নাত-ই-মুরশিদ
কিবলা (রাঃ) ওয়াজীহ গীতি 03
নাত-ই-মুরশিদ ৪০
তুমি শরীয়তের গোলাপ
ত্বরীকতের তরী,
হাক্বীকতে প্রেম গাথাঁ
মারিফতে সুরভী,
নবীর নূরে নূরী তুমি,
তুমি আল্লাহ পাকের খুবী
তোমার স্নেহের পরশে
ধন্য বাংলাবাসী,
ত্বরীকার ইমাম হইয়া
ভবে আসিয়া,
নবীর ত্বরীকার
তরীর হাল ধরিয়া,
নবীর রঙ্গে রঙ্গীন হইলা ।
ওয়াজীর অর্থ যদি ওয়াজহুন হয়,
আল্লাহ নবীর চেহারা বিধানে কয়,
ওয়াজীহ্ এঁর ওয়াও অর্থ বিলায়াতের মূল,
আল্লাহ্ নবীর নূরে তুমি,
হইলা নূরে নূর,
ওয়াজীহ্ এঁর জীম অর্থ জুহুদ,ধরা হয়,
বিলায়াতের সর্ব উচ্চ মাকাম ত্বরীকতে কয়।
নবুয়্যতের নুরে তুমি রিসালতের ছবী আঁকি,
তাওহীদেরী গান শুনায়ে,
মাওলার প্রেমে বাঁশি বাজে,
ত্বরীকতের সুদা
তুমি এসেছিলে নিরবে,
মধু চন্দ্রা রাত্রি কালে,
সুর্যের হাসি দুর আকাশে
নূরের স্রোতে, প্রেম সাগরে,
তরঙ্গে ঢেউ উঠে
তুমি শরীয়তের দলীল,
ত্বরীকতের তরী,
হাক্বীকতে সত্য রবি,
মারিফতের সত্য রবি,
মারিফতের পূণ্য শশী,
ক্বোরআন তোমার মুখের ভাষা
তোমায় হাদীস দেয় যে সুধা ,
ইজমা, কিয়াস তোমার ত্বরীকা
সমগ্র বিশ্ব তোমার খানকা।
পাতাল হতে আরশে গিয়ে
থেমে থাকেনা তোমার সীমানা।
তুমি বিশ্ব মানব,বিশ্ব ওয়ালী
তুমি বিশ্ব রহমত, নিয়ামত হাশি।
নাত-ই-মুরশিদ ৪১
অনেক সাধনায় তারে পেয়েছি,
অনেক ভাবনায় তারে বুঝেছি,
অনেক দিন ধরে আমি যাকে খুজেছি,
বহুদিন রজনী কাটিয়ে তবে,
বহু বছর অতি বাহিত করে,
অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা,
দুঃখ দুর্দশা বহুদিন অপেক্ষা,
অবশেষে ও খুজেছি।
আকাশ বাতাসে মেঘ মেলা,
সপ্ত গগণ সেষ্টর নিহারিকা,
রবি শশী শূক্র তারা,
মঙ্গল শনি নেপচুন প্লটো,
মহাকাশ আরশে মাওলা,
খোজতে খোজতে অবশেষে,
পেয়েছি তারে অন্ত-রে,
আমার কাছে ই থেকে ধরা দেয় না,
দুরে থাকে প্রেমের তারে,
খুজে তারে পেয়েছি আমি,
জিকির ফিকির জুহুদের মাকাম,
আমার প্রিয়া নয় সসীম,
যাকে ধরা যায়না দেখা যায়না,
চোঁয়া যায় কেমনে ডাকলে শুনেনা,
কথা বলেনা শূড় শূড়ি দিয়ে যায়,
মনের আঙ্গিনায় কাছে আসতেই,
দুরে চলে যায় ধরার মত যন্ত্র মন্ত্র,
এ ত্রিভুবনে নাই জুহুদ সুজুদ রূকু করে,
বন্দেগী জিন্দেগী মরণে তাঁরে,
বিলায়াতে নবুয়াতে রিসালতে,
তাওহীদ শাহাদাত আর কালিমাতে,
আগুন পানি আর করেন নূর,
বহু কষ্টে পেয়েছি সূর,
প্রেমের ধমনী শিরা
উপশিরা তাঁকে দেখেছি।
নাত-ই-মুরশিদ ৪২
প্রেমের আর নাম বেদনা,
সে কথা বুজে কয় জনে।
দুটি প্রাঁণের সাধনা,
কেন যে এত মধুর লাগে।
যে প্রতিদান পেলনা শান্ত-না
সে চায়না,
আহত আশা কেন?
