“নাত-ই-রাসুল(সঃ) ১
যদি ছোট একটি পাখি হইতাম
উড়াল দিয়া পাক ভুমি মদিনায় যাইতাম
মনের আশা পুরাইতাম হায়রে মনের জ্বালা নিভাইতাম
উড়াল দিয়া পাক ভুমি মদিনায় যাইতাম । ঐ
মদিনারই ধুলাবালি সর্ব অঙ্গে মাখিতাম
হায়রে সর্ব অঙ্গে মাখিতাম
উড়াল দিয়া পাক ভুমি মদীনায় যাইতাম । ঐ
হতভাগ্য কপাল পোড়া বাংলাদেমে বাড়ি
সাত সমুদ্র তের নদী আমি কেমনে দিব পাড়ি । ঐ
মদিনাতে যাইতে ভাইরে কারনা মনে চায়
নবীর জন্য কেঁদে কেঁেদ
আবার কার না বুক ভাষায়। ঐ
আমার মনে এই ভাসনা সেথায় যাইয়া মরিতাম ।
হায়রে সেথায় যাইয়া মরিতাম। ঐ
মনে বড় আশা ছিল যাইতাম মদিনায়
আতর গোলাপ ছিটাই দিতাম নবীর পাক রওয়াজায়
বিল্লা হাবসি দিল দেওয়ানা আযান দিতে যায়। ঐ
মোহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ বলে ঢ়লিয়া পড়ে যায়।
ওয়াজ ক্বুরনী আশেক ছিল নবীর জন্য দেওয়ানা
হায়রে নবীর জন্য দেওয়ানা
বএিশ দান্দান ভেঙ্গে ফেল্ল তিনি একটাও রাখলেন না । ঐ
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”২
শাহেন শাহে আলম আলম মদীনারী সুলতান,
আমেনার দুলারা হালিমার জানের জান।
শাহেন শাহে আলম আলম মদীনারী সুলতান,
আল্লাহর দুলারা সৃষ্টির প্রানের প্রান।
এসেছিলেন দুনিয়াতে
পাপী উদ্ধারিতে
গুমোরা গাফেলাদের ঘুম ভাঙ্গাইতে,
ইসলাম প্রচার করিতেন
হাতে নিয়ে পাক কোরয়ান।
আয় শাহে দো’আলম নূরে মুজাচ্ছাম
ফরিইয়াদ করিতেছি আমি নরাধম,
তোমারী ছাহারা নিয়ে হবে মুশকিল আছান।
বুরূজে কেয়ামতে যত হবে গুনাহ গার
ক্রন্দনে থাকবে সবাই উঠবে হাহাকার,
সেই দিন হইবে মোর নবীজি মেহেরবান।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ” ৩
আমারী মনের মাঝে পেয়েছি যে, বেদনা
জানে মোহাম্মদ শাহে মদীনা
শাহারার মরুর পথে খুজি নবী তোমারে
চোখ ইশারা দিয়ে মোর প্রান নিয়েছে কেড়ে
ও গো নবী নয়ন মনি আমার গলার মালা
এশ্ কেতে মোর যাইয়া প্রান করনা উজালা
যদিবা না দিবে ধরা আর আমায় ড়েকোনা।ঐ
দেখিনি জীবনে কভু দুনয়নে যাহারে
তবু কেন কাদেরে মন তাহারী বিরহে
ভুলি ভুলি ভুলিরে মন
ভুলিতে যে পারিনা। ঐ
পাওয়া না পাওয়ার মাঝে তুমি আমি দুজনা
বেধেচিগো মায়ার মালা কভুযেন ছুটেনা
যখনী মনের মাঝে খুজি ওগো তোমারে
তখন চলিয়া যায় মন মদীনার দুয়ারে
কাছে এলে না পাইলে কতযে মোর বেদনা। ঐ
“নাত-ই-রাসুল(সঃ) ” ৪
মদীনার বুল বুল নবী রাসুলাল্লাহ্
