“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”২
শাহেন শাহে আলম আলম মদীনারী সুলতান,
আমেনার দুলারা হালিমার জানের জান।
শাহেন শাহে আলম আলম মদীনারী সুলতান,
আল্লাহর দুলারা সৃষ্টির প্রানের প্রান।
এসেছিলেন দুনিয়াতে
পাপী উদ্ধারিতে
গুমোরা গাফেলাদের ঘুম ভাঙ্গাইতে,
ইসলাম প্রচার করিতেন
হাতে নিয়ে পাক কোরয়ান।
আয় শাহে দো’আলম নূরে মুজাচ্ছাম
ফরিইয়াদ করিতেছি আমি নরাধম,
তোমারী ছাহারা নিয়ে হবে মুশকিল আছান।
বুরূজে কেয়ামতে যত হবে গুনাহ গার
ক্রন্দনে থাকবে সবাই উঠবে হাহাকার,
সেই দিন হইবে মোর নবীজি মেহেরবান।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ” ৩
আমারী মনের মাঝে পেয়েছি যে, বেদনা
জানে মোহাম্মদ শাহে মদীনা
শাহারার মরুর পথে খুজি নবী তোমারে
চোখ ইশারা দিয়ে মোর প্রান নিয়েছে কেড়ে
ও গো নবী নয়ন মনি আমার গলার মালা
এশ্ কেতে মোর যাইয়া প্রান করনা উজালা
যদিবা না দিবে ধরা আর আমায় ড়েকোনা।ঐ
দেখিনি জীবনে কভু দুনয়নে যাহারে
তবু কেন কাদেরে মন তাহারী বিরহে
ভুলি ভুলি ভুলিরে মন
ভুলিতে যে পারিনা। ঐ
পাওয়া না পাওয়ার মাঝে তুমি আমি দুজনা
বেধেচিগো মায়ার মালা কভুযেন ছুটেনা
যখনী মনের মাঝে খুজি ওগো তোমারে
তখন চলিয়া যায় মন মদীনার দুয়ারে
কাছে এলে না পাইলে কতযে মোর বেদনা। ঐ
“নাত-ই-রাসুল(সঃ) ” ৪
মদীনার বুল বুল নবী রাসুলাল্লাহ্
পাঠালেন খুশি হয়ে নীজে মাবুদ আল্লাহ্,
তুমি যে, অসলে এই ধরাতে
অন্ধ যুগের মানুষের
আলো দিতে,
তব নুরে আলোকিত হল দুনিয়া,
অমানুষ মানুষ হয়, তোমাকে পাইয়। ঐ
ছিল মানুষ পাপে তাপে
অন্ধ কারে,
তুমি এসে সেই মানুষ সোনা বানালে,
আসলেন কালিমার জিকির করিয়া,
বলতেন তিনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ঐ
আকাশেরী দ্রƒব তারা আসলেন দুনিয়ায়,
পাঠালেন রসুল করে শেষ জামানায়,
সব নবীর সরদার মোহাম্মদ রাসুল,
তিনি হলেন আল্লাহর পেয়ারা মাকবুল,
আল্লাহÍ দীদার হাসিল করেন মেরাজে গিয়া,
সেখানে ও উম্মতকে যাননা ভুলিয়া। ঐ
“নাত-ই-রাসুল(সঃ) ” ৫
ছবছে আওলা ও আ’লা হামারা নবী
ছবছে বালা ও আ’লা হামারা নবী ।
আপনে মাওলাকা পেয়ারা হামারা নবী
দো’নো আলমকা দলহা হামারা
নবী।
বজমে আখেরকা শামা ফেরূজাঁ হুয়া
নূরে আউয়ালকা জালওয়া হামারা নবী।
খালকোছে আউলিয়া আউলিয়াছে রাসুল
আওর রসুলুছে আওলা হামারা নবী।
কোন দে তা হায় দে নেকো মো চাহিয়ে
দেনে ওয়ালা হায় চাছ্ছা হামারা নবী।
জেছনে টুকড়ে কিয়ে হেঁ কমর কে হায়
নূরে ওয়াহদাতকা টুকরা হামারা নবী।
মূলকে কাওনাইনমে আম্বিয়া তাজেদার,
তাজেদারূকা আকা হামারা নবী।
সব ছমক ওয়ালে উজলুঁমে চমকা কিয়ে,
আন্ধেশিসোঁমে চমকা হামারা নবী।
জিছনে মুরদা দিলুঁকো দি ওমরে আবদ,
হ্যায় উহজানে মছিহা হামারা নবী।
আসমানো হি পর সবনবী রাহগেয়ী,
আরশে আযম পে পৌঁহছা হামারা নবী।
গম জাদুঁ কো’রেজা মুজতাদি জেকে হায়
বে কছুঁকা ছাহারা হামারা নবী।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)” ৬
এহি হায় তামান্না এহি আরজু হ্যায়
এহি তোঁ সুনানে কা জী চাহুতা হ্যায়।
মদীনে কো পলট করনা আও
এহি ঘর বাননে কা জী চাহুতা হ্যায়।
রসুলে গেরামীকে রওজেকো দেখ ও
হাকীকত মে কা’বাকে কা’বা দেখ ও।
ইয়ে ছের উনকি নূরালী চৌকাঠ পর মড়কড় কর
নীচে আজমানেকা জী চাহুতা হ্যায়।
ফক্বদ কর করো আরজু
রওজে কে জালী,
মাই দুর কা ছুয়ালী হু আয় শাহে আলী।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”৭
