News: MAHFIL ROUTINE: 1. Yearly Mahfil a. Eid E Miladunnabi (Sallallahu Alaihi Wa Sallam)11Rabiul Aeull b. Eid E Miladul Wajeeh (Radhiallahu Anhu) 11jilkad 2. Monthly Mahfil a.The Holy Ashura b. The Akheri Chahar Somba c. Mi’rajunnabi (Sallahu Alaihi Wa Sallam)Night d. Lailatul Barat e. Lailatul Qadr f. 18th ramadan- Iftar Mahfil (Darbar’s) g. 18th Ramadan- Iftar Mahfil (RANI MA’s) h. 29th Zilhajj- (night) Khandakar Qari Mohammad AbulHashem (radhiallahu Anhu)’s Isal ESawab Mahfil i. 11th Rabius Sani (night)Fateha E Iyazdahm And Umme Hani (RANI MA) (RadiallahuAnha)’s Isal E Sawab Mahfil 3.Weekly Mahfil Every Thursday after ‘Isha- Zikr, Milad And Qiyam Mahfil Other Mahfils a. Salatul Jum’a b. Eid ul Fitr c. Eid ul Azha d. Afarafa Day Mahfils For Bangladesh Affairs Routine: a. Independence Day of Bangladesh, 26th March b. Victory Day of Bangladesh, 16th December c. International Mother Language Day and National Shaheed Day, 21th February d. Death Anniversary of Shahid President Ziaur Rahman, 30th May d. National Mourning Day and Death Anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, 15th August

Monday, September 14, 2020

রহস্য যদি এখানেই শেষ হয়ে যেতো! ইস! ——-কি পরাক্রমশালী তিনি !! ১৯৭৪ সালটি যখন দুনিয়াতে চলছিল, তখন দুনিয়াতে হিজরী সাল চলছিল ১৩৯৩ সাল। কোরআন প্রথম নাজিল হওয়া শুরু হয় হিজরতের ১৩ বছর আগে। এই তের বছর ১৩৯৩ এর সাথে যোগ করলে মোট দাড়ায় ১৪০৯ বছর। অর্থাৎ কোরআন নাজিলের শরু থেকে শুরু করে মোট ১৪০৯ বছর পর কোরাআনের একটা “মুদ্দাসসির” বা “গোপন” রহস্য উন্মোচিত হয়। ১৪০৯ ?? এটার আবার গুরুত্ব কি ? হুমম—- ১৯ কে ৭৪ দিয়ে গুন করলে ১৪০৯ হয়ে যায় যে! ১৯৭৪=১৪০৯। রহস্যটা যদি এখানেই খতম হয়ে যেতো! এই সূরার প্রথম দুই আয়াত এরকম ১. হে চাদরাবৃত ২. উঠুন সতর্ক করুন। এই দুই আয়াতে মোট অক্ষর এর সংখ্যা ১৯ টি। আর আয়াতদুটির মোট সংখ্যাগত মান কত জানেন ? আপনি হয়তো ভাববেন আমি ভুল তথ্য দিচ্ছি, আসলে বলতে গিয়ে আমি আবেগাপ্লুত হযে যাচ্ছি ।এই আয়াতদুটির সংখ্যাগত মান হিসাব করলে তা দ্বারায় ১৯৭৪!!!!!! সতর্ক কেন করতে বলেছেন তিনি, বুঝেছেন ? আয়াত দুটি হল, ইয়া আইয়্যুহাল মুদ্দাসসির, কুম ফাআনযির। ইয়া=১০, আলিফ=১, আলিফ=১, ইয়া=১০, আলিফ=১, আলিফ=১, লাম=৩০, মিম=৪০, দাল=৪, ছা=৫০০, র=২০০, ক্বাফ=১০০, মিম=৪০, ফা=৮০, আলিফ=১, নুন=৫০, যাল=৭০০, র=২০০ মোট মান = ১০+১+১+১০+———- +১+৫০+৭০০+২০০=১৯৭৪। এখা্নেই যদি শেষ হয়ে যেতো রহস্যের! সুবহানাআল্লাহ—তিনি কত মহান–! সূরাটি ৭৪ নং সূরা, মুদ্দাসসির শব্দটা আছে ১ নং আয়াতে। সুতরাং ১ নং আয়াতকে কোথাও রেফার করা হয় (৭৪,১) লিখে। কমা ছারা সংখ্যাটি ৭৪১, কথা তা না, কথা হচ্ছে, এই ১ নং আয়াতটি থেকে শুরু করে , কোরআনের সর্বশেষ আয়াত পর্যন্ত গননা করলে মোট ৭৪১ টা আয়াত পাওয়া যায়। ৭৪১ আক্ষরটাও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য (১৯ ৩৯=৭৪১)। কোরআনে কিভাবে একেকটা আয়াত, একেকটা শব্দ, একেকটা অক্ষর এতো অবাক Mathematics কে মেনে চলতে পারে ? এগুলোকে কি বলবেন আপনি ? Coincidence ? আন্দাজে মিলে গেছে ? দুনিয়ার কোন ঘটনাই কারণ ছারা ঘটে না। যা হোক মেনে নিচ্ছি আপনার কথা। আসুন আরো কিছু আন্দাজে (!) মিলে যাওয়া ঘটনা দেখি ! সূরাটিতে অগ্নি অর্থে “সাকার” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ২৬, ২৭ ও ৪২ নং আয়াতে। যেগুলোতে বলা হচ্ছে, যারা সুস্পষ্ট নিদর্শন দেখার পরও, কোরআনকে মানুষের উক্তি বলবে, তাদরেকে সাকার বা অগ্নিতে নিক্ষেপ করা হবে। এখন ২৬+২৭+৪২=৯৫, লক্ষনীয় ১৯ ৫=৯৫। এই ২৬, ২৭ ও ৪২ নং আয়াত তিনটির সংখ্যাগত মান (৫৫৬,৬৮৩,৬৬১) একত্রে যোগ করলে পাওয়া যায় ১৯০০, লক্ষনীয় ১৯ ১০০=১৯০০। আরো অবাক ব্যাপারটা হলো, যদি আমরা এই তিনটি আয়াতের সংখ্যাগত মানের সাথে, কোরআনের সূরাটির অবস্থান (৭৪) কে যোগ করি তাহলে আমরা সেই সালকে পাব যে সালে ১৯ এর রহস্য আবিষ্কার করা হয়। যে সূরাতে এতোকিছুকে গোপন করে রাখা হয়েছে, তার নাম মুদ্দাসসির কেন দেয়া হলো, এবার বুঝতে পেরেছি! শেষ! না, এখনো হয় নি,——– আপনি যদি সূরা মুদ্দাসসির পরেন, তাহলে দেখবেন, এই সূরাটির ১ টি আয়াত বাদে বাকি সব আয়াতগুলো খুব ছোট ছোট। আর এই অস্বাভাবিক আয়াতটা হচ্ছে সূরাটির ৩১ নং আয়াত। একমাত্র এই আয়াতেই ১৯ এর কার্যকারিতা সম্বন্ধে বলা হয়েছে। সূরাটর ১ টি আয়াতে গড়ে যতগুলো অক্ষর এসেছে, তার ১২ গুন অক্ষর এসেছে এই ৩১ নং আয়াতে। উল্লেখ্য কোরআনের সবচেয়ে বড় আয়াত, সূরা বাকারার ২৮২ নং আয়াত। সূরা বাকারতে একটি আয়াতে গড়ে যতগুলো অক্ষর এসেছে, তার সমান ৬ গুন অক্ষর এসেছে ২৮২ নং আয়াতটিতে। অর্থাৎ গড় অনুপাতের দিকে বিবেচনা করলে মুদ্দাসসির এর ৩১ নং আয়াতটি বাকারার ২৮২ নং আয়াতেরও ২ গুন। এই আয়াতটিতেই যেহেতু এসেছে ১৯ সংখ্যাটির কথা, তাই নিশ্চয়ই আয়াতটির মধ্যে ১৯ এর রহস্য লুকানো আছে ! আছে কি ? আয়াতটিতে মোট ৫৭ টি শব্দ আছে। ১৯৩=৫৭। আবার আয়াতটির যে বাক্যটিতে ১৯ অক্ষর আছে তাতে ৩ টি শব্দ আছে। ৩ এর একটা অর্থ আছে এখানে। তা হলো এই আয়াতে শব্দ সংখ্যা ৫৭, যেটা ১৯ কে ৩ দিয়ে গুন করে পাওয়া যায়। আয়াতটির একটা বাক্য হলো, “——— আল্লাহ এর দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন?” এই বাক্যটিতে মোট ১৯ টা শব্দ আছে। আর আয়াতটির প্রথম থেকে এই আয়াত পর্যন্ত শব্দ সংখ্যা ৩৮ টি। লক্ষনীয়, ১৯২=৩৮। আরো লক্ষনীয় এই বাক্যটির পরের বাক্যগুলোতে মোট ১৯ টা শব্দ আছে। প্রথম থেকে শুরু করে এই অস্বাভাবিক বড় আয়াতটি পর্যন্ত মোট আয়াত ৩০ টি। এই ৩০ টি আয়াতে মোট শব্দ সংখ্যা ৯৫ টি । লক্ষনীয, ১৯৫=৯৫। প্রথম থেকে শুরু করে এই আয়াতে উল্লেখিত “উনিশ” শব্দটি পর্যন্ত মোট ৩৬১ টি অক্ষর আছে। ৩৬১ কে ১৯ দিয়ে ভাগ করলে ১৯ পাওয়া যায়। (১৯ ১৯=৩৬১)। সুবহানাল্লাহ——!