পাঠালেন খুশি হয়ে নীজে মাবুদ আল্লাহ্,
তুমি যে, অসলে এই ধরাতে
অন্ধ যুগের মানুষের
আলো দিতে,
তব নুরে আলোকিত হল দুনিয়া,
অমানুষ মানুষ হয়, তোমাকে পাইয়। ঐ
ছিল মানুষ পাপে তাপে
অন্ধ কারে,
তুমি এসে সেই মানুষ সোনা বানালে,
আসলেন কালিমার জিকির করিয়া,
বলতেন তিনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ঐ
আকাশেরী দ্রƒব তারা আসলেন দুনিয়ায়,
পাঠালেন রসুল করে শেষ জামানায়,
সব নবীর সরদার মোহাম্মদ রাসুল,
তিনি হলেন আল্লাহর পেয়ারা মাকবুল,
আল্লাহÍ দীদার হাসিল করেন মেরাজে গিয়া,
সেখানে ও উম্মতকে যাননা ভুলিয়া। ঐ
“নাত-ই-রাসুল(সঃ) ” ৫
ছবছে আওলা ও আ’লা হামারা নবী
ছবছে বালা ও আ’লা হামারা নবী ।
আপনে মাওলাকা পেয়ারা হামারা নবী
দো’নো আলমকা দলহা হামারা
নবী।
বজমে আখেরকা শামা ফেরূজাঁ হুয়া
নূরে আউয়ালকা জালওয়া হামারা নবী।
খালকোছে আউলিয়া আউলিয়াছে রাসুল
আওর রসুলুছে আওলা হামারা নবী।
কোন দে তা হায় দে নেকো মো চাহিয়ে
দেনে ওয়ালা হায় চাছ্ছা হামারা নবী।
জেছনে টুকড়ে কিয়ে হেঁ কমর কে হায়
নূরে ওয়াহদাতকা টুকরা হামারা নবী।
মূলকে কাওনাইনমে আম্বিয়া তাজেদার,
তাজেদারূকা আকা হামারা নবী।
সব ছমক ওয়ালে উজলুঁমে চমকা কিয়ে,
আন্ধেশিসোঁমে চমকা হামারা নবী।
জিছনে মুরদা দিলুঁকো দি ওমরে আবদ,
হ্যায় উহজানে মছিহা হামারা নবী।
আসমানো হি পর সবনবী রাহগেয়ী,
আরশে আযম পে পৌঁহছা হামারা নবী।
গম জাদুঁ কো’রেজা মুজতাদি জেকে হায়
বে কছুঁকা ছাহারা হামারা নবী।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)” ৬
এহি হায় তামান্না এহি আরজু হ্যায়
এহি তোঁ সুনানে কা জী চাহুতা হ্যায়।
মদীনে কো পলট করনা আও
এহি ঘর বাননে কা জী চাহুতা হ্যায়।
রসুলে গেরামীকে রওজেকো দেখ ও
হাকীকত মে কা’বাকে কা’বা দেখ ও।
ইয়ে ছের উনকি নূরালী চৌকাঠ পর মড়কড় কর
নীচে আজমানেকা জী চাহুতা হ্যায়।
ফক্বদ কর করো আরজু রওজে কে জালী,
মাই দুর কা ছুয়ালী হু আয় শাহে আলী।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”৭
জব খুদীছে গম হুয়া তব
তো নজর আয়া মুঝে
জেছ তরফ ছে দেখা তা তুহি
তো নজর আয়া মুঝে।
সিদক্ব দেল ছে মাহিয়া কি
জব নফী মাইনে কাঁহা
তব জিদার ছে দেখা তা তোহি
তব জিদার ছে দেখা তা তোহি
তো নজর আয়া মুঝে।
গুল শানে কছরত মে
জা দেখা তব চশমে আহদিয়ত
তেরী বুঁ ছে গুলশা ভী
খুশব