জব খুদীছে গম হুয়া তব
তো নজর আয়া মুঝে
জেছ তরফ ছে দেখা তা তুহি
তো নজর আয়া মুঝে।
সিদক্ব দেল ছে মাহিয়া কি
জব নফী মাইনে কাঁহা
তব জিদার ছে দেখা তা তোহি
তব জিদার ছে দেখা তা তোহি
তো নজর আয়া মুঝে।
গুল শানে কছরত মে
জা দেখা তব চশমে আহদিয়ত
তেরী বুঁ ছে গুলশা ভী
খুশব
তেরী বুঁ ছে গুলশা ভী
খুশব
তু নজর আয়া মুঝে।
ইয়ার কা দীদার হু না
কিয়া খুশী কি বাত হ্যায়
মুরদা দেল তো জিন্দা হুয়া তব
মুরদা দেল তো জিন্দা হুয়া তব
তো নজর আয়া মুঝে।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”৮
প্রিয় নবীর জিয়ারতে চলরে মদীনা
দুনিয়ার জান্নাত গো গোলজারে মদীনা (২)
যেই জমিনে শুয়ে আছেন দ্বীন ইসলামের রবি
দো জাঁহানের মুক্তি দাতা কুল আলমের নবী,
আশিক যাঁহার খোদ এলাহী মালিক রব্বানা ।
দ্বি খন্ডিত হল চন্দ্র যাঁহার ইশারাতে
কলেমা পড়ে উঠল পাথর আবু জেহেলের হাতে,
মেশক হতে সূরভিত যাঁহার পছিনা।
আমার নবী যেই জমিনের কোলে শুয়ে আছে
আরশ,কুরছি,লওহ,কলম তুচ্ছ তাঁহার
কাছে
সেই কাবার কাবা প্রানে চল হয়ে দেওয়া না।
রবি,শশী,আলোকিত উজ্জল সেই
নুরে
যে নূর হাসে গ্রহ তারায় হাসে জগত জুড়ে,
চলরে আজি লুটবারে সেই নূরের খাজিনা।
সাম্য চাহী,মৈত্রী চাহী,চাহী অনাবিল হাসী
শান্তি চাহী মানবতার হই যদি প্রত্যাশী
চলরে তবে নবীর দ্বারে হয়ে মস্তানা।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”৯
জাল্তা হুয়া শাময়া হু,
ফরওয়ানা মোহাম্মদ কা,
জালতি হ্যায় ছীনে মে ,
আরমানা মোহাম্মদ কা,
দিলে আন্জুমান মোহাম্মদ কী ,
দিওয়ানা মোহাম্মদ কী,
দিওয়ানা মোহাম্মদ কী,
মদীনে মে জাকর
দিল দিওয়ানা মোহাম্মদ কা।
নূর ছে ইমান কী
শাময়া হুয়া জালতি হ্যায় মদীনে মে
জালতি হ্যায় মদীনে মে
শাময়া হুয়া মদীনে মে
দিল দিওয়ানা মোহাম্মদ কা।
বুলা লও গুনাহ গার কো
রওজায়ে মদীনে মে
রওজায়ে মদীনে মে
ফিলা দো মুজ কো
দিল দিওয়ানা মোহাম্মদ কা।
জব মেরী গুনাহ মুজ কো
লে যায়ে জাহান্নাম মে
লে যায়ে জাহান্নাম মে
তব মাই কাহু গা
উম্মতে মোহাম্মদ কা।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)” ১০
মদীনা বাগের বুলবুলি গো,
মদীনা বাগের বুলবুলি গো,
কেমনে তোমায় রই ভুলে ।
কেমনে তোমায় রই ভুলে ।
উম্মী আমিন আরব বাসী,
সাম্য বাদী হে মোহাম্মদ ,
মরূর মাঝে মক্কার বুকে ,
আসিলেন এক গোলাপ ফুলে।
তোমার নামে আশেক আল্লাহ ,
হে মোহাম্মদ মুস্তাফা,
তুমি আল্লাহর আল্লাহ তোমার,
কি রহস্য আছে মাঝে।
দয়ার সাগর রসুল তুমি,
তোমার গুনাহ গার উম্মত আমি,
পারকরে নাও ও গো দয়াময় ,
কঠিন হাশরের সেই দিনে।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)” ১১
নবী আছেন কর্নে শুনি,
নবী আছেন কর্নে শুনি,
দেখলাম না দুই নয়নে
মনের দুঃখ রইল গো মনে।
নবী আছেন কর্নে শুনি,
নবী আছেন কর্নে শুনি,
দেখলাম না দুই নয়নে
মনের দুঃখ রইল গো মনে।
নবীজি আমি অধম কপাল মন্দ,
না পাইলাম মদীনার গন্ধ ও
যার কপালে লেখা আছে,
যার কপালে লেখা আছে,
মদীনাতে যাইতে।
নবীজি এই অধমে কেন্দে বলে ,
কবে যাব মদীনার দুয়ারে ও
আমার জীবন ধন্য হইবে,
আমার জীবন ধন্য হইবে
নবীজিকে পাইলে।
নবীজি পাগল হইলাম আমি,
আপনার দীদার লাগিয়া,
দয়া করে দাওগো দেখা,
দয়া করে দাওগো দেখা,
স্বপনেতে আসিয়া।
নবীজি আপনাকে দেখিলে একবার,
পাবে শুপারিশ আপনার ও
দো’জাঁহানে মুক্তি পাইবে,
দো’জাঁহানে মুক্তি পাইবে,
আপনার মধুর পরশে।
“না‘ত-ই-রাসুল ” ১২
