর ‘হযরত আদম থেকে মা আমেনা পর্যন্ত স্থানান্তর হওয়া’কে অস্বীকার করতে হবে। (নাউযুবিল্লাহ!) আর এখানে ঈসা আলাইহিস সালাম এর সৃষ্টির স্বতন্ত্র বিষয়টিকে এক্ষেত্রে কিয়াস করার অবকাশ নাই এজন্য যে, তাঁর পবিত্র শরীরও সৃষ্টি হয়েছে মা মরিয়মের গর্ভেই জিব্রাইলের ফুৎকারের মাধ্যমে, পূর্ব পুরুষ হতে স্থানান্তর বা প্রত্যাবর্তন হয়ে আসেনি। এটি আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ এক কুদরতের প্রমান এবং বিশেষ কিছু বিরোদ্ধবাদীদেরকে আল্লাহ প্রদত্ত জবাব মাত্র। অতএব একথা নির্দিধায় মানতে হবে যে, Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাকীকত বা প্রকৃত সত্ত্বা মানব জাতীর অর্ন্তভূক্ত নয় তথা হাকীকতে মুহাম্মদী ‘জাতীতে মানুষ (জিনসে বাশার)’ নন। তাঁর প্রকৃত সত্ত্বা কি, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না । যেমন Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত আবু বকর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)কে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন- يا ابا بكر والذي بعثني بالحق لم يعلمني حقيقة غير ربي ‘হে আবু বকর, ঐ সত্ত্বার কসম! যিনি আমাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমার হাকীকত (আমার প্রকৃত জাত-جنس এবং সত্ত্বা-ذات) আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। (ইমাম ফাসী, মাতালিউল মাসরাত: ১২৯; আল্লামা ইউসূফ নাবহানী, জাওয়াহিরুল বিহার: ২/১৫; শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দেছে দেহলভী, শারহু ফাতহিল গায়ব: ১/৩৪০, আ‘লা হযরত, সালাতুস সফা ফী নূরিল মুস্তফা: ৯) যেখানে Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর প্রকৃত সত্ত্বা সর্ম্পকে হযরত আবু বকরকে Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন যে- আল্লাহ ছাড়া কেহ জানেন না, সেখানে আমরা কে যে- Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাকীকী জিনস বা জাত কে মানুষ বলতে পারব? ÒIqvRxwRqv †gvnv¤§`xqv Z¡ixK¡viÓ wPi¯’vqx mvBwq¨` I Bgvg Avgvi I Avgvi‡`i cÖv‡Yi gvg`y mvBwq¨w`bv, gyiwk`ybv, nvexwebv, kvdxwqbv, ZvwR`vi-B-evsjv, mvBwq¨`yj AvDwjqv Iqvj gvRvwRexb gyiwk`-B-Avhg, gyRvwÏ`-B-Avjwd AvDqvj, kvgQzj Av‡idxb, bKkv-B-bex, bKkv-B-‡gvnv¤§`, AvjnvR¦ nhiZ gvIjvbv kvn-m~wd LvRv kvqL mvBwq¨` Aveyj Lvwqi †gvnv¤§` IqvRxn Djøvn (int) (Wej UvB‡Uj, Aj-dv÷ K¬vm dv÷©, wimvP©-¯‹jvi, W±‡iU, AemicÖvß cÖ‡dmi Zdmxi, gv`ivmv-B-Avjxqv,eK&wk evRvi, XvKv, evsjv‡`k)| বলেন- ﻋﺎﻟﻢ ﻣﯿﮟ ﺫﺍﺕ ﺭﺳﻮﻝ ﮐﻮ ﺗﻮ ﮐﻮئى ﭘﮩﭽﺎﻧﺘﺎ ﻧﮩﯿﮟ ‘সৃষ্টিতে Avgv‡`i cªv‡Yi AvKv ZvwR`vi-B-g`xbvn miKvi-B-`~ÕAvjg b~i-B-gyRvQQvg nvexe-B-wKewiqv mvBwq¨w`bv ûRy‡i cibyi (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সত্ত্বা বা যাতকে তো কেউই চিনে না।’ (আ‘লা হযরত, সালাতুস সফা ফী নূরিল মুস্তফা)

No comments:

Post a Comment