মিছে বারে বার,
স্মৃতির পরশ মাগে,
সে কথা বুজে কয় জনে।
যে প্রেম দিল ছলনা শুধু ছলনা,
কেন যে তারে তো ভুলা যায় না।
আহত আশা কেন মিছে বারে বার,
তারই পরশ জাগে,
সে কথা বুজে কয় জনে।
প্রেমের আর নাম বেদনা
সে কথা বুজে কয় জনে।
দুটি প্রাঁণের সাধনা
কেন যে এত মধুর লাগে।
নাত-ই-মুরশিদ ৪৩
কত যে তোমাকে ভেসেছি ভাল,
ইয়া মুরশিদ সে তুমি যদি জানতে।
এই হৃদয় চিড়ে যদি দেখানো যেত
ইয়া মুরশিদ তা হলে সে কথা
তুমি কি গো মানতে।
মুরশিদের চোখ মোবারক দুটি
জলে ভেজা যেন পদ্ম,
জলে ভেজা যেন পদ্ম,
যত দেখি তৃষ্ণা মিটে না,
যত দেখি তৃষ্ণা মিটে না,
ভীরু দুটি রাঙ্গা ঠোটে
পূর্ণিমা চাঁদ উঠে,
হাসিলেই ঝরে পড়ে জোৎন্সা।
হাসিলেই ঝরে পড়ে জোৎন্সা।
ওগো মুরশিদ
এই রূপ দেখে দেখে মরতে পারি,
তেমনি পারি ওগো মুরশিদ বাঁচতে।
ইয়া মুরশিদ সে তুমি যদি জানতে।
ইয়া মুরশিদ
ঐ কালো কেশ মোবারক তুমি,
ছড়ালে যখন,
মেঘেরা ও পেল বুঝি লজ্জা,
মেঘেরা ও পেল বুঝি লজ্জা,
আকাশের তাঁরা গুলো
মিলন ঘটিয়ে দিল
মধুময় হলো আঁপনার রওদ্বাহ্,
মধুময় হলো আঁপনার শাহী মহল্লা,
ওগো মুরশিদ
এই মধুচন্দ্রা কভু যদি শেষ না হত,
জীবন বেলার শেষ প্রান্তে-।
ইয়া মুরশিদ
সে তুমি যদি জানতে।
কত যে তোমাকে ভেসেছি ভাল,
ইয়া মুরশিদ
সে তুমি যদি জানতে।
এই হৃদয় চিড়ে যদি দেখান যেত
ইয়া মুরশিদ
তা‘হলে সে কথা তুমি
কি গো মানতে।
নাত-ই-মুরশিদ ৪৪
এসেছেন ওয়াজীহ্ তরাইতে পাপি
আমাকেও নিও পার করিয়া।
তুমি ওয়াজীহ্য়ান
সর্বোচ্চ সম্মান
তোমার পাক চরণে মন প্রাঁণ
দিয়াছি সপিয়া,
ভাল কিংবা মন্দ,
তোমারি পছন্দ
আমাকে রাখিও আপন করিয়া। ঐ
তুমি বাংলার নকশায়ে নবী,
মুরীদের ছবি
নতশীরে চরণ সেবী,
তোমায় দেখিয়া
ওয়াজীহিয়া মোহাম্মদীয়া দরবার,
মুরীদের কাবা ঘর,
সিজদাতে থাকি লুটাইয়া। ঐ
মক্কা মদীনা
সেই পথ আমি চিনি না
শুনা কথা বুঝিনা,
শুধু বুঝেছি ওয়াজীহ্,
আমার যত বাসনা,
শুধু ওয়াজীহ কামনা
ছাদেকের রাখিও
গোলাম করিয়া। ঐ
নাত-ই-মুরশিদ ৪৫
ওয়াজীহ্ উল্লাহ্
আমার ওয়াজীহ্ উল্লাহ্
ওয়াজীহ্ নাম জফলে দেখি,
ইয়া মোহাম্মদ রাসুলুল্লাহ্।
ওয়াজীহ্ উল্লাহ্ পরশ মনি
রেখেছি হৃদয় পুরে,
ওয়াজীহ্র ছবি দেখে দেখে
দেখি দয়াল নবীজিকে
আল্লাহর ওয়ালী
ওয়াজীহ্ উল্লাহ্
নবীজির প্রিয়া। ঐ
মোহাম্মদীয়া ত্বরীকার ইমাম
নক্শা-ই-নবী ওয়াজীহ্ উল্লাহ্।
হাজার সূর্য্যরে অধীক আলো
শামছুল আরিফীন
ওয়াজীহ্ উল্লাহ্ । ঐ
উমর আলীর বংশের ওয়াজীহ্
নেই তাহার তুলনা,
সৈয়্যদ বংশে ওয়াজীহ্ উল্লাহ
হাসেমী ছাড়া কেউ জানেনা,
সাদেকেরি এই প্রার্থনা
হইনা যেন চরণ ছাড়া। ঐ
নাত-ই-মুরশিদ ৪৬
ওয়াজীহ এঁর প্রেমে
হইয়া যাও ফানা,
আরশ,
কুরশী লৌহ, কলম
সবাই ওয়াজীহ্ এঁর
দেওয়ানা............।
আল্লাহর নূরে
নূরে মোহাম্মদ....