তেরী বুঁ ছে গুলশা ভী
খুশব
তু নজর আয়া মুঝে।
ইয়ার কা দীদার হু না
কিয়া খুশী কি বাত হ্যায়
মুরদা দেল তো জিন্দা হুয়া তব
মুরদা দেল তো জিন্দা হুয়া তব
তো নজর আয়া মুঝে।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”৮
প্রিয় নবীর জিয়ারতে চলরে মদীনা
দুনিয়ার জান্নাত গো গোলজারে মদীনা (২)
যেই জমিনে শুয়ে আছেন দ্বীন ইসলামের রবি
দো জাঁহানের মুক্তি দাতা কুল আলমের নবী,
আশিক যাঁহার খোদ এলাহী মালিক রব্বানা ।
দ্বি খন্ডিত হল চন্দ্র যাঁহার ইশারাতে
কলেমা পড়ে উঠল পাথর আবু জেহেলের হাতে,
মেশক হতে সূরভিত যাঁহার পছিনা।
আমার নবী যেই জমিনের কোলে শুয়ে আছে
আরশ,কুরছি,লওহ,কলম তুচ্ছ তাঁহার
কাছে
সেই কাবার কাবা প্রানে চল হয়ে দেওয়া না।
রবি,শশী,আলোকিত উজ্জল সেই
নুরে
যে নূর হাসে গ্রহ তারায় হাসে জগত জুড়ে,
চলরে আজি লুটবারে সেই নূরের খাজিনা।
সাম্য চাহী,মৈত্রী চাহী,চাহী অনাবিল হাসী
শান্তি চাহী মানবতার হই যদি প্রত্যাশী
চলরে তবে নবীর দ্বারে হয়ে মস্তানা।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”৯
জাল্তা হুয়া শাময়া হু,
ফরওয়ানা মোহাম্মদ কা,
জালতি হ্যায় ছীনে মে ,
আরমানা মোহাম্মদ কা,
দিলে আন্জুমান মোহাম্মদ কী ,
দিওয়ানা মোহাম্মদ কী,
দিওয়ানা মোহাম্মদ কী,
মদীনে মে জাকর
দিল দিওয়ানা মোহাম্মদ কা।
নূর ছে ইমান কী
শাময়া হুয়া জালতি হ্যায় মদীনে মে
জালতি হ্যায় মদীনে মে
শাময়া হুয়া মদীনে মে
দিল দিওয়ানা মোহাম্মদ কা।
বুলা লও গুনাহ গার কো
রওজায়ে মদীনে মে
রওজায়ে মদীনে মে
ফিলা দো মুজ কো
দিল দিওয়ানা মোহাম্মদ কা।
জব মেরী গুনাহ মুজ কো
লে যায়ে জাহান্নাম মে
লে যায়ে জাহান্নাম মে
তব মাই কাহু গা
উম্মতে মোহাম্মদ কা।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)” ১০
মদীনা বাগের বুলবুলি গো,
মদীনা বাগের বুলবুলি গো,
কেমনে তোমায় রই ভুলে ।
কেমনে তোমায় রই ভুলে ।
উম্মী আমিন আরব বাসী,
সাম্য বাদী হে মোহাম্মদ ,
মরূর মাঝে মক্কার বুকে ,
আসিলেন এক গোলাপ ফুলে।
তোমার নামে আশেক আল্লাহ ,
হে মোহাম্মদ মুস্তাফা,
তুমি আল্লাহর আল্লাহ তোমার,
কি রহস্য আছে মাঝে।
দয়ার সাগর রসুল তুমি,
তোমার গুনাহ গার উম্মত আমি,
পারকরে নাও ও গো দয়াময় ,
কঠিন হাশরের সেই দিনে।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)” ১১
নবী আছেন কর্নে শুনি,
নবী আছেন কর্নে শুনি,
