News: MAHFIL ROUTINE: 1. Yearly Mahfil a. Eid E Miladunnabi (Sallallahu Alaihi Wa Sallam)11Rabiul Aeull b. Eid E Miladul Wajeeh (Radhiallahu Anhu) 11jilkad 2. Monthly Mahfil a.The Holy Ashura b. The Akheri Chahar Somba c. Mi’rajunnabi (Sallahu Alaihi Wa Sallam)Night d. Lailatul Barat e. Lailatul Qadr f. 18th ramadan- Iftar Mahfil (Darbar’s) g. 18th Ramadan- Iftar Mahfil (RANI MA’s) h. 29th Zilhajj- (night) Khandakar Qari Mohammad AbulHashem (radhiallahu Anhu)’s Isal ESawab Mahfil i. 11th Rabius Sani (night)Fateha E Iyazdahm And Umme Hani (RANI MA) (RadiallahuAnha)’s Isal E Sawab Mahfil 3.Weekly Mahfil Every Thursday after ‘Isha- Zikr, Milad And Qiyam Mahfil Other Mahfils a. Salatul Jum’a b. Eid ul Fitr c. Eid ul Azha d. Afarafa Day Mahfils For Bangladesh Affairs Routine: a. Independence Day of Bangladesh, 26th March b. Victory Day of Bangladesh, 16th December c. International Mother Language Day and National Shaheed Day, 21th February d. Death Anniversary of Shahid President Ziaur Rahman, 30th May d. National Mourning Day and Death Anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, 15th August