উম্মতের কান্ডার নবী
করবেন শাফায়াত,
নিজে আল্লাহ্য় পড়েন দুরূদ
ক্বোরআনে তাঁর ঘোষনা। ঐ
ওয়াজীহ্ এঁর এশকে
সকলই সৃজন,
চাঁদ সুরুজ গ্রহ তারা
ওয়াজীহ্র রূপের কীরণ,
আওয়াল আখের
জাহের বাতেন
ওয়াজীহ্ ছাড়া কিছু নাই। ঐ
ওয়াজীহ্ আল্লাহর বন্ধুু
মাহবুবে খোদা
মুরশিদ তোমার প্রেমে
আশেক বানাও
রখিও না জুুদা
মোরাকাবা মোশাহাদায়
দেখাও তোমার রূপখানা। ঐ
গেলেন ওয়াজীহ্ অহুদের ময়দান
খেয়াল করার সংগে সংগে
পড়ল মুখের দুটি দাতদান।
সাদেক মিয়া পাইতে চায়
মুরশিদের চরণ খানা। ঐ
নাত-ই-মুরশিদ ৪৭
বিলায়াতের খবর কে জানে
হায় রে............
শরীয়তের বেশ বুসা
ত্বরীকতে নাই, হাক্বীকতে
প্রেমের রশি মারিফত শুনাই।
ফুলের মাঝে মধু চাহে
ফুলে কাটা, বিষ ও থাকে
সুনাম পেতে সবাই থাকে,
বদনামের বোঝা কয়জন নিবে,
হায় রে ..............
ই‘বাদত করে জোরে সোরে
জিকির করে আওয়াজ দিয়ে,
ই‘বাদত ও জিকিরে নাকি
আল্লাহ্ খুশি
বিলায়াতর কি খবর যানে,
বিলায়াত কখন ও মিলবে না কো
না করলে না কো মানব সেবা
ই‘বাদতে স্বর্গ পাবে,
বিলায়াত আছে করলে মানব সেবা,
হায় রে ..............
মানবতায় বিলায়াত আছে,
বিলায়াতের পীর-মুরশিদ,
ভক্ত-মুরীদ, আশিক-জাকির
এঁর সাথে যোগ করে ,
ফানা দরজায় ধাক্কা দিবে
ত্বরীকতে চাবি দিয়ে,
হাক্বীকতে মিলবে রবে,
বিলায়াত হলো বন্ধুত্ব মাওলার
বিলায়াতের গুন কত প্রকার?
কেউ কোন দিন জান্তে- চাহে?
হায় রে ..............
এবার শুন ভক্ত-আশিক
বিলায়াতের খবর শুনি ,
বিলায়াত দুই প্রকার
ছোগরা কুববা আরো
বিলায়াতের প্রকার আছে,
বিলায়াতে ওস্তা, বিলায়াত নবুয়ত,
তাওহীদ ও রিছালত,
এবার বিলায়াতের দাপের কথা
জাগ্রত কর প্রেমের ধারা,
বিলায়াতের দপ্তর অনেক,
জাকির-আশীক, আবদাল-কুতুব
আওতাদ মাকামে ওয়াজুদ,
জহুদের মাকাম বিলায়াতে খেলছে,
যার আশীক্ব যাকে টেনে নিয়েছে,
মুহিব্বিয়াত ও মাহবুবিয়াত সর্ব শেষ।
বিলায়াতের খবর দিয়ে,
মনে চায় আমি হারিয়ে যেতে,
বিলায়াতের পুর্ব শর্ত,
হাজার লক্ষ আছে গর্ত,
হাজার লক্ষ বাধা আছে
ত্বরীকতে যে গিয়েছে,
সেই দেখেছে সেই বুঝেছে,
কত গভীর, উত্তাল তরঙ্গ,
সেই নদীর, সাত সাগরের প্রসস্থতা,
বিপদ আছে পাহাড় সমান,
ত্বরীক্বতে যে গিয়েছে,
ভয় করেনা পর্বত সাগর,
আকাশ বাতাস বারি বর্ষন,
থেমে থাকেনা প্রেমের ধারা,
উদ্দেশ্য প্রেম সাধনা,
বিলায়াতের সিড়ি বেয়ে,
উরূজ নুজুল করতে গিয়ে,
জয় করে আরশে মাওলা,
বিলায়াত পাওয়ার অনেক আশা,
সামনে আশুক যত বাধা,
সে জানে নুরের রাস্তা,
আছে অনেক বাকা তেড়া,
বিলায়াতে পৌছতে হলে,
সব কিছু ফানা করবে,
ফানা ছাড়া যেতে মানা,
মারিফতের সুপ্ত ধারা,
ফানার দরজার তালা খোলে,
বিলায়াতের চাবি মিলে,
ফানার তালা তিনের মাঝে,
এক চাবি মুরশিদের কাছে,
দু‘তে রাসুল,
তিনের চাবি মাওলার কাছে,
বাক্কাতে গিয়ে পরে
বিলায়াতের সিঁড়ি পাবে,
নফছে আম্মারার চলছাতুরী
ছাড়তে হবে মন পুজারী,
খায়েশ, লোভ,
হিংসা,
গীবত, সমালোচনা,
চলবে না তুমি ভুল রাস্তা মনের পুজা .....