দেখলাম না দুই নয়নে
মনের দুঃখ রইল গো মনে।
নবী আছেন কর্নে শুনি,
নবী আছেন কর্নে শুনি,
দেখলাম না দুই নয়নে
মনের দুঃখ রইল গো মনে।
নবীজি আমি অধম কপাল মন্দ,
না পাইলাম মদীনার গন্ধ ও
যার কপালে লেখা আছে,
যার কপালে লেখা আছে,
মদীনাতে যাইতে।
নবীজি এই অধমে কেন্দে বলে ,
কবে যাব মদীনার দুয়ারে ও
আমার জীবন ধন্য হইবে,
আমার জীবন ধন্য হইবে
নবীজিকে পাইলে।
নবীজি পাগল হইলাম আমি,
আপনার দীদার লাগিয়া,
দয়া করে দাওগো দেখা,
দয়া করে দাওগো দেখা,
স্বপনেতে আসিয়া।
নবীজি আপনাকে দেখিলে একবার,
পাবে শুপারিশ আপনার ও
দো’জাঁহানে মুক্তি পাইবে,
দো’জাঁহানে মুক্তি পাইবে,
আপনার মধুর পরশে।
“না‘ত-ই-রাসুল ” ১২
মোহাম্মদ মোস্তফা সল্লে
আলা,
তুমি বাদশাহ বাদশাহ কামলি ওয়ালা।
মোহাম্মদ মোস্তফা সল্লে আলা,
তুমি বাদশাহ বাদশাহ কামলি ওয়ালা,
পাপে তাপে পূর্ণ আঁধারে দুনিয়া,
হল পূণ্য বেহেশ্তী নূরের উজালা।
জলিবি রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি,
নফসি নফসি করিবে সকল নবী,
ইয়া উম্মাতি উম্মতি তুমি একেলা।
করে আউলিয়া আম্বিয়া তোমারী ধ্যান,
দুরূদ গাহিবে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা।
মোহাম্মদ মোস্তফা সল্লে আলা,
আমি যাইতে পারি প্রিয় নবীজির রওজা,
স্বপনে দেখে নিশিরাতে
যেন কাবার মিনার হতে
ডাকছে বেলাল সেই মুসলিম ডেকে ডেকে,
লা এলাহী বলবে কবে আমার স্বপনসফল হবে,
গরীব বলে হব কি নিরাশ দেখা মদীনা।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”১৩
মোহাম্মদ নাম যতই জফি ,
ততই মধুর লাগে।
মোহাম্মদ নাম যতই জফি ,
ততই মধুর লাগে।
ও নামেতে এত মধু থাকে,
কে জানিত আগে।
ও নামেরই মধু চাহি,
মন ভোমরা বেড়ায় গাহি,
আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা নাহি,
ও নামের অনুরাগে।
ও নাম প্রানের প্রিয়তম
ও নাম জপি মাশুক সম,
ও নামে পাপিয়া গাহে প্রানের গোলাপ বাগে।
আমি ও নামে মুসাফির রাহী
তাই চাই না তখত শাহান শাহী,
নিত্য ও নাম ইয়্যা এলাহী যেন হৃদয় জাগে।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)” ১৫
তুমি নূর নবী ,ইসলাম রবি,
সর্ব গুনবান,
তোমারই গৌরবে মুগ্ধ পরান।
তুমি নূর নবী ,ইসলাম রবি,
সর্ব গুনবান,
তোমারই গৌরবে মুগ্ধ পরান।
আরব দেশেতে কোরেশ বংশেতে,
পবিত্র মক্কা ভূমি তব জন্মস্থান।
ইসলাম প্রচারিতে কাফেরের বাড়ীতে,