Thursday, March 15, 2018

ঈদে মীলাদে হাবীবী একটি পরিপূর্ণ শরীয়ত সম্মত ও নিয়ামতপূর্ণ আমল

আসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহ
আল হামদু লিল্লাহ ওয়াকাফা ওয়া সালাতু সালাম আল নাবীয়্যিল মুকার্রিমীন ওয়ালা আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমায়ীন আম্মা বাদ!! আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু আহাদান সামাদান লাম ইয়ালিদ ওয়াম ইয়াকুল লাহু কুফুওয়ান আহাদ! ওয়া আশহাদু আন্না সাইয়্যিদানা ওয়া সানাদানা ওয়া হাবীবানা ওয়া মাওলানা ওয়া নাবীইয়ানা ওয়া শাফীয়ানা হযরত মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ! ওয়া আশহাদু আন্না সাইয়্যিদানা ওয়া সানাদানা ওয়া হাবীবানা ওয়া মাওলানা আল-হাজ্ব হযরত মাওলানা মুরশিদুনা শাফীয়িনা শাহসূফী খাজা শায়খ সাইয়্যিদ আবুল খায়ির মোহাম্মদ ওয়াজীহ উল্লাহ (রাঃ) ইমামুত ত্বরীক্বাত ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লিম।
ঈদে মীলাদে হাবীবী একটি পরিপূর্ণ শরীয়ত সম্মত ও নিয়ামতপূর্ণ আমল
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক আমল যে আমলে অগনিত নিয়ামতের সম্ভার রয়েছে। ঈদে মীলাদে হাবীবী পালনের মাধ্যম দিয়ে মানুষ এসকল নেক কাজ করার সুযোগ ও বিশাল নিয়ামত লাভ করতে পারে। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে ,
مَنْ سَنَّ فِي الإِسْلاَمِ سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا بَعْدَهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَىْءٌ
হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম শরীফ - কিতাবুজ যাকাত : হাদীস ১০১৭, সুনানে নাসাঈ ২৫৫৪, জামে তিরমিযী - কিতাবুল ইলিম : হাদীস শরীফ ২৬৭৫ )
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে যে কাজ করা হয় তা সবই উত্তম। আসুন দেখা যাক কি করা হয়,
১) কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা হয়: 'ইবাদতসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হচ্ছে কোরআন শরীফ পাঠ করা। তিনি আরো বলেন, তোমরা কুরআন শরীফ পড়। কারণ কিয়ামতের দিন এই কোরআন স্বীয় পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে।' (মুসলিম শরীফ)
২) ছলাত পাঠ করা: পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ হয়েছে-
عن حضرت عبد الله بن مسعود رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اولى الناس بى يوم القيامة اكثرهم على صلوة
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ওই ব্যক্তিই ক্বিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার প্রতি অধিক মাত্রায় পবিত্র ছলাত শরীফ (পবিত্র দুরূদ শরীফ) পাঠ করবে।সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ- আবওয়াবুল বিতর: হাদীস ৪৮৪)
৩) সালাম পাঠ করা: পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
يايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما.
অর্থ: তোমরাও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করো এবং পবিত্র সালাম শরীফ প্রেরণ করার মতো প্রেরণ করো।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
৪) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা সিফত করা:
اِنَّا اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيرًا. لِّتُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُولِه وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وّ َاَصِيلا.
অর্থ : (হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষীদাতা, সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারীস্বরূপ পাঠিয়েছি; যেন (হে মানুষ!) তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার উপর এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ঈমান আনো এবং তোমরা উনার খিদমত করো ও উনার তাযীম-তাকরীম করো এবং উনার ছানা-ছিফত করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে সদা সর্বদা। (সূরা ফাত্্হ : আয়াত শরীফ ৮, ৯)
৫) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ বিষয়ে আলোচনা করা: মেশকাতুল মাছাবীহ-এর ৫১৩ পৃষ্ঠায় ফাযায়েলে সাইয়্যিদুল মুরসালীননামক অধ্যায়ে উল্লেখ আছে,
عن العرباض بن سارية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم- انه قال انى عند الله مكتوب خاتم النبيين وان ادم لمنجدل فى طينة وساخبركم باول امرى دعوة ابراهيم وبشارة عيسى ورؤيا امى التى رأت حين وضعتنى وقد خرج لها نور اضاء لها منه قصور الشام-
অর্থঃ- হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর খামীর যখন প্রস্তুত হচ্ছিল তখনও আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট খতামুন্নাবিয়্যীনঅর্থাৎ শেষ নবীহিসেবে লিখিত ছিলাম। এখন আমি তোমাদেরকে আমার পূর্বের কিছু কথা জানাব। তা হলো, আমি হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া, আমি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ ও আমি আমার মাতার সুস্বপ। আমার বেলাদতের সময় আমার মাতা দেখতে পান যে, একখানা নূর মুবারকবের হয়ে শাম দেশের রাজপ্রাসাদ বা দালান-কোঠা সমূহ আলোকিত করে ফেলেছে।” (সহীহ ইবনে হিব্বান: হাদীস ৬৪০৪, মুসতাদরেকে হাকীম: হাদীস ৩৬২৩, সিয়ারু আলামীন আননুবুলা পৃষ্ঠা ৪৬, মুসনাদে তয়লাসী: হাদীস ১২৩৬, মুসনাদে বাযযার ৪১৯৯, দালায়েলুন নুবুওওয়াত-১ম খন্ডের ৮৩ পৃষ্ঠা ,শোয়াবুল ঈমান-২য় জিঃ, ১৩৪ পৃষ্ঠা, শরহুসসুন্নাহ ও মসনদে আহমাদ)
৬) মানুষকে খাবার খাওেয়ানো: হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,
عن حضرت عبد الله بن سلام رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يايها الناس افشوا السلام واطعموا الطعام وصلوا الارحام وصلوا باليال والناس نيام تدخلوا الجنة بسلام
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হে লোক সকল! তোমরা সালামের প্রচলন কর, মানুষকে খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর এবং রাতের বেলায় মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড় তাহলে শান্তির সাথে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।” (তিরমিযী ১৮৫৫, ইবনে মাযাহ্ ১৩৯৫, আদাবুল মুফাররাদ ৯৮১, আবদ ইবনে হুমাইদ ৩৫৫, দারিমী)
৭) আগমন দিবস স্মরন করা: আর এমন বিশেষ দিন সমূহ স্মরন সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন,
وَذَكِّرْهُم بِأَيَّامِ اللَّـهِ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ
অর্থ: তাদেরকে আল্লাহর দিনসমূহ স্মরণ করান। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। (সূরা ইব্রাহিম ৫) ফিকিরের বিষয় হচ্ছে , নবীজীর আগমনের দিবস কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ও ফযিলতপূর্ণ। এই দিন হচ্ছে অন্য সকল দিনের চাইতেও শ্রেষ্ঠ। আর এমন দিনের স্মরন করানোর আদেশ আল্লাহ পাক নিজেই দিয়েছেন। আল্লাহ পাকের আদেশ অনুযায়ী এই বিশেষ দিন স্মরন করা, সে দিনের বিশেষ ঘটনাবলী আলোচনা করা, সে দিন যার কারনে শ্রেষ্ঠ হলো উনার ছানা সিফত করা, শুকরিয়া আদায় করা এটা আল্লাহ পাকের নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত।
উপরোক্ত বিষয় থেকে আমরা দেখতে পেলাম, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে আমারা যে আমল করি সেগুলো প্রতিটি কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ সম্মত।এবং সবই উত্তম ও নিয়ামত সমৃদ্ধ, এবং আল্লাহ পাকের আদেশের অর্ন্তভূক্ত। তাই এই সুমহান আমলের বিরোধীতা করা কোন মুসলমানের পক্ষে সম্ভব না। সূতরাং প্রমাণ হলো, আমরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে যে আমল করি সবই কুরআন শরীফ সম্মত।
Image may contain: text

Top of Form


No comments:

Post a Comment