বিলায়াতের প্রধান বাধা,
নিজের জন্য কিছু করা,
বিলায়াত কয় যে মানা,
হাসিল হবেনা সত্য রাস্তা,
পরের জন্য কর তবে
দেখবে রাস্তা অনেক সোজা,
বিলায়াত নাই আকাশে-
নাহি থাকে মাওলা আরশে,
সারা বিশ্ব^ খুজেও তাঁরে,
দেখবে না তো দুই নয়নে,
তোমার মাঝেই আছে তাহা,
অম্মারা, লাওয়ামা, বাদ দিয়া,
মুতমায়িন্নাহ্র রাস্তা ধরে,
মুস্তাকীমে বিলায়েত মিলে,
হাম বড়াই ছাড় তবে,
হাস্তি কে যে নেস্তী- করে,
সকল কর্ম উদ্দেশ্য বিহীন,
সদাই কর মানব প্রেম,
তাতেই বিলায়িত অটো পাবে,
বিলায়াত তোমার কাছেই,
খোজ কেন অন্যের মাঝে,
প্রেমের কারেন্ট লাগিয়ে দেখ,
তোমার চাবি তোমার কাছে,
অযথা তারে খোজ একা,
সৃষ্টির শুরুতে তা মাওলা দিয়াছে,
তুমি এখন খুজছ অন্যের দ্বারে,
বোকার মত হাতের কাছে,
রেখেই বিলায়াতের চাবি চাহে ,
প্রেম দিয়ে খুজ তারে,
আছে তাহা তোমার মাঝে,
নূরের বাতি জ্বলছে সদা,
তার পর ও বলেছে অন্ধকার ছায়া ,
নিজেই পাগল বোকা জ্ঞান শূন্য,
বিবেক টারে কাজে লাগিয়ে দেখ,
কোন কিছুর কমতি নাই,
মাওলা তোমায় ঠকায় নাই,
হৃদয় সিংহাসনে রাজা বসে
আছেন সদা ডাকছে তোকে,
বোকার মত অন্ধ সেজে,
বিলায়েত পাবে কেমন করে ,
আম্মারার পিছে কত হাট,
লাওয়ামার কি বাদ দিয়েছ?
ক্বোরআন পড় পাতায় পাতায়,
ক্বোরআন যে আছে তোমার মাথায় ,
শরীয়ত টারে পুজি করে,
নিজেরেই নিজে ধোকা দিচ্ছ,
নিজেরে ভুলে এবার,
অন্যের জন্য কর কর্ম,
রীপুর তাড়নায় আর করুনা,
কর্ম কর শুধু অন্যের জন্য,
মানুষ কে ভাব, ভাব জগতে,
প্রেম দিয়েই বিলায়াত মিলে,
ক্বোরবানিতে ক্বোরবান হলে,
গোস্ত খাওয়ার কি নেক আছে?
নফসের তাবিদার যে হইয়াছে,
সে কি কোন দিন বিলায়াত পাবে?
স্বপ্ন দেখে ঘুমের ঘোরে,
বাস্তবে তার কতটুকু আছে?
স্বপ্নের ছেয়ে বাস্তব বড়,
বিলায়াতের রাস্তা ধর,
মুস্তাকীমে জীবন গড়,
নূরের রাস্তা প্রেমের তরী,
ভাসিয়ে দাও প্রেম সাগরে,
ভবের মাঝে সবই আছে,
ভাবতে হবে বিবেক দিয়ে,
মুত্মাইন্নার পিছে হাট,
আম্মারা, লাওয়ামা বন্ধ কর,
মুত্মাইন্না অনেক বড়।
তার মাঝে বিলায়িত আছে,
খোজে দেখ মুত্মাইন্নাহ্,
দেখবে তুমি সারা বিশ্ব,
আরশ কুরছি লৌহ কলম,
ঈমান আক্বীদাহ্ সকল আমল,
বিলায়িতের সকল নিয়ামত,
মুত্মাইন্নাহতেই জমা আছে,
নূরের রাস্তা প্রেমের কারেন্ট,
লাগিয়ে দেখ তারের জয়েন্ট,
বিনা তারে কথা আসে,
সুর ছন্দ ছবিও থাকে,
একই শানে দেখতে পাবে,
শুনতে, বলতে, বুঝতে, পাবে।
আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে দেখ,
তোমার গোড়াউন ষ্টক আছে ,
নফছে মুতমাইন্নাহ্ দুই প্রকার,
কুদুছিয়া, মোলহিমা, এঁরই আকার,
নফছে মুতমাইন্নাহ্ যার জয় হইয়াছে,
বিলায়াতের চাবি তারই কাছে,
আরশ কুরছি তার পদতলে,
দ্বীন দুনিয়া তার আঙ্গুলে থাকে,
আল্লাহ্ রাসুল তার হয়ে যায়,
রবি শশি চলে তার ইশারায়,
বিশ্ব ভুবন পবন পর্বত,
জীন ইনসান ফেরেস্তা মানব,
নিয়ন্ত্রিত তাঁর ইচ্ছায়,
প্রেম জগতে সে তো বিস্ময়,
জহুদ, শুহুদ,আবদিয়াত,
উরুফ ইরফান জয় তাঁর মুহিব্বিয়াত,
বিলায়েত, কামালিয়াত,
অটো আসে মাহবুবিয়াত,
বিলায়েত নবুয়ত,
ওয়ার রিসালত হাতের কাছে,
চলছে তার হুকমত,
বিলায়াতের খবর,
অনেক বলতে পারিনা,
বিলায়াতের রুপ রেখা,
দেয়া যায়না যত টুকু লিখছি আমি,
ওয়ারা উল ওয়ারা বুঝবে তুমি।
বিলায়াতের খবর,
কয় জনে রাখে.......