মোহাম্মদ মোস্তফা সল্লে
আলা,
তুমি বাদশাহ বাদশাহ কামলি ওয়ালা।
মোহাম্মদ মোস্তফা সল্লে আলা,
তুমি বাদশাহ বাদশাহ কামলি ওয়ালা,
পাপে তাপে পূর্ণ আঁধারে দুনিয়া,
হল পূণ্য বেহেশ্তী নূরের উজালা।
জলিবি রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি,
নফসি নফসি করিবে সকল নবী,
ইয়া উম্মাতি উম্মতি তুমি একেলা।
করে আউলিয়া আম্বিয়া তোমারী ধ্যান,
দুরূদ গাহিবে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা।
মোহাম্মদ মোস্তফা সল্লে আলা,
আমি যাইতে পারি প্রিয় নবীজির রওজা,
স্বপনে দেখে নিশিরাতে
যেন কাবার মিনার হতে
ডাকছে বেলাল সেই মুসলিম ডেকে ডেকে,
লা এলাহী বলবে কবে আমার স্বপনসফল হবে,
গরীব বলে হব কি নিরাশ দেখা মদীনা।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)”১৩
মোহাম্মদ নাম যতই জফি ,
ততই মধুর লাগে।
মোহাম্মদ নাম যতই জফি ,
ততই মধুর লাগে।
ও নামেতে এত মধু থাকে,
কে জানিত আগে।
ও নামেরই মধু চাহি,
মন ভোমরা বেড়ায় গাহি,
আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা নাহি,
ও নামের অনুরাগে।
ও নাম প্রানের প্রিয়তম
ও নাম জপি মাশুক সম,
ও নামে পাপিয়া গাহে প্রানের গোলাপ বাগে।
আমি ও নামে মুসাফির রাহী
তাই চাই না তখত শাহান শাহী,
নিত্য ও নাম ইয়্যা এলাহী যেন হৃদয় জাগে।
“নাত-ই-রাসুল(সঃ)” ১৫
তুমি নূর নবী ,ইসলাম রবি,
সর্ব গুনবান,
তোমারই গৌরবে মুগ্ধ পরান।
তুমি নূর নবী ,ইসলাম রবি,
সর্ব গুনবান,
তোমারই গৌরবে মুগ্ধ পরান।
আরব দেশেতে কোরেশ বংশেতে,
পবিত্র মক্কা ভূমি তব জন্মস্থান।
ইসলাম প্রচারিতে কাফেরের বাড়ীতে,
গিয়েছিলেন নবী মেহেরবান।
কত কষ্ট দিয়েছিল কাফের শয়তান।
আল্লাহর সাথে,দীদার করিতে,
মেরাজে গেলেন নবী,
বুঝতে আল্লাহর শান।
“না‘ত-ই-রাসুল ” ১৬
রসুল নামে ওরে কে এল
মদীনায় , রসুল নামে।
ওরে কে এল মদীনায়, রসুল নামে।
ওরে আকাশেরী চন্দ্র কেড়ে ,
ওকে আনল মদীনায়।
ওরে আকাশেরী চন্দ্র কেড়ে ,
ওকে আনল মদীনায়।
গলাতে তাছবীর মালা,
কে চলে ঐ কামলী ওয়ালারে,
ওরে আমার বুকে দর্গা তলা,
ওরে আমার বুকে দর্গা তলা,
ওকে ডেকে নিয়ে আয়।
দেখি নাই শুনি নাই কোথায়,
মানুষে কাঁদে মানুষের ব্যথায় রে,
ওরে এমন দরদীর কথা,
ওরে এমন দরদীর কথা,
শুনলে পরান জুড়ায়।
মোহাম্মদ নাম তাঁহার,
আহমদ এই ধরাতে রে,
ওরে এমন দয়াল নবী,
ওরে এমন দয়াল নবী,
কভু শুনি নাই।
শাফায়াতের নবী যিনি,
দ্বীন দুনিয়ার বাদশাহ তিনি রে,
ওরে এমন দয়াল নবী,
ওরে এমন দয়াল নবী,
কভু আসে নাই।
“না‘ত-ই-রাসুল ” ১৭
তৌহিদেরী মোরশেদ আমার
মোহাম্মদের নাম।
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
তৌহিদেরী মোরশেদ আমার
মোহাম্মদের নাম।
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
এই নাম জপলেই বুঝতে পারি
আল্লাহর কালাম,
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
এই নামেরী রশি ধরে যাই আল্লাহর পথে
এই নামেরী তরী চড়ে ভাসি নূরের শ্রোতে,
এই নামেরী বাতি জ্বেলে দেখি
আরশের মোকাম।
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
এই নামের দামন ধরে আছি
আমার কিসের ভয়,
এই নামের গুনে পাবো
আমার আল্লাহর পরিচয়,
তাঁর কদম মোবারক যে
আমার বেহেশ্তী তাঞ্জাম।
মোরশেদ মোহাম্মদের নাম।
“না‘ত-ই-রাসুল ” ১৮
তোরা দেখে যা আমেনা মায়ের কোলে,
মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে।
তোরা দেখে যা ............