গিয়েছিলেন নবী মেহেরবান।
কত কষ্ট দিয়েছিল কাফের শয়তান।
আল্লাহর সাথে,দীদার করিতে,
মেরাজে গেলেন নবী,
বুঝতে আল্লাহর শান।
“না‘ত-ই-রাসুল ” ১৬
রসুল নামে ওরে কে এল
মদীনায় , রসুল নামে।
ওরে কে এল মদীনায়, রসুল নামে।
ওরে আকাশেরী চন্দ্র কেড়ে ,
ওকে আনল মদীনায়।
ওরে আকাশেরী চন্দ্র কেড়ে ,
ওকে আনল মদীনায়।
গলাতে তাছবীর মালা,
কে চলে ঐ কামলী ওয়ালারে,
ওরে আমার বুকে দর্গা তলা,
ওরে আমার বুকে দর্গা তলা,
ওকে ডেকে নিয়ে আয়।
দেখি নাই শুনি নাই কোথায়,
মানুষে কাঁদে মানুষের ব্যথায় রে,
ওরে এমন দরদীর কথা,
ওরে এমন দরদীর কথা,
শুনলে পরান জুড়ায়।
মোহাম্মদ নাম তাঁহার,
আহমদ এই ধরাতে রে,
ওরে এমন দয়াল নবী,
ওরে এমন দয়াল নবী,
কভু শুনি নাই।
শাফায়াতের নবী যিনি,
দ্বীন দুনিয়ার বাদশাহ তিনি রে,
ওরে এমন দয়াল নবী,
ওরে এমন দয়াল নবী,
কভু আসে নাই।
“না‘ত-ই-রাসুল ” ১৭
তৌহিদেরী মোরশেদ আমার
মোহাম্মদের নাম।
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
তৌহিদেরী মোরশেদ আমার
মোহাম্মদের নাম।
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
এই নাম জপলেই বুঝতে পারি
আল্লাহর কালাম,
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
এই নামেরী রশি ধরে যাই আল্লাহর পথে
এই নামেরী তরী চড়ে ভাসি নূরের শ্রোতে,
এই নামেরী বাতি জ্বেলে দেখি
আরশের মোকাম।
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
এই নামের দামন ধরে আছি
আমার কিসের ভয়,
এই নামের গুনে পাবো
আমার আল্লাহর পরিচয়,
তাঁর কদম মোবারক যে
আমার বেহেশ্তী তাঞ্জাম।
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
“না‘ত-ই-রাসুল ” ১৮
তোরা দেখে যা আমেনা মায়ের কোলে,
মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে।
তোরা দেখে যা ............
যেন ঊষার কোলে রাঙ্গা রবি দোলে ।
যেন ঊষার কোলে রাঙ্গা রবি দোলে ।
কুল মাখলুকে আজি ওঠে “ কে এল ঐ”
কালেমা শাহাদাতের বাণী ঠোঁটে “ কে এল ঐ”
আল্লাহর জ্যোতিঃ পেশানীতে ফোটে “ কে এল ঐ”
আকাশ গ্রহ তারা পড়ে লুটে
“ কে এল ঐ”
পড়ে দুরূদ ফেরেশ্তা জান্নাতের দুয়ার খোলে।
পড়ে দুরূদ ফেরেশ্তা জান্নাতের দুয়ার খোলে।
মানুষে মানুষের অধিকার দিল যে জন,
এক আল্লাহ ছাড়া মাবুদ নাই,কহিল যে জন,
মানুষের লাগি,চির দীন বেশ ধরিল
যে জন,
বাদশা ফকীর এক শামিল করিল যে জন,
এল ধরায় ধরা দিতে সেই নবী,