টাকার নিশায় মত্ত যারা,
নারীর নারে জ্বলছে সদা,
নফসের পুজা করে তারা,
সমাজেরে দেয় যে ধোকা,
মনের ভীতরেতে
শয়তানের বাসা,
উপরেতে দেখায় সাধুতা,
পরের জন্য গর্ত করে,
সেই গর্তে নিজেই পড়ে,
হিংসা লোভে পেট্টা ভরা,
হারাম হালাল
নাই বেদা-বেদ,
পেট পুজারীর
গাঢ়টা মোটা,
প্রতি অকর্মে মুরব্বি সাজে,
এতীম দুখি গরীব রোগী
সবাইকে সে ঘৃনা করে,
এদের রক্ত দিয়ে
সে করে অহংকার,
হিংসার তো কমতি নাই,
সবার নিকট বনে হাম বড়াই,
নফসের পুজারী করে এরাই,
সমাজে এদের অভাব নাই,
দরবেশী ফকিরী পীরগীরি,
মোত্তাকী সুন্দরী মুখশ্রী,
কোনটারই অভাব নাই,
হায় রে মানুষ ভাবলিনা একবার,
ধোকা দিবি ধোকাবাঝি আর কতবার,
দরবেশী ই‘বাদতে, মগ্নতা দেখায়,
জিকির করে সমাজ দেখানো,
নামাজ রোজা লোক দেখানো,
ধোকা দেয় যে সমাজেরে,
নিজে ধোকায় পড়ে শেষে,
পীর সাজে বিলায়েত ছাড়া,
মুরীদ জোগায় অর্থের মায়ায়,
এই ভুবনে বিলায়েত কি,
পীরেরাইতো নাহি জানে,
আছে পীর ভুরি ভুরি,
বিলায়াতের বাতাস পায়নি,
মুরীদ লইয়া খেলা করা,
দেখায় যে শুধু ধোকার মায়া,
পীর জানেনা বিলায়েত কি?
মুরীদেরী খবর রাখেনি,
মুরীদ মরে রাস্তা ঘাটে
তারপরও মুরীদ ঝাফ দিয়ে মরে,
মুরীদের সংখ্যায় পীর,
বিলায়েত খুজে জন জীবনে,
বিলায়েত কি, মুরীদের কাছে,
হাজার হাজার পীর আছে,
যাদের কারো বিলায়েত পাবে নাারে,
কিন্তু.........................
বহু বিলায়াতের অধিকারী,
যাদের মাঝে নাই মুরীদি,
পীরের গদি বা, গদীনশীন,
আকাম কুকাম করে সারাদিন,
নকল পীর বাংলায় গোডাউন,
আলুর বস্তার মত পীরের শরীর,
বিলায়াত, নবুয়্যাত,
রিসালত, আর নছীহত,
এই চাবি ই‘বাদতে আসেনা,
সারা জীবন
একান্ত বন্দেগী করলেওনা,
পীরেরাই ধোকাবাজ,
মুরীদরা চায় খিলাফত,
খিলাফত দিয়ে পীর পরিচয়,
বিলায়াত ওয়ালী কয়জন।
নাত-ই-মুরশিদ ৪৮
তোমার তুলনা শুধু তুমি,
বিশ্ব ভূবনে যা কিছু দেখি আমি,
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
তোমার রূপ নগরে, চাঁদ হাসে,
তারা হাসে, ফুল ফোটে,
তোমার ভূবনে, পাখি ডাকে,
ফিঙ্গে নাচে ঝাউয়ের শাখে,
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
তোমার রূপ সাগরে, নদী বহে,
জোয়ার উঠে, ভাটা নামে,
ঢেউ জাগে,সাগর হাসে,
ঝিনুক ভাসে, মালা দিতে,
তোমার রূপ আঙ্গিনায় মানুষ আসে,
প্রাঁণের টানে,
প্রেমের ধারে,
প্রেমিক হতে,
সুর নিতে,
জীবন দিতে,
গন্ধ পেতে,
ভাব জগতে
ডুবে যেতে,
মরে যেতে,
স্বর্গ পেতে,
কবি আসে,
কাব্য নিতে,
জ্ঞানী আসে,
জ্ঞান নিতে,
তোমার রূপ কাননে
ময়ূর নাচে,
মৌমাছি আসে,
হানী খেতে,
মালি আসে,
ফুল তুলিতে,
মাছি আসে,
ভুলে ভুলে,
মানব আসে,
লোভে পড়ে,
কমই আসে,
নিজের খোজে,
কে বা আসে,
ভাল বেসে?