যেন ঊষার কোলে রাঙ্গা রবি দোলে ।
যেন ঊষার কোলে রাঙ্গা রবি দোলে ।
কুল মাখলুকে আজি ওঠে “ কে এল ঐ”
কালেমা শাহাদাতের বাণী ঠোঁটে “ কে এল ঐ”
আল্লাহর জ্যোতিঃ পেশানীতে ফোটে “ কে এল ঐ”
আকাশ গ্রহ তারা পড়ে লুটে
“ কে এল ঐ”
পড়ে দুরূদ ফেরেশ্তা জান্নাতের দুয়ার খোলে।
পড়ে দুরূদ ফেরেশ্তা জান্নাতের দুয়ার খোলে।
মানুষে মানুষের অধিকার দিল যে জন,
এক আল্লাহ ছাড়া মাবুদ নাই,কহিল যে জন,
মানুষের লাগি,চির দীন বেশ ধরিল
যে জন,
বাদশা ফকীর এক শামিল করিল যে জন,
এল ধরায় ধরা দিতে সেই নবী,
ব্যথিত মানবের ধ্যানের ছবি,
(আজি) মাতিল বিশ্ব নিখিল মুক্ত কলরোলে ।
মাতিল বিশ্ব নিখিল মুক্ত কলরোলে ।
“না‘ত-ই-রাসুল ”১৯
সাহারাতে ফুটলরে ফুল, রঙ্গিন গুলে লা লা
সেই ফুলের খোশবুতে আজ, দুনিয়া মাতোয়ারা,
সাহারাতে ফুটলরে ফুল, রঙ্গিন গুলে লা লা
সেই ফুলের খোশবুতে আজ, দুনিয়া মাতোয়ারা,
সেই ফুল নিয়ে কাড়াকাড়ি চাঁদ-- সূরুজ,গ্রহ -- তারায়,
ঝুকে পড়ে চুমে সে ফুল নীল গগন নিরালা।
ঝুকে পড়ে চুমে সে ফুল নীল গগন নিরালা।
সেই ফুলেরই রওশনীতে আরশ কুর্ছী রওশন,
সেই ফুলের রং লেগে আজ ত্রিভূবন উজালা।
সেই ফুলের রং লেগে আজ ত্রিভূবন উজালা।
সেই ফুলেরই গুলিস্তানে আসে লাখো পাখী,
সেই ফুলেরে ধরতে বুকে দোলে রে ডাল পালা।
সেই ফুলেরে ধরতে বুকে দোলে রে ডাল পালা।
চাহে সেই ফুল জীন ইনসান,হুরপরী ফেরেশ্তায়,
ফকীর দরবেশ বাদশাহ চাহে করতে গলে মালা।
ফকীর দরবেশ বাদশাহ চাহে করতে গলে মালা।
চেনে রসিক ভোমরা বুলবুল সেই ফুলের ঠিকানা,
কেউ বলে হযরত মোহাম্মদ কেউ বা কামলী ওয়ালা।
কেউ বলে হযরত মোহাম্মদ কেউ বা কামলী ওয়ালা।
“না‘ত-ই-রাসুল ”২০
শামছুদ্দোহা আছ্ছালাম
বাদরুদ্দোজা আছ্ছালাম
নূরূলহুদা আছ্ছালাম, আছ্ছালাম,
তোমার দুরূদ পড়ে আল্লাহ তায়ালা
ফেরেশ্তাকুল গাহে সল্লে আলা,
নিখিল সৃষ্টি তব পাক ক্বদমে,
ভেজে দুরূদ সালাম।
সৃষ্টির মাঝে তুমি চির সুন্দর,
বদন চন্দ্র হতে উজ্জলতর,
মিশ্ক আম্বর হতে সুবাস অধিক,
তব তনুর ঘাম।
সব নবী রাসুলের তুমি সরদার,
সৃষ্টির মাঝে নেই মিছাল তোমার,
আল্লাহর পরেই ওগো হাবীব আল্লাহর,
তোমার উচ্চ মোকাম।
নাশী গোর কুফুরীতে তীমির আধার,
পৌছালে দিকে দিকে নাম আল্লাহর,
মস্ত করিলে সবে এশকে আল্লাহর,
দানি তৌহীদ জাম।
খন্ডিত হল চাঁদ ইঙ্গিত কর,
হুকুমে কালিমা পড়ে মুর্দা পাথর,
নবীরা নাজাত পেল ঘোর বিপদে,
লয়ে তোমার নাম।
পয়গাম শুনাইলে চির শান্তির ,
দিলে গোমরাহে দিশা দিশা মুক্তির,
পেলে আজাদীর সাধ নতুন করে,
বিশ্ব বন্দী তামাম।
আরশে আলায় গেলে মিরাজ রাতে,
মধুর মিলন হল আল্লাহর সাথে,
লভিয়া তোমার পুত চরন ধুলি,
ধন্য আরশ মোকাম।
ভীষন বিপদ কালে রোজ মাহশার,
ওগো নবী তুমি ছাড়া নাই শাফীয়ার,
তুমি পিলাবে ছাকী সেই তিয়াসায়,
পুত কাউসার জাম।
লও গো ডাকিয়া লও পাক মদীনায়,
দাও ওগো ঠাই তব মোবারক পায়,
পারে না বিচ্ছেদ ব্যথা সহিতে আর,
প্রিয় তব গোলাম।
“না‘ত-ই-রাসুল ”২১
নিখিলের চির সুন্দর সৃষ্টি,
আমার মোহাম্মদ রাসুল।
কুল মাখলুকাতের গুলবাগে যেন,
একটি ফোটা ফুল।
নূরের রবি যে আমার নবী,
পূর্ন করুনা ও প্রেমের ছবি,
মহিমা গাহে তাঁর নিখিল কবি,
কেউ নহে তাঁর সমতুল।
পেয়ারা নবী যে এলো দুনিয়ায়,
হাসিল নিখিল আলোক আভায়,
পুলক লাগিল তরু ও লতায়,
খুশীতে সবাই মশগুল।
আধাঁর রাতে সে যে চাঁদের কিরণ,
মরুর বুকে সুধা বারিষণ,