ব্যথিত মানবের ধ্যানের ছবি,
(আজি) মাতিল বিশ্ব নিখিল মুক্ত কলরোলে ।
মাতিল বিশ্ব নিখিল মুক্ত কলরোলে ।
“না‘ত-ই-রাসুল ”১৯
সাহারাতে ফুটলরে ফুল, রঙ্গিন গুলে লা লা
সেই ফুলের খোশবুতে আজ, দুনিয়া মাতোয়ারা,
সাহারাতে ফুটলরে ফুল, রঙ্গিন গুলে লা লা
সেই ফুলের খোশবুতে আজ, দুনিয়া মাতোয়ারা,
সেই ফুল নিয়ে কাড়াকাড়ি
চাঁদ-- সূরুজ,গ্রহ -- তারায়,
ঝুকে পড়ে চুমে সে ফুল নীল গগন নিরালা।
ঝুকে পড়ে চুমে সে ফুল নীল গগন নিরালা।
সেই ফুলেরই রওশনীতে আরশ কুর্ছী রওশন,
সেই ফুলের রং লেগে আজ ত্রিভূবন উজালা।
সেই ফুলের রং লেগে আজ ত্রিভূবন উজালা।
সেই ফুলেরই গুলিস্তানে আসে লাখো পাখী,
সেই ফুলেরে ধরতে বুকে দোলে রে ডাল পালা।
সেই ফুলেরে ধরতে বুকে দোলে রে ডাল পালা।
চাহে সেই ফুল জীন ইনসান,হুরপরী ফেরেশ্তায়,
ফকীর দরবেশ বাদশাহ চাহে করতে গলে মালা।
ফকীর দরবেশ বাদশাহ চাহে করতে গলে মালা।
চেনে রসিক ভোমরা বুলবুল সেই ফুলের ঠিকানা,
কেউ বলে হযরত মোহাম্মদ কেউ বা কামলী ওয়ালা।
কেউ বলে হযরত মোহাম্মদ কেউ বা কামলী ওয়ালা।
“না‘ত-ই-রাসুল ”২০
শামছুদ্দোহা আছ্ছালাম
বাদরুদ্দোজা আছ্ছালাম
নূরূলহুদা আছ্ছালাম, আছ্ছালাম,
তোমার দুরূদ পড়ে আল্লাহ তায়ালা
ফেরেশ্তাকুল গাহে সল্লে আলা,
নিখিল সৃষ্টি তব পাক ক্বদমে,
ভেজে দুরূদ সালাম।
সৃষ্টির মাঝে তুমি চির সুন্দর,
বদন চন্দ্র হতে উজ্জলতর,
মিশ্ক আম্বর হতে সুবাস অধিক,
তব তনুর ঘাম।
সব নবী রাসুলের তুমি সরদার,
সৃষ্টির মাঝে নেই মিছাল তোমার,
আল্লাহর পরেই ওগো হাবীব আল্লাহর,
তোমার উচ্চ মোকাম।
নাশী গোর কুফুরীতে তীমির আধার,
পৌছালে দিকে দিকে নাম আল্লাহর,
মস্ত করিলে সবে এশকে আল্লাহর,
দানি তৌহীদ জাম।
খন্ডিত হল চাঁদ ইঙ্গিত কর,
হুকুমে কালিমা পড়ে মুর্দা পাথর,
নবীরা নাজাত পেল ঘোর বিপদে,
লয়ে তোমার নাম।
পয়গাম শুনাইলে চির শান্তির ,
দিলে গোমরাহে দিশা দিশা মুক্তির,
পেলে আজাদীর সাধ নতুন করে,
বিশ্ব বন্দী তামাম।
আরশে আলায় গেলে মিরাজ রাতে,
মধুর মিলন হল আল্লাহর সাথে,
লভিয়া তোমার পুত চরন ধুলি,
ধন্য আরশ মোকাম।
ভীষন বিপদ কালে রোজ মাহশার,
ওগো নবী তুমি ছাড়া নাই শাফীয়ার,
তুমি পিলাবে ছাকী সেই তিয়াসায়,
পুত কাউসার জাম।
লও গো ডাকিয়া লও পাক মদীনায়,
দাও ওগো ঠাই তব মোবারক পায়,
পারে না বিচ্ছেদ ব্যথা সহিতে আর,
প্রিয় তব গোলাম।
No comments:
Post a Comment