সবার তরে,
আছ মিশে,
তুমি কে,
তুলনা কিসে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
তোমার রূপ আকাশে,
গগণ সাজে,
পাখি উড়ে,
ডানা মেলে,
স্বাধীন হয়ে,
ঘুরে বেড়াতে,
পতঙ্গ সব,
মেতে উঠে,
ডানা ভেঙ্গে,
মরে যেতে,
ছুটে চলে,
নূরের দিকে,
জীবন দিয়ে,
প্রেমিক হতে,
আপন ভুলে,
পরের হয়ে,
কাজ করে,
বিলিয়ে দিতে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
তোমার মরুর মাঝে,
নদী বহে
ঢেউ উটে,
বালুর চরে
জিকির করে,
মনে প্রাঁণে
ফিকির করে,
সংগোপনে
সুর উঠে,
মধুর টানে ।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
তোমার প্রেম সাগরে,
জোয়ার আসে
গভীর রাতে,
হৃদয় টানে
বানে বানে,
সুরে সুরে,
সকল ভাষে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
কাছে এলে ডরি,
না এলে মরি
পাগল ও ভেসে,
ঘুরি আশে পাশে
তোমায় ধরিতে,
চলে যাও দুরে
আছ চোখে চোখে,
হৃদয়ে তোমারী বাজনা বাজে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
রবি শশি,
গগণ রশ্মি
ভূবন মাটি,
তুমি না আমি
যে দিকে দেখি,
তুমি তুমি
দাওনা তোমাতে,
ডুবে যেতে।
জল রাশি,
পাহাড় নদী,
বাতাস বারী,
পশু পাখী
সবি তুমি, কি কহিতে
কি যে বলি,
ভুলে গেছি, তোমার প্রেমে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
তোমার সাথে,
দুলনা খেয়ে,
মিশে গেছে,
এই জীবনে,
আমাকে তুমি,
আপন ভেবে,
কাছে নিলে,
এখন কেন থাক দুরে।
একা করে,
কোথায় গেলে,
দেখা হবে,
কবে তবে,
কাছে এসে,
ধরা দিয়ে,
বিষন্ন আজ,
পদে পদে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
লুকো চুরি, খেল কেন?
প্রেমিক হয়ে,
বুঝে নিবে,
এক নিমিশে,
ছিনতে হবে,
রাতে দিনে,
কিনে নিবে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
গুরু তুমি,
বন্ধু তুমি,
শক্রু তুমি,
প্রেম তুমি,
জীবন তুমি,
মরণ তুমি,
আকাশ তুমি,
ভূবন তুমি
স্বর্গ তুমি,
অগ্নি তুমি,
বৃষ্টি তুমি,
কানন তুমি,
তোমাতে সব মিশে গেছে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
শান্তি তুমি,
দুঃখ তুমি,
ধ্বংশ তুমি,
অসি তুমি,
বিদ্যা তুমি,
বুদ্ধি তুমি,
জ্ঞান তুমি,
আকল তুমি,
বিবেক তুমি,
ধ্যান তুমি,
তোমাতে আজ চলছি ভেসে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
তোমার তুলনা,
মিলেনা মিলেনা,
কিছুই দেখিনা,
কিছুই মিলেনা,
কেননা যানিনা,
আমার অজানা পৃথিবীতে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
দেব তুমি, দেবীর হাসি,
নর তুমি,
নারি ও বুঝি,
গগণ ভরা,
ভুবন জোড়া,
নাই তুলনা,
সে কি আমি,
নাকি তুমি,
এই কথা না,
বলা যাবে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
ও গো তুমি, যদি বলি,
তুমি রব্বি,
না হয় যদি,
তুমি নবী,
না কি আমি,
তা‘হলে কি,
কি বলে ডাকি,
তুমি তুমি,
তুমি তুমি।
যার তুলনা,
দেখিনা আমি,
আমায় তুমি নাওগো টেনে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
প্রেমের রশি,
প্রাঁণ প্রিয়সি,
তোমায় আমি,
প্রাঁণ দিয়েছি,
তাতে খতি,
কত খানি,
নূরের স্রোতে,
ভাসিয়ে দিলে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
তব দর্শনে,
হৃদয় ভরে,
এক মহুর্তে,
ফিরে পাবে,
প্রেমিক মনে,
শান্তি- পাবে,
আস না কাছে,
আরো কাছে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
নূরের আলো,
জীবনে এলো
প্রেমের আলো,
শুরু হল,
নবীর নূর,
জীবনে জ্বালো,
অলির নূর,
অনেক ভাল,