নীরব ধরার গুল বাগেতে,
গান গেতে এলো বুলবুল।
“না‘ত-ই-রাসুল ”২২
দুঃখের দিনের দরদী মোর,
নবী কামলী ওয়ালা ।
তুমি আসবে জানি,
এই আধাঁর রাতে,
জ্বালবে চেরাগ লালা।
জাগবে যবে বক্ষে আমার,
আবার তৃষ্ণা সাত সাহারার,
জানি ধরবে তুলে কন্ঠে আমার,
কাওসারের পেয়ালা।
মাঝ দরিয়ায় উঠলো তুফান,
তায় না আমি ডরি,
জানি আমায় কুলে নিবে ,
তোমার শাফায়াতের মালা।
তোমার বে সুম জানি ,
করে আমার নেগাহবানী,
রাংবে ধুসর দিল গুলি মোর,
তোমার আখিঁর জ্বালা।
“না‘ত-ই-রাসুল ”২৩
মোহাম্মদ নাম জপেছিলি
বুলবুলি তুই আগে,
তাই কিরে তোর কন্ঠের এ গান
এতই মধুর লাগে।
ওরে গোলাপ নিরিবিলি
মোর নবীজির ক্বদম চুমেছিলি,
বুঝি নবীর ক্বদম চুমেছিলি,
তাঁর ক্বদমের খোসব ফিরে
আজ তোরে আতর লাগে।
সেই ক্বদমের খোশবু আজ ও
তোর অন্তরে জাগে।
ওরে ভ্রমর নিরিবিলি
মোর নবীজির ক্বদম চুমেছিলি,
গুন গুনিয়ে সেই খুশি কি আজ,
জাগাসরে গুলবাগে।
মোর নবীজিকে লুকিয়ে দেখে
তাঁর পেশানীর নূর মেখে
ওরে ও চাঁদ রাঙ্গালি কি
তুই গভীর অনুরাগে।
“না‘ত-ই-রাসুল ”২৫
মন যে আমার টিকে নারে
এই দেশেতে হায় রে,
প্রিয় নবী লও গো ডাকি
সোনার মদীনায় রে ।
সোনার মদীনায় রে ।
নাইকো টাকা, নাইকো কড়ি,
বাংলাদেশে রইলাম পড়ি,
পারলাম নাকো দিতে সালাম,
গিয়ে নবীজির পায় রে।
প্রিয় নবী লও গো ডাকি
সোনার মদীনায় রে ।
পারতাম যদি যেতে হেথা,
জুড়াইতো মনের ব্যাথা,
পাক মদীনার পথের ধুলা,
মাখতাম সারা গায় রে।
প্রিয় নবী লও গো ডাকি
সোনার মদীনায় রে ।
পাখা যদি থাকতো আমার,
দেরী তবে করতাম না আর,
উড়ে গিয়ে হাজির হতাম,
নবীজির রওজায় রে।
প্রিয় নবী লও গো ডাকি
সোনার মদীনায় রে ।
রওজাহ পাকের চৌকাট ধরি,
চুমু খেয়ে থাকতাম পড়ি,
বলতাম যদি না দাও দেখা,
মরিব হেথায় রে।
প্রিয় নবী লও গো ডাকি
সোনার মদীনায় রে ।
বলতাম আরও বিনয় করে,
সেই ভয়নক রোজ হাশরে ,
উম্মত বলে ক্বদমে,
দানিয় আমায় রে।
প্রিয় নবী লও গো ডাকি
সোনার মদীনায় রে ।
“না‘ত-ই-রাসুল ”২৬
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
আমার মউতের নিদান কালে
থাকিবেন নবী গো আমার শিয়রে,
দেখিব আপনাকে আপন নজরে।
দেখিব আপনাকে আপন নজরে।
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
দেখি যদি চেহরায়ে আনওয়ার
মউতের জ্বালা আর থাকিবে না আমার
দয়া যে করিয়া দিয়েন দীদার ।
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
অন্ধকার কবরে যখন দিবে অমাকে
থাকিবেন নবী গো আমার কবরে,
দেখিব আপনাকে আপন নয়নে।
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
আপনারই নূরের জলক লাগিয়া,
কবরের আঁধার যাইবে চলিয়া,
দিয়েন দেখা দয়া করিয়া।
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
মনকির নকীর আসিয়া ছুওয়াল করবে বসাইয়া,
দিয়েন গো দেখা পর্দা উঠাইয়া ।
দেখিব আপনাকে আপন নয়নে।
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
মাতা পিতা যাহাদের অন্ধকার কবরে
রাখিয়েন নবী গো মায়ার নজরে,
উম্মত বলিয়া কবূল করে।
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
শাফায়াতের অধিকার হাতেতে আপনার
তরাইবেন নবী গো উম্মত গুনাহগার
জান্নাতে নিয়েন হাতে ধরিয়া।
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
এই বিশ্ব জগতে প্রকাশ্য ও গোপনে,
দেখিতেছেন নবীজি আপন নয়নে,