এটা কি মোটেও মেনে না নেয়ার মত ! সূরাটির প্রথম থেকে উনিশতম আয়াত পর্যন্ত শব্দ সংখ্যা ৫৭ টি। ১৯৩=৫৭। সূরাটিতে ক্রমিক নম্বর সহ আয়াত আছে মোট ৫৬টা। আর ক্রমিক নম্বর ছারা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আয়াতটি আছে সূরার শুরুতে। তাহলে মোট আয়াত ৫৬+১=৫৭। লক্ষনীয় ১৯ ৩=৫৭। ১৩. “হিসাব” শব্দের অদ্ভুত হিসাব : “যাতে আল্লাহ জেনে নেন যে, রাসূলগণ তাদের পালনকর্তার পয়গাম পৌছিয়েছেন কিনা। আল্লাহর সবকিছুর সংখ্যার হিসাব রাখেন”। (সূরা জ্বীন : ২৮)। এই আয়াতে “আদাদা” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে হিসাব বুঝোতে। শব্দটি সূরা জ্বীনের সর্বশেষ আয়াতের সর্বশেষ শব্দ। লক্ষনীয়, কোরআনে ৫৭ (১৯ ৩) প্রকারের বিভিন্ন সংখ্যা (আদ্দা) ব্যাবহার করা হয়েছে। সূরা জ্বীন কোরআনের ৭২ নং সূরা আর “আদাদা” শব্দটি এসেছে এই সূরার ২৮ নং আয়াতে। এখন ৭+২+২+৮= কত ? =১৯ ! “আদাদা” শব্দটি সুরাটির শেষ আয়াতের শেষ শব্দ। এই সূরার প্রত্যেকটি আয়াতের শেষ শব্দগুলোর মোট অক্ষর সংখ্যা ১১৪। ১১৪=১৯ ৬। সূরাটির ২৮ টা আয়াত শেষ হয়েছে ২৮ টা শব্দ দিয়ে। কিছু কিছু শব্দ পুনরায এসেছে। এই পুনরায় আসা শব্দগুলোর রিপিটেসন বাদ দিলে পাওয়া যায় ১৯ টি মৌলিক শব্দ। আর এই ১৯ টি মৌলিক শব্দ গঠিত হয়েছে ১৯ টি বর্ণের ভিন্ন ভিন্ন সমাহারে। উল্লেখ্য আরবী বর্ণমালা ২৮ টি বিভিন্ন বর্ণ নিয়ে গঠিত। “আদাদা” শব্দটি লিখা হয় আইন, দাল, দাল ও আলিফ বর্ণ দিয়ে। সূরা জ্বীন এ আইন ৩৭ বার, দাল ৫৪ বার, দাল ৫৪ বার, আলিফ ২১৬ বার করে এসেছে। এই অক্ষরগুলো মোট রিপিটেশন ৩৭+৫৪+৫৪+২১৬=৩৬১। ১৯১৯ = কত ? ৩৬১! সুবহানাল্লাহ—– না জানি আরো কত হিসাব বাকি পরে আছে ! বুঝেছেন ! এতকিছু হিসেব করে এই একটি শব্দ “আদাদা” কে বসানো হয়েছে। কি বিষ্ময়কর এ মহাগ্রন্থ! ১৪. কোরআনে আসা সংখ্যাগুলো : কোরআনে মোট ৩০ টি পূর্ণ সংখ্যা এসেছে। কোরআনে আসা এই ৩০ টি পূর্ণ সংখ্যার সমষ্টি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। (১ +২ +৩ +৪ +৫ +৬ +৭ +৮ +৯ +১০ +১১+১২ +১৯+২০+৩০ +৪০ +৫০+৬০+৭০ +৮০+৯৯+১০০ +২০০ +৩০০+১০০০ +২০০০+৩০০০+৫০০০+৫০,০০০+১০০,০০০=১৬২,১৪৬ (১৯ ৮৫৩৪)। এই সংখ্যাগুলোর মধ্যে স্টার দেয়াগুলো কোরআনে রিপিট করা হয়েছে। এদের রিপিটেসনকে ধরে নিয়ে যোগ করলে, যে সংখ্যা পাওয়া যায় সেটাও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। আর সংখ্যাটি হলো ১৭৪,৫৯১। ১৯৯১৮৯! মুহাম্মদ (স) কি অংকের শিক্ষক ছিলেন? না ধর্মপ্রচারক? পৃথিবীর যে কোন অংকবিদ, ১৯ এর এরকম রহস্যভরা কোন বই লিখার সাহস করুক দেখি! আপনি কি বিরক্ত হচ্ছেন? নাকি ভয় পাচ্ছেন? রহস্য এখনো শেষ হয়নি—!!! কুরআনে ৩০ টি পূর্ণ সংখ্যা ছাড়াও, ৮টি দশমিক সংখ্যার উল্যেখ আছে। এগুলো হলো- ১/২০, ১/৮, ১/৬, ১/৫, ১/৪, ১/৩, ১/২, ২/৩। এই আটটি সংখ্যাকে ধরলে কোরআনে মোট মৌলিক সংখ্যা দ্বারায় ৩৮টি।৩৮ সংখ্যাটি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। অর্থাৎ কোরআনে উল্যেখিত মোট সংখ্যার সংখাও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। যেসব সংখ্যাকে ঐ সংখ্যা ও ১ ব্যাতিত অন্য কোন সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলা হয়।

No comments:

Post a Comment