চাঁদের আলো,
সূর্য্যের হাসি,
তারার আলো,
ভূবন খুশি,
কোথ্থেকে এলো,
প্রশ্ন হলো,
তুমি সব, তোমার নূরে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
গগণ ভূবন,
স্বর্গ নরক,
নেকী বদি,
স্বর্ন হিরক,
মনি মুক্তা,
পান্না ছদাফ,
কহিনূরের সকল চমক,
তোমার মাঝে হারিয়ে গেছে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
এটোম শক্তি,
ভূবন নাচে,
প্লাাটিনামের গন্ধ শুনে,
ভয়ে কাঁপে,
মানব মনে,
নূরের শক্তি,
প্রেমের দ্বারে,
হারতে পারে,
তোমার কাছে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
বল তুমি, কে তুমি,
বগবান, প্রভু, কৃষ্ণ রাধা
যীষু, ঈশ্বর, না কি খোদা,
প্রেমের কাছে, সবি মিছে।
যখন আমাতেই আমি নাই,
তোমার মাঝে আমাকে পাই।
সুন্দর তুমি,
মঙ্গল তুমি,
ভালো তুমি,
মন্দ তুমি
পবন তুমি,
প্লাাবন তুমি।
নাত-ই-মুরশিদ ৪৯
নত শীরে মেনে নিলাম,
আমার মুরশিদের ক্বদম মোবারক ,
এক আল্লাহ এক রাসুল,
তাঁর পর মুরশিদে বর হক।
নবী ওয়ালী গাউস কুতুব,
আবদাল আওতাদ ফেরেস্তাকুল,
রাসুলেরী পরেই আঁপনি,
আল্লাহর শ্রেষ্ঠ মাখলুক। ঐ
ওগো মুরশিদ-ই-আযম,
ডাকছি আঁপনায় আঁপনারী গোলাম,
পদধুলি দাও নিতে,
আমি তোমারই আশিক।
তোমাকে না দেখলে আমার,
দ্বীন দুনিয়া পেরেশান,
তোমার কথা মনে করে
হৃদয় করি আছান,
মুরশিদ তুমি আমার
মনের খোরাক। (ঐ)
তুমি মোহাম্মদ এঁর নূরে পয়দা,
মশগুল থাকে আল্লাহ্র
জিকিরের সদা ,
বানায় মানুষকে আল্লাহর,
আসুলের প্রেমিক । (ঐ)
নাত-ই-মুরশিদ ৫০
মুরশিদ নাঁেম কে এলো,
“খান্কা-ই-মোহাম্মাদিয়ায়”
ওরে আকাশেরী ধ্রোব তারা,
ওকে আনল
“খান্কা-ই-মোহাম্মাদিয়ায়”। (ঐ)
আল্লাহর রঙে রঙিন হইয়া,
ধরা দিলেন এই দরবারে আসিয়ারে,
ওরে রাসূলেরী রং লাগাইয়া খোশবু ছড়ায়। (ঐ)
আল্লাহর প্রেমে সদা মাশগুল,
রাসুলের জন্য হয়ে ব্যাকুল রে,
ওরে এত বড় আশেক তিনি,
তোমরা দেখে যাও। (ঐ)
কাছে- আছেন মুরীদ লাগি,
আল্লাহ্ আমার মুরীদ সবই পাপীরে,
ওরে এই বলে আল্লাহ্র
কাছে,
কান্দে সর্বদাই। ঐ
মুরশিদ আমার নয়ন মনি,
যার কাছে তাঁর কথা শুনিরে,
ওরে পাগল হয়ে বেড়াই,
আমি শাহী মহল্লায়। ঐ
আছেন যত মুরীদ খলীফা,
এই দরবারে বসারে,
ওরে আমি মুরশিদের গোলাম,
এই কথা তোমরা শুনে যাও। ঐ
নাত-ই-মুরশিদ ৫১
তোমায় দেখলে মনে হয়,
লক্ষ কোটি বছর আগে ছিল,
ছিল পরিচয় বুজি ছিল পরিচয়।
কোথায় ছিলে তুমি,
কোথায় ছিলাম আমি,
এখন মনে হল বুঝি,
ছিলাম কাছাকাছি,
যেন দুটি প্রাঁণ একটি মহনায়।
লক্ষ কোটি বৎসর আগে ছিল,
ছিল পরিচয় বুঝি ছিল পরিচয়।
যেন তুমি আমি একই প্রাঁণ,
দুটি হৃদয়ই একই জান,
তুলোনা কিশে? হারিয়ে গেছে,
একই মহনায়।
লক্ষ কোটি বছর আগে ছিল,
ছিল পরিচয় বুঝি ছিল পরিচয়।
তোমার মাঝে আমি,
আমার মাঝে তুমি, তুমি আমি না কি
আমি তুমি যে একটিই পরিচয়।
লক্ষ কোটি বছর আগে ছিল,
ছিল পরিচয় বুজি ছিল পরিচয়।
বল না দুরত্ব কত দুর,
বুঝতে পারে কে কার সুর,
তোমার না আমার,
আসলে একই! বুঝা বড় দায়।
লক্ষ কোটি বছর আগে ছিল,
ছিল পরিচয় বুঝি ছিল পরিচয়।
নাত-ই-মুরশিদ ৫২
আকাশের এক ঝাক তারা,
দিয়ে গেল আমায় সাড়া,
জেগে দেকি সব মিথ্যা,
সেত এল না,
হৃদয়ে শুধু বেদনা,
ভুলতে পারি না,
তার বিয়োগ ব্যাথা,
সেত এসেছিল নিরবে,
আমার দুহাত ধরে
আমার জীবন জাগালে,
জাগিয়ে ছিল হৃদয়ে,
নূর হয়ে ধরা দিলো ভুলা যায়না।
সাগরের তরঙ্গ ঢেউ ঢেকে
বলে আমাকে,
যাকে তুমি খোজ,
সেত তোমাতে,