গায়েবের খবর আপনি দেনে ওয়ালা।
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
শুনেছি হাদীসে দেখিলে আপনাকে
জীবনের হুনাহ ঝরে পড়ে ,
দেখা যে দিয়া মনের আসা দাও মিটাইয়া।
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া
হাবীবাল্লাহ
“না‘ত-ই-রাসুল ”২৭
নেহী দো জাঁহা মে মেছালে মোহাম্মদ,
জামালে আল্লাহ হায় কামালে মোহাম্মদ।
আল্লাহ কা পেয়ারা হামারে মোহাম্মদ ,
জামালে আল্লাহ হায় কামালে মোহাম্মদ।
হামারে নবীজি ছবছে বেহতর,
না কুই নবী উনকি বরাবর।
আল্লাহ কা পেয়ারা হামারে মোহাম্মদ ,
জামালে আল্লাহ হায় কামালে মোহাম্মদ।
মোহাম্মদ নে আ কর কুফর কো মিটায়া,
কুফর কো মিটা কর ছাদাকত বাচায়া।
আল্লাহ কা পেয়ারা হামারে মোহাম্মদ ,
জামালে আল্লাহ হায় কামালে মোহাম্মদ।
ইয়া শামছুদ্দোহা হো ইয়া বাদরূদ্দুজা হো,
ইয়া নূরে আল্লাহ কি সল্লে আলা কি,
নবী হো ওয়ালী হো ছব মুহতাজ উনকি,
আল্লাহ কা আল্লাহ ই হাওয়ালা উনকি,
ওহ আশেকে নবী হো মাশুকে মোহাম্মদ,
জামালে আল্লাহ হায় কামালে মোহাম্মদ।
“না‘ত-ই-রাসুল ”২৮
সাইয়্যেদুল মোরসালীন নবী,শাফীউল মুজনেবীন,
খাতামূল আম্বিয়া তুমি রহমাতুল্লিল আলামীন।
নাহী ছিল আকাশ জমীন,নাহী ছিল আলম,
নাহী ছিল আরশ কুরছী,লৌহ আর ক্বলম,
জীন পরী মালায়েক,মানব দানব,
উত্তর দক্ষিন আর পশ্চিম
পূরব,
উঁচা নিচা, ভাল মন্ধ,তারা রবি শশী,
বারী বায়ু,অগ্নি মাটি আর দিবানিশি,
একিলা ছিলেন আল্লাহ মালেক মোক্তার,
নাহী ছিল কোন বস্তু সঙ্গেতে তাঁহার,
তখন তুমি পয়দা হলে মোহাম্মদ রাসুল,
আল্লাহু আল্লাহু রবে আছিলে মাশগুল।
আকাশ ও জমীন আদি সৃষ্টি হইবার ,
৫০লক্ষ বৎসর আগে পরোয়ারদেগার,
লৌহে মাহফুজের পরে ক্বলম ধরিয়া,
লিখে ছিলেন তোমারী নাম খাতামূল আম্বিয়া,
২লক্ষ ২৪ হাজার আম্বিয়াগনের নূর,
হয়ে ছিল যখন পয়দা ক্বুদরতে প্রভুর,
তোমার নূরের তাজাীল্লতে হইয়া মাশগুল,
ওগো নবী তুমি সেই মোহাম্মদ রাসুল।
ময়ূর রূপে আরশেতে তারা আসমানে,
লিখা খাতামূল আম্বিয়া লৌহে মাহফুজে,
সারা বিশ্বের জিকির আপনি,পেয়েছেন সম্মান,
কাউসার মাহমুদ,আহমদ,আরো লক্ষ আছে শান,
আল্লাহ পরেই আপনি নুরূন
আলা নূর।
“না‘ত-ই-রাসুল ”২৯
ইয়া মোহাম্মদ মোস্তফা নবী সল্লে আলা,
ইয়া মোহাম্মদ মোস্তফা নবী সল্লে আলা,
শাফাইয়াতের কান্ডারী রাসুলুল্লাহ।
কেউ বলে নবীজি নূরেরী পুতুল
কেউ বলে নবীজি গোলাফেরী ফুল,
নবী নয় সে গোলাফ নয় সে পুতুল নূর আল্লাহ।
ইয়া মোহাম্মদ মোস্তফা নবী সল্লে আলা,
ইয়া মোহাম্মদ মোস্তফা নবী সল্লে আলা,
শাফাইয়াতের কান্ডারী রাসুলুল্লাহ।
ক্বাবা নবীজি ক্বাবারী ক্বাবা,
নবীজি হইলেন আল্লাহ র ক্বাবা,
ক্বাবার ক্বাবা শুয়ে আছেন সোনার মদীনা।
ইয়া মোহাম্মদ মোস্তফা নবী সল্লে আলা,
ইয়া মোহাম্মদ মোস্তফা নবী সল্লে আলা,
শাফাইয়াতের কান্ডারী রাসুলুল্লাহ।
বাবা নয় নবীজি বাবারী বাবা,
নবীজি হইলেন মোমিনের ক্বাবা,
নবীজির শোকেতে ক্বাবা হইয়াছে কালা।
“না‘ত-ই-রাসুল ”৩০
আমার কিছু ভালো লাগে না,
মন হইয়াছে দেওয়ানা,
মনে লয় উড়িয়া যাইতাম সোনার মদীনা।
আছেন নবী মদীনাতে,
ডাকি যদি ডাকার মতে ও ,
দিবেন দেখা আমার সাথে দেরি করবেন না।
মনে লয় উড়িয়া যাইতাম সোনার মদীনা।
আল্লাহ যদি দিত পাখা,
উড়ে গিয়ে করতাম দেখা ও ,
গরীব আমার নাইকো টাকা,
যাইতে পারলাম না।
মনে লয় উড়িয়া যাইতাম সোনার মদীনা।
হজ্বের কাজ শেষ করিয়া,
মদীনাতে যাও চলিয়া ও ,
দয়াল নবীর জিয়ারতে গোনাহ থাকে না।
মক্কা শরীফ হজ্ব করিয়া,
মদীনাতে নাহি গেলে ও,
হজ্ব করিয়া চলে আসলে কবুল হবে না।
মনে লয় উড়িয়া যাইতাম সোনার মদীনা।
এই অধম কেঁদে বলে,
ওগো নবী আপনি বিনে ও,
রোজ হাশরে গোনাহ গারের উপায় দেখি না।
মনে লয় উড়িয়া যাইতাম সোনার মদীনা।
“না‘ত-ই-রাসুল ”৩১
নূর নবীজির নামটি আমার,
দয়াল নবীর নামটি আমার ,
সদায় জাগে মোর মনে,
কাঙ্গালের ধন গো নবী,কে বা নাহি জানে।
তোমারে যে পাইবার আশে,
ঘুরি আমি দেশ বিদেশে ও,
অধমেরে কইরা পাগল , অধমেরে কইরা পাগল
,
নবী সদায় জাগে মোর মনে।
কাঙ্গালের ধন গো নবী,কে বা নাহি জানে।
ক্বোরয়ানেতে শুনি আমি,
গোনাহ গারের বন্ধু তুমি ও,
তুমি নিজে পার করিবা, তুমি নিজে পার করিবা,
রোজ হাশরের দিনে।
কাঙ্গালের ধন গো নবী,কে বা নাহি জানে।
মরন আমার সামনে খাড়া,
কোন দিন জানি পড়ি ধরা ও,
আমি মনে প্রানে, আমি মনে প্রানে,
ডাকি দয়াল তোমারে।
কাঙ্গালের ধন গো নবী,কে বা নাহি জানে।
হাশর মিজানের কালে,
তোমায় ডাকব নবী ,
বন্ধু বলে ও,
নিজ গুনে পার করিও, নিজ গুনে পার করিও,
বিপদের সেই দিনে।
কাঙ্গালের ধন গো নবী,কে বা নাহি জানে।
আছেন আমার দয়াল নবীজি,
আমি কি আর মরনেরে ডরি ও,
মউত কালে কোলে নিবেন, মউত কালে কোলে নিবেন,
ভয় কি আমার কবরে।
কাঙ্গালের ধন গো নবী,কে বা নাহি জানে।
অধম গোলাম কেঁদে বলে,
নূর নবীজির ক্বদম তলে ও ,
ঠাই যেন পাই বিপদ কালে, ঠাই যেন পাই বিপদ
কালে,
নবীজি তরাইবেন আমারে।
কাঙ্গালের ধন গো নবী,কে বা নাহি জানে।
“না‘ত-ই-রাসুল ”৩২
সালাতু সালাম গো আমার ,
দুরূদ সালাম গো আমার,
কইও নবী মোস্তফায়,
তোমরা যদি মদীনায়।
অধমেরে কইরা পাগল,নবী শুয়ে আছেন মদীনায়।
মদীনা শরীফের মাটি ,
আমার চোখে মুখে বুকে মাখিও ,
এমন পবিত্র মাটি, এমন পবিত্র মাটি,
আমার নবীর রওজায়।
তোমরা যদি মদীনায়।
অধমেরে কইরা পাগল,নবী শুয়ে আছেন মদীনায়।
মদীনা শরীফের মাঝে,
মেশক মতি রওশন জ্বলে ও,
যে দেইখাছে দু’নয়নে , যে দেইখাছে দু’নয়নে,
দেখলেই পাগল হয়ে যায়।
তোমরা যদি মদীনায়।
অধমেরে কইরা পাগল,নবী শুয়ে আছেন মদীনায়।
মদীনা শরীফের মাঝে,
জান্নাতুল ফিরদাউসের বাগান আছে ও,
সেই বাগানে শুযে আছেন, সেই বাগানে শুযে আছেন,
আমার জিন্দা নবী মোস্তফায়।
তোমরা যদি মদীনায়।
অধমেরে কইরা পাগল,নবী শুয়ে আছেন মদীনায়।
অন্তরে মোর এশকের আগুন,
জ্বলিতেছে সর্বক্ষনে ও,
দিবা নিশি কাঁদি আমি, দিবা নিশি কাঁদি আমি,
যাব নূরের মদীনায়।
তোমরা যদি মদীনায়।
অধমেরে কইরা পাগল,নবী শুয়ে আছেন মদীনায়।
অধম গোলাম কেঁদে বলে,
নবীজির রওজায় যাই কেমনে ও,
সালাম লুটাইয়া দিতাম, সালাম লুটাইয়া দিতাম,
নূর নবীজির নূরের পায়।
তোমরা যদি মদীনায়।
অধমেরে কইরা পাগল,নবী শুয়ে আছেন মদীনায়।
“না‘ত-ই-রাসুল ”৩৪
নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম আহমদ বোাল,
যে নাম নিয়ে চাঁদ সিতারা আসমানে খায় দোল।
পাতায় ফুলে যে নাম আঁকা,
ত্রিভূবনে যে নাম মাখা,
যে নাম নিতে হাসল ,
ঊষার রাঙ্গেরে কপোল।
যে নাম নিয়ে ধায় রে নদী,
যে নাম সদা জফে জলধী,
যে নামে বহে নিরবধী,
পবন হিল্লোল।
যে নাম বাজে মরূ সাহারায়,
যে নাম বাজে শ্রাবন ধারায়,
যে নাম চাহে কা’বা মসজিদ,
মা আমিনার কোল।
“না‘ত-ই-রাসুল ”৩৫
ওগো নবী সরোয়ার তুমি হাবীব আল্লাহ