আমি বলি মিছে বানি
কত কাল ধরে শুনি,
ধোকা তোমরা,
আমায় আর দিওনা।
সাগর আশা যোগায়,
তোমার প্রিয়া কোথায়,
আমি জানি বলছি তোমায়,
খুজছ যারে, সে তোমার ভিতরে,
কেন মিছে তারে খুজে মর,
ডাকো তারে হৃদয় দিয়ে,
পাবে তারে তোমারী অন্তরে,
সে যে তারা হয়ে জ্বলছে মিট মিটে ।
বাতাস বলে দিল ওহে তালাশী,
খোজ তারে মন দিয়ে,
পর্বত মালা বলছে আমায়,
তোমার প্রিয় আমাতে নয়,
মেঘ রাশি উকি মেরে,
ডেকে বলে শুধু আমায়,
বনানীর লতা শূর শূর করে,
জাগিয়ে বলে,
তোমার প্রিয়া তোমাতেই আছে।
নাত-ই-মুরশিদ ৫৩
অনেক সাধনায় তাঁরে পেয়েছি,
অনেক ভাবনায় তাঁরে বুঝেছি,
অনেক দিন ধরে আমি যাকে খুজেছি,
বহুদিন রজনী কাটিয়ে তবে,
বহু বছর অতি বাহিত করে,
অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা,
দুঃখ দুর্দশা বহুদিন অপেক্ষা,
অবশেষে ও খুজেছি।
আকাশ বাতাসে মেঘ মেলা,
সপ্ত গগণ স্বেতারা নিহারীকা,
রবি শশী শূক্র তারা,
মঙ্গল শনি নেপচুন প্লোট,
মহাকাশ আরশে মাওলা,
খোজতে খোজতে অবশেষে,
পেয়েছি তাঁরে অন্তরে,
আমার কাছেই থেকে ধরা দেয় না,
দুরে থাকে প্রেমের তারে,
খুজে তারে পেয়েছি আমি,
জিকির ফিকির জুহুদের মাকাম,
আমার প্রিয়া নয় সসীম,
যাঁকে ধরা যায়না দেখা যায়না,
চোয়া যায় কেমনে ডাকলে শুনেনা।
কথা বলেনা শূড় শূড়ি দিয়ে যায়,
মনের আঙ্গিনায় কাছে আসতেই,
দুরে চলে যায় ধরার মত যন্ত্র মন্ত্র,
এই ত্রিভুবনে নাই,
জুহুদ সুজুদ রূক করে,
বন্দেগী জিন্দেগী মরনে তারে,
বিলায়েতে নবুয়তে রিসালতে,
তাওহীদ শাহাদাত আর কালিমাতে,
আগুন পানি আর করেনী নূর,
বহু কষ্টে পেয়েছি সূর,
প্রেমের ধরনী শিরা,
উপশিরা তাঁকে দেখেছি।
নাত-ই-মুরশিদ ৫৪
ভাব জগতে ডুবলে তুমি,
কুল কিনারা নাহি পাবি।
ও যার শুরু আছে শেষ নাহি ।
বাইতে হবে জীবন ভরি,
কুল কিনারা নাহি পাবি।
ভবজগতে আইছ একা,
জীবন ভরে খাইছ ধোঁকা,
তুমি যদি বোকা দিলে,
কি রইবে তোমার বাকি।
ভেবে ভেবে মরে গেলে,
ভাব জগতের সীমা মিলে,
মরণ তোমার ঠিকানা,
ভাব জগতের শেষ সিমানা,
বল ভাবতে ভাবতে মরব আমি।
যাকে তুমি ভাবরে মন,
তোমার মাঝে আছে স্বজন,
কাছে রেখেই কারে খুজ,
একটু তালাশ করে দেখ,
শুনতে পাবে বলবে আদম।
নিজেই তাঁরে গোপন করে,
খোজ করে আধাঁর গরে
নূরের বাতি জ্বলে সদা তোমার,
আবার বলে ঘোর অন্ধকার,
অন্তর দিয়ে দেখ তাঁরে
বলবে সে এইতো আমি।
আল্লাহ্ নামে যিনি সদা,
রাসূল নামে তিনি পয়দা,
মুরশিদ নামে ভবের মাঝে,
বাসা তোমার হৃদয় জুড়ে,
হাতে খোজে দেখ বলবে এইত আমি।
ভাব জগতে যত ভাবি,
ভাবের মাঝে হারিয়ে যেতে,
ভব জগতে ভাবক থাকে,
ভাবের পরে প্রেম আসে,
প্রেমের সাথে খেলা করে
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে,
ভাবতে ভাবতে মরে গেলে,
প্রেম যে শুরু এখান থেকে,
ভবের প্রেম ছাড়ছে যে জন,
সেইতো ভাব জগতে ডুবে গেছে,
প্রেমের কাছে সবই মিছে,
শরীয়তের কি দাম আছে?
আইনের ধারা প্রেমের কাছে,
হেরে যাবে ভাবের স্রোতে,
প্রেমের কাছেই ধরা সবাই,
প্রভু নবী ওয়ালী।
ভক্ত গুরু খেলছে তারাই,
ভবের শক্তি কতখানি,
প্রেমে পড়লে সে ও বুঝেনি,
প্রেমের কারেন্ট লাগলে মনে,
সর্বাঙ্গ আছে সদাই,
বিশ্ব জাঁহান প্রেমের কাছে,
হারিয়ে গেছে এক নিমিশে,
প্রেমের মরা নাই জীবন আছে,
বিশ্ব জাঁহান প্রেমের তালে,
পতঙ্গ সব মেতে উঠে,
সাগরেতে তরঙ্গ বয়ে,
জোয়ার আছে ভাটা নামে,
মেঘ পবন খেলা করে,
পাহাড় নদী নাচে সদাই।
No comments:
Post a Comment