ত্রিভূবনের পেয়ারা তুমি আসীম তোমার শান।
যত নবী দুনিয়ার,তুমি সবারই সরদার
সৃষ্টির মাঝে তোমার সম নাই ইনসান।
ত্রিভূবনের পেয়ারা তুমি আসীম তোমার শান।
সৃষ্টি করে নূরকে তোমার অতি তাজীমে
সবার আগে রাখেন আল্লাহ আরশে আজীমে
সে পাক নূরেতে তোমার
গড়েন তামাম সংসার
সৃষ্টি হল আরশ ,কুরসি, জমিন ওআসমান ।
ত্রিভূবনের ফেয়ারা তুমি ।
কাফেরেরা চাইল যথন মোজেজা দেখিতে ,
তখন তুমি তাদের নিয়ে গেলে পাহাড়েতে,
হুকুম দানিয়া হঠাৎ
তুমি সবাই সাক্ষাৎ
হারে ইশারাতে চন্দ্র করিলে দুই খান,
ত্রিভূবনের পেয়ারা তুমি
মিরাজ রাতে আল্লাহ তালা বোরাক পাঠাইয়া
অতিথি বানাইল তোমায় আরশে আলায় নিয়া
পেলে দীদার প্রভূর
নূরে মিলে গেল নূর
সেই নূরের জ্যোতে জাহের বাতেন হ-ই-ল রৌশন
ত্রিভূবনের পেয়ারা তুমি ।
“না‘ত-ই-রাসুল ”৩৭
মোদের নবী বিশ্বনবী শ্রেষ্ট দুনিয়ার
স্বয়ং আল্লাহ বিশ্বপতি আশিক হল তার
তাঁর পরশে মুর্তি পুজার আধাঁর হল দূর
জল্ল দিকে দিকে উজ্জল তৌহীদেরি নূর
মিটে গেল সব নাদানী
মিটল সকল পেরেশানী
দূর হল সব বে- ইনসাফী জুলুম অবিচার
এল রাসুল মানবতার মুক্তি সনদ নিয়ে
গড়ল ধরায় ভ্রাতৃ সমাজ মহান তালিম দিয়ে
ছিল যারা নিপীড়িত
ছিল চরম ভাগ্যহত
পেল তারা সবার সমান বাঁচার অধিকার
নাইক গতি এই দুনিয়ায় তার তরীকা বিনে
নাইক নাজাত তিনি ছাড়া কঠিন হাশর দিনে
আরজু দিলের এই অভাগার
শোন হে পরোয়ার দিগার
মরন কালে পেয়ারা নবীর পাই যেন দিদার।
“না‘ত-ই-রাসুল ”৩৯
বালাগাল উলা বিকামালিহী, কাশাফাদ্দোজা বিজামালিহী,
হাছুনাত জামিউ খিছালিহি, সল্লু আলাইহি ওয়া
আলিহি।
ইয়া ছহিবাল জামাল
ওয়াইয়া সাইয়্যেদাল,
মিন ওয়াজহিকাল মুনীরু লাক্বাদ নাউওয়ারাল ক্বামারূ।
মোহাম্মাদুন বাশারূন
লাইছা কাল বাশার
বাল হুয়া ইয়াকুতাতু কাল হাজার।
মোহাম্মাদুন সাইয়্যেদুল
কাউনাইনে ওয়াছ ছাকালাইন
ওয়াল ফারীকাইনে মিন আরাবিন ওয়া আযম।
নক্ষীউনাল আমিরূ ওয়ান্নাহী
ফালা আহাদ
আবাররু ফী কাউলি লা মিনহু ওয়া নিয়াম।
হুওয়াল হাবীবুল্লাজী
তুরজা শাফায়াতাহু,
লিকুল্লি হাওলিন মিনাল আহওয়ালি মুক্বতাহিমি।
ফাক্বান্নাবীইনা ফী
খালকিন ওয়া ফী খুলুক্ব
ওয়ালাম ইয়াদানুহু ফী ইলমিও ওয়ালা কারাম।
মোনাঝ্ঝাহুন আন শারীকিন
ফী মোহাছিনিহি,
ফাজাওহারুন লিহুছনি ফীহি গাইরা মোনকাক্বাসামি।
ফাইন্নাহু শামছু ফাদ্বলিন
হুম কাওয়াকিবুহা,
উইজহিরনা আনওয়ারূহা লিন্নাছি ফিজ্জোলামি।
কা আন্নামাল লু’লু’ল মাকনুনি ফী ছদাফিন,
মিন ম’দানী মোনতিকিন মিনহু
ওয় মোবতাছিমি।
ওয়া কুল্লুহুম মিন
রূসুলিল্লাহি মোলতামিছুন,
গরক্বান মিনাল বাহরি ওয়া রিশক্বান মিনাছছাদীম।
লা ইউমকিনুছ ছানাউ কামাকানা হাক্কুহু
বায়দ আজ আল্লাহ বুজুর্গ তুহি কিছ্ছা মুখতাছার।
আছছোবহ বাদায়া মিন
তলায়াতিহি,
ওয়াললাইলু দোজা মিন অফরাতিহী।
ফায়াকার রাসুলা ফাদলাউ আলা
আহাদাছ ছুবুলালে দালালাতিহী।
কানজুল কারামী মাওলান
নিয়ামী,
হাদীয়িল উমামী লি শারিয়াতিহী।
আজকান নাছবি আয়লাল
হাছাবী,
কুল্লাল আরাবী ফি খিদমাতিহী।
ছায়াতিস শাজারু নাতাকাল হাজারু,
শুক্কাল কামারু বি এশারাতিহী।
জিবরাইল আতা লাইলাতাল
ইছরা,
ওয়ার রব্বু দায়া লিহাজরাতিহী।
নায়ালাশ শারাফা ওয়াল্লাহু
আফা,
আম্মা ছালাফা মিন উম্মাতিহী
ফা মুহাম্মাদুনা হুয়া
ছাইয়্যিদুনা
ফাল ইজ্জুলানা লে এজাবতিহী।
No comments:
